আগামী ১৩ তারিখ বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। শাসক ও বিরোধী দু’পক্ষ এই মুহূর্তে প্রচারের ময়দানে। আক্রমন ও প্রতি-আক্রমণে জমে উঠেছে খেলা। মেদিনীপুরে বিজেপি প্রার্থী শুভজিৎ রায়ের সমর্থনে মহামিছিলের ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, যথেষ্ট কারণ না দেখিয়ে মাত্র ২৪ ঘন্টা আগে সেই মিছিলের অনুমতি বাতিল করেছে পুলিশ প্রশাসন। আর এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পারেন শুভেন্দু।
মহামিছিল বাতিল হলেও তিনি দলীয় কর্মীদের নিয়ে মিছিল করেন। আর সেই মিছিল শুরুর আগে তিনি বেনজিরভাবে আক্রমন করলেন পুলিশ সুপারকে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অতি নোংরা ছেলে ৷ এই পুলিশ সুপার শুধুমাত্র গরুপাচার করে ৷ আর সেই পাচারের টাকা ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডায়মন্ডহারবারে পৌঁছে দেন। বালি খাদানের টাকা পৌঁছে দেন। যার সমস্ত নথি আমার কাছে আছে ।” নাগরিক মহলে স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, এভাবে সরকারি আধিকারকদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বিরোধী দোলনেতা কি সৌজন্যের সীমা ছাড়াচ্ছেন? এরপর জেলার ওসি, আইসিদের নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, “এদের চরিত্র অত্যন্ত খারাপ। এরা প্রত্যেকে পরকীয়ার সঙ্গে জড়িত।” তবে তিনি তাঁর প্রচারের মূল অভিমুখ রেখেছেন আর জি কর কাণ্ডের উপর। তিনি বলেন, বাংলার নারী সুরক্ষা ফিরিয়ে আনতে হবে। এর পরেই তাঁর শ্লোগান -“আর জি করের বদলা নিন, পদ্মফুলে ভোট দিন।”