‘ফুল’ শব্দের সঙ্গে সৌন্দর্য,সুবাস,প্রেম,পুজো ইত্যাদি অনুষঙ্গ যুক্ত রয়েছে। আর সেই ফুলে যদি বীভৎস মাংস পচা গন্ধ থাকে তাহলে তো মানুষে মন থেকে ফুলের পরিত্রতা নষ্ট হয়েই যায়। আর ঠিক এখন এক এটিকে ফুল প্রদর্শিত হচ্ছে আমেরিকার এক লাইব্রেরিতে। এই ফুলকে সধারণভাবে কার্পস প্ল্যান্ট নামে বলা হয়। সত্যজিৎ রায়ের একাধিক কল্পবিজ্ঞান মূলক রচনায় এমন ফুলের কথা আছে। এটা অবশ্য বাস্তব কোনো কল্পনা নয়। বিরাট ফুল থেকে বেরোচ্ছে ঝাঁজালো পচা মাংসের গন্ধ! আর তা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ। মার্কিন মুলুকের লস অ্যাঞ্জেলসের হান্টিংডন লাইব্রেরিতে প্রদর্শিত হচ্ছে এই অতিকায় ফুল। এই ফুলের বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘অ্যামোরফোফালাস টাইটানাম’। উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের কাছে এই ফুল একটি গবেষণার বিষয়। আমরা যে ফুলের সুগন্ধ পাই তা কিন্তু ফুলের ভ্রমর মৌমাছিদের আকর্ষণ করার জন্য। এর মধ্য দিয়েই ঘটে ওদের পরাগ মিলন। কিন্তু এই মাংস পচা গন্ধ ছড়ায় কেন
অ্যামোরফোফালাস টাইটানাম?
এ বিষয়ে অবশ্য উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা আছে। এই ফুলগাছ মাংসাশী। শরীরে নসইট্রোজের পূরণের জন্য এরা ছোট পোকা-মাকড়,কীট পতঙ্গ খায়। আর পচা মাংসের গন্ধে মাছির দল গিয়ে ঢোকে ওই ফুলের মধ্যে। ব্যাস,তারপর সেই ফুলের মোটা পাপড়ি যায় বন্ধ হয়ে। মাছির শরীরের সমস্ত নির্যাস মুহূর্তে চলে যায় গাছের পেতে অর্থাৎ গাছের মধ্যে। যদিও নগরায়নের কারণে এই গাছ এখন বিলুপ্তির পথে।