নানা কারণেই মহিলাদের একটা বড়ো অংশ নানা শারীরিক সমস্যার ভোগেন। এর প্রধান কারণ পিরিয়ড চলা কালীন অতিরিক্ত রক্ত বেরিয়ে যাওয়া। মেয়েদের শরীরে সবথেকে বেশি আয়রনের অভাব থাকে। আয়রনের অভাব হলে ক্লান্তি, শ্বাস নিতে সমস্যা, মাথা ঘোরা এসব হতে পারে। বাদাম, বিভিন্ন বীজ, ডাল, খাদ্যশস্য, বেদানা এসব নিয়ম করে খান। মহিলাদের শরীরে নির্দিষ্ট ভিটামিন, খনিজের ঘাটতি হওয়াতে সমস্যা বেশি হয়। ৩০ পেরোলেই মহিলাদের শরীরে একটার পর একটা সমস্যা হতেই থাকে। ফলে মহিলাদের মধ্যে রক্তাল্পতা, অস্টিওপোরোসিস, ইউটিআই এর ঝুঁকি বেড়ে যায়। মূলত আয়রন, ক্যালসিয়াম, আয়োডিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট, ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি হয়। তাই সুনির্দিষ্ট খাদ্য মহিলাদের খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত।
* আয়োডিনের ঘাটতি হলে গর্ভপাত, মৃত সন্তান প্রসব, সময়ের আগে প্রসবের ঝুঁকি থেকে যায়। তাই মাছ, ডিম, দুধ এসব খান। যাঁরা দুধ খান না তাঁরা ছানা, টকদই এসব খান। আমন্ড মিল্ক খেতে পারেন।
* আয়রনের অভাব হলে ক্লান্তি, শ্বাস নিতে সমস্যা, মাথা ঘোরা এসব হতে পারে। বাদাম, বিভিন্ন বীজ, ডাল, খাদ্যশস্য, বেদানা এসব নিয়ম করে খান। রোজ একটা করে ডিম খান। মাটনের পরিবর্তে চিকেন বেশি করে খান।
* বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অস্টিওপোরোসিসের সমস্যা হতে পারে। কারণ ক্যালশিয়ামের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে পেশীতে ক্র্যাম্প, অসাড়তা, দুগ্ধজাত খাবার, সবুজ শাক, ডুমুর, সোয়াবিন এসব রাখুন। ম্যাগনেসিয়ামের অভাব হলেও একাধিক সমস্যা হয় শরীরে। বমি বমি ভাব থাকে, সঙ্গে ক্লান্তি, দুর্বলতা এসবও থাকে। কুমড়োর বীজ, বাদাম, পালং, কাজু এসব রোজ খান।
* মহিলাদের শরীরে ফোলেট আর ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি যাতে না হয় সেইদিকেও খেয়াল রাখুন। সবুজ শাক-সবজি, লেবু, সূর্যমুখীর বীজ, গোটাশস্য, ফল, মাছ, দুধ, ভিটামিন বি ১২, দুগ্ধজাত খাবার এসব রাখতে ভুলবেন না।
এইসব খাদ্য নিয়মিত খাওয়া সম্ভব না হলেও মাঝে মাঝেই খাদ্য তালিকায় রাখতে ভুলবে না।