Travonews.in

ভ্রমণ-পাহাড়ের আরেকটি অত্যাশ্চর্য অফবিট গ্রাম ‘কিজম গ্রাম’ – মনে হবে যেন স্বর্গের কাছাকাছি চলে এসেছেন

ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্টে গেলে আপনিও খোঁজ পাবেন যে গত ৫/৬ বছর ধরে মানুষ পাহাড়ের অফবিট স্থানে ভ্রমণ করতে চাইছেন বেশি। তাই আজ আপনাদের জন্য আমাদের নিবেদন ‘কিজম গ্রাম’। সবুজ পাহাড়ের মাথায় কেউ যেন হীরের মুকুল পরিয়ে দিয়েছে। কিজম থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা ঠিক এই রকমই দেখায়। অসাধারণ এখানকার সৌন্দর্য। চারিদিকে জঙ্গলে ঘেরা সবুজ পাহাড় আর উপরে উঁকি দিয়ে যেন মুচকি হেসে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। বিজন বাড়ির থেকে খুব বেশি দূরে নয় এই কিজম গ্রাম। এই পাহাড়ি গ্রামের আরেকটি ভালোলাগার বিষয় হল রং বেরঙের কাঠের বাড়ি। এখনো এখানে রয়ে গিয়েছে পুরনো দিনের কাঠের বাড়ি। সামনেই রয়েছে সিকিম পাহাড়। আর ছোট রঙ্গিত নদী বয়ে চলেছে খাত দিয়ে। আহা সে সৌন্দর্য ভোলার নয়।

  এখানকার গুটি কয়েক বাড়িতে রয়েছে হোম স্টে। প্রতিটি হোমস্টেই ভিউ পয়েন্ট। হোমস্টের ঘরে বসেই দিন কেটে যাবে। ঘরে বসেই সিকিম পাহাড়, কাঞ্চনজঙ্ঘা আর ছোট রঙ্গিত নদীকে একসঙ্গে দেখা যায়। গ্রামের হোমস্টে গুলি একেবারে সাবেকি ধাঁচে তৈরি। অর্থাৎ পাহাড়ি জীবন যাত্রার ছোঁয়া রয়েছে। আপনি দারুন উপভোগ করতে পারবেন ওই পাহাড়,নদী, জঙ্গল আর সবুজ বাগান।

গ্রামের মধ্যেই রয়েছে ৩০০ বছরের প্রাচীন মনেস্ট্রি। সেই মনেস্ট্রিটাই দেখার মতো। সেই মনেস্ট্রির গায়ে আঁকা চিত্রগুলি ভেষজ রং দিয়ে তৈরি। রয়েছে ২০০ বছরের প্রাচীন বৌদ্ধ পুঁথি। রয়েছে প্রাচীন সভ্যতার ছোঁয়া। গ্রামের বাসিন্দারা মূলক চাষ করেই কাটান। স্কোয়াস, ধান চাষ হয় এখানে। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ধান পাকতে শুরু করে। সোনালি হয়ে ওঠে তখন কিজম। আরও সুন্দর লাগে দেখতে। এই গ্রামে কমলালেবুও রয়েছে। অক্টোবর মাসে গাছে ছোট ছোট সবুজ কমলালেবু দেখা যায়। এই হোমস্টে থেকে মেঘেতারও ঘুরে আসা যায়।

Picture of ট্রাভো নিউজ
ট্রাভো নিউজ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *