বিকল্প চাষ শব্দটা এখন খুবই প্রচলিত। বিকল্প চাষের দিকে ঝুঁকছেন বহু কৃষক। এই বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করছে কৃষি দপ্তর। চিরাচরিত চাষের পরিবর্তে বিকল্প চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। অপেক্ষাকৃত অধিক লাভবান হওয়ায় কৃষকরা সেই দিকেই ঝুঁকছেন। হাওড়া জেলার বাগনান-১ ব্লকের গোপালপুর গ্রাম। এই গ্রামের ৮৫ থেকে ৯০টি কৃষক পরিবার গত কয়েক বছর ধরে কয়েকশো বিঘা ধানের চাষের জমিতে টমেটো চাষ করছেন। আর তাতেই তাঁরা লাভবান হচ্ছেন।
গোপালপুরের কৃষক শ্রীকান্ত বেজ বলেন, ‘এমনিতে ২৫ বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করলেও গত দু’বছরে ক্ষতি হওয়ায় এই বছর মাত্র ৩ বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছি। তবে এবারে সেভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় জলের অভাবে ফলন ভালো হয়নি। জলের অভাবে মাটি শুকিয়ে ফেটে গেছে,গাছ সব হলুদ হয়ে পাতা ঝড়ে যাচ্ছে। ফলন প্রায় ৪০/৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় সবরকম সতর্কতা অবলম্বন করে ক্ষতি এড়ানো সম্ভব।’ কৃষি দফতরের কর্তারা বলছেন, গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের জন্য খুব বেশি খাটুনি নেই। জৈব সার মিশিয়ে দিন দশেক মাটি রোদে ভাল করে শুকিয়ে জমি তৈরি করতে হবে। বীজ ছড়ানোর ৩০-৩৫ দিনের মাথায় চারা মোটামুটি ১২-১৫ সেমি উঁচু হলে মূল জমিতে রোয়ার উপযুক্ত হয়েছে বলা যায়। চারা গাছ লাগানোর পর দিন কয়েক পরে ভাল করে সেচ দিয়ে জমিতে তৈরি করতে হবে।