
এ বার প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলা শুরু হয়েছে সোমবার। শেষ হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি, শিবরাত্রিতে। চলবে সাত সপ্তাহ ধরে। প্রতি ছ’বছর অন্তর কুম্ভমেলা আয়োজিত হয়। ২০১৯ সালে ছিল অর্ধকুম্ভমেলা। তার আগে ২০১৩ সালে ছিল পূর্ণকুম্ভমেলা। ১২ বছর পরে প্রয়াগরাজে আবার পূর্ণকুম্ভমেলা আয়োজিত হয়েছে। বিদেশ থেকেও বহু ভক্তের সমাগম হয়েছে সেখানে। নিরাপত্তা বন্দোবস্ত আঁটসাঁট করতে ড্রোন এবং জলের নীচে নেমে কাজ করতে পারে এমন ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। পুলিশি নজরদারির পাশাপাশি রয়েছে সিসি ক্যামেরার নজরও।

শীত উপেক্ষা করেই ভক্তদের ভিড় পূর্ণকুম্ভের প্রয়াগরাজে। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মকর সংক্রান্তির সকালে ১০টা পর্যন্ত ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ ‘পুণ্যস্থান’ করেছেন প্রয়াগরাজে। ক্রমশ ভিড় বাড়ছে। তাই বেলা বাড়লে এই সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, সকাল ৭টায় বিভিন্ন আখড়ার সাধু-সহ প্রায় ৯৮ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ গঙ্গা, যমুনা এবং পৌরাণিক সরস্বতী নদীর ত্রিবেণী সঙ্গমে ‘অমৃত স্নান’ করেন।

উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের একটা বড় অংশের অনুমান, এ বারের মহাকুম্ভে ৪০ কোটি পুণ্যার্থীর ভিড় হবে। আশা, রাজ্যের অর্থনীতিতেও এর ছাপ পড়বে। প্রত্যেকে যদি পাঁচ হাজার টাকা করেও খরচ করেন, তবে দু’লক্ষ কোটি টাকার হিসাবে পৌঁছনো যাবে। সূত্রের খবর, পুণ্যার্থীপিছু ১০ হাজার টাকা করে আয় হতে পারে উত্তরপ্রদেশ সরকারের। সে ক্ষেত্রে মোট আয়ের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশাবাদী অনেকেই।