তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি হওয়ার পরেই বলেছিলেন, এবার থেকে প্রতি বছর টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী ২০২২ ও ‘২৩ সালে টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু নানা আইনগত জটিলতায় তার নিয়োগ এখন পর্যন্ত করা সম্ভব হয় নি। তাই আপাতত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না বলেই জানা যাচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেছেন, “আমরা আগে দ্রুত নিয়োগ করব, তারপর পরীক্ষা নেব।” স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, কেন বার বার এই সংকট দেখা দিচ্ছে।
এমনিতেই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একেবারে ‘ল্যাজে-গোবড়ে’ অবস্থা রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের। বেনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে কার্যত বন্ধ ছিল প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া। অনেক মামলা-মোকদ্দমার পর ২০২২ সালে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। পাঁচ বছর পর টেট পরীক্ষা হল ওই বছরের ডিসেম্বরে। এরপরই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছিল টেট নিয়ে আর কোনও সমস্যা হবে না। প্রতি বছর টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে। কিন্তু কথা দিয়েও কথা রাখতে পারলেন না গৌতম পাল।