চন্দ্রচূর অধ্যায় শেষ করে দেশে শুরু হয়ে গেলো খান্না অধ্যায়। আজ সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে ৫১তম প্রধান বিচাপতি হিসাবে শপথ নিলেন সঞ্জীব খান্না। রাষ্ট্রপতি তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
বারাখাম্বা রোডের মডার্ন স্কুল থেকে পড়াশোনা, সেন্ট স্টিফেন কলেজ থেকে স্নাতক এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ল সেন্টার থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন বিচারপতি খান্না। এরপর ১৯৮৩ সালে আইনজীবী হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন। যুক্ত ছিলেন দিল্লির বার কাউন্সিলে। ২০০৫ সালে দিল্লি হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন ও ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টে। কর্মজীবনে একাধিক ক্ষেত্রে কাজ করেছেন তিনি। ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সিলে কাজ করেছেন। এছাড়াও ৩৭০ ধারা, ইভিএম বা ইলেক্টনিক ভোটিং মেশিন-সহ একাধিক বড় মামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তবে প্রধান বিচারপতি পদে সঞ্জীব খান্নার মেয়াদ খুবই অল্প সময়ের। মাত্র ৬ মাসের জন্য প্রধান বিচারপতির পদে বসছেন তিনি।
আগামী ২০২৫ সালের ১৩ মার্চ তিনি অবসর গ্রহণ করবেন। ইতিমধ্যে তাঁর জায়গায় নতুন প্রধান বিচাপতি খোঁজার কাজ শুরু হয়ে গেছে। সুপ্রিম কোর্টের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রায়, যা দেশজুড়ে সাড় ফেলেছিল, তার অংশ ছিলেন বিচারপতি খান্না। ইভিএমের বৈধতা থেকে শুরু করে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্তির মামলায় রায় দিয়েছেন তিনি। বিচারপতি খান্নার বেঞ্চই ইলেকটোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছিল।