বাংলার রাজনীতির সঙ্গে ধর্ম কখনো সরাসরি মিশে ছিল না। কিন্তু গত কয়েক বছরে ধর্ম ও রাজনীতি মিলে গেছে। ধর্মকে ভোট বাক্সে সরাসরি ব্যবহার করে চলেছে কিছু রাজনৈতিক দল। এবার সেই বার্তাই সরাসরি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরের কর্মসূচি থেকে কার্যত হুঙ্কারের সুরে শুভেন্দু বলেন, “আমরা সব হিন্দু বাড়িতে গীতা পৌঁছে দেব। হিন্দু ধর্ম জিন্দাবাদ। দুনিয়ার হিন্দু এক হও।” শুভেন্দু যখন এ কথা বলছেন তখন মঞ্চের সামনে থেকে লাগাতার উঠছে জয় শ্রীরাম স্লোগান। বছর ঘুরলেই ভোট। শুরু হয়ে গেছে ভোটের উন্মাদনা। ভোট যে আসছে তার রণডঙ্কা যেন এখন থেকেই বাজতে শুরু করে দিয়েছে। ঘর গোছাতে ময়দানে বিজেপি, ছেড়ে কথা বলছে না তৃণমূলও। ‘হিন্দু সরকার হবে ছাব্বিশে।’ এদিন চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে চলা কর্মসূচিতে এ ভাষাতেই গর্জে উঠলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সরাসরি হিন্দু সরকারের কথা এভাবে প্রকাশ্যে রাজ্য বিজেপি কখনো বলে নি। এবার শুভেন্দু যা বললেন। অন্যদিকে অভিষেক বৃহস্পতিবারই ডায়মন্ড হারবার থেকে এক হাত নিয়েছেন বিজেপিকে। বাংলাদেশ প্রসঙ্গ তুলে অভিষেকের প্রশ্ন, “আজকে যাঁরা ধর্মের নামে অত্যাচারিত হচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের সরকার, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নীরব কেন?” তিনি আরও বলেন , “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যাঁরা অত্যাচার করছে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা কেন্দ্র সরকার নিচ্ছে না কেন? নির্বাচন নেই বলে?” প্রসঙ্গত, দীর্ঘ চাপানউতোরের মধ্যে এদিন বাংলাদেশে ছিল চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন মামলার শুনানি। কিন্তু, নিরাশ হয়েই ফিরতে হয়েছে চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবীদের। মেলেনি জামিন। বোঝাই যাচ্ছে আসন্ন ‘২৬ এর ভোট হতে চলেছে ধর্মের ভিত্তিতে – অদূর ভবিষ্যতে যা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।