বাংলাদেশে(Bangladesh) হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান সহিংসতার প্রসঙ্গে, জাতিসংঘ ঢাকার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন সকল নাগরিকের মানবাধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়, ধর্ম নির্বিশেষে। এই ইস্যুটি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) জেক সুলিভান এবং বাংলাদেশের(Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মোহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে একটি ফোনালাপেও উঠে এসেছে। জানা গেছে, এই আলোচনায় মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। হোয়াইট হাউসের(White House) বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “উভয় পক্ষই ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অঙ্গীকার করেছেন।”
এই আলোচনাটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট(President) জো বাইডেনের(Joe Baiden) দায়িত্ব গ্রহণের আগে, ডোনাল্ড ট্রাম্প(Donald Trump) প্রশাসনের সময়েই ঘটেছে। এটি স্পষ্ট যে, ট্রাম্প(Trump) প্রশাসন বাংলাদেশের(Bangladesh) পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ফোনালাপের সময়, সুলিভান অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য মোহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান।
হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে(Bangladesh) সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা এবং মন্দিরে আক্রমণের ঘটনা বাড়তে থাকে। হোয়াইট হাউস(White House) জানিয়েছে, জো বাইডেন(Joe Baiden) এই পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের(Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়বদ্ধ রাখবেন।
অ্যাডভোকেসি গ্রুপ হিন্দু অ্যাকশনের মতে, সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা সাহায্যের জন্য মরিয়া হয়ে আবেদন করছেন। গত কয়েক মাসে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনাগুলো দেখিয়ে দেয় যে মোহাম্মদ ইউনূস দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। মন্দির ধ্বংস, হত্যা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের ওপর অত্যাচারের মতো ঘটনা পুরো দেশের পরিস্থিতি আরও সংকটময় করে তুলেছে।
এমন পরিস্থিতিতে জেক সুলিভানের ফোন কল তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে, যা বাংলাদেশের(Bangladesh)পরিস্থিতি পরিবর্তনে বাইরের শক্তির ভূমিকার প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত দেয়।
#Bangladesh #HumanRights #BangladeshCrisis #StopReligiousViolence