লাল টুকটুকে টমেটো দেখলেই জিভে জল আসে। টমেটোতে আছে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট। আর আছে প্রচুর পুষ্টিগুন। তাই টমেটো খেতেই হয়।কিন্তু টমেটো বেশি খেলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন –
১)এসিডিটি –
টমেটোতে রয়েছে ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড। যা পাকস্থলীতে অম্লের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। তাই বেশি টম্যাটো খেলে গলা-বুক জ্বালা করতে পারে।
২) জয়েন্ট পেইন –
অতিরিক্ত পরিমাণে টম্যাটো খেলে বেড়ে যেতে পারে অস্থিসন্ধির ব্যথা। কারণ, টম্যাটোয় বীজে রয়েছে ‘সোলানাইন’ নামক যৌগ। যা শরীরে বিভিন্ন অস্থিসন্ধির ব্যথা বাড়িয়ে তোলে
৩) অ্যালার্জি –
টম্যাটোতে আছে হিস্টামিন নামক একটি যৌগ। যা ত্বকে র্যাশ বা অ্যালার্জির সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। মুখ, গলা, জিভে সংক্রমণ হতে পারে।
৪) কিডনির সমস্যা –
কিডনির সমস্যা রয়েছে যাঁদের, তাঁদের রক্তে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রা একটু বেশিই থাকে। তার উপর রান্নায় অতিরিক্ত পরিমাণে টম্যাটো দিলে বা টম্যাটোজাত জিনিস খেলে পটাশিয়ামের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। ফলে কিডনি সবটা বের করতে পারে না।
৫) ত্বকের তৈলাক্তভাব কমে যাওয়া –
অতিরিক্ত টম্যাটো খেলে রক্তে ‘লাইকোপিন’ নামক যৌগের মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। ফলে ফ্যাকাশে হয়ে যায় ত্বকের রং। চিকিৎসার পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘লাইকোপেনোডার্মা’। যদিও বিশেষ এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টটি বেশি মাত্রায় থাকলে গুরুতর কোনও সমস্যা হয় না।
এই সমস্ত কারণেই টমেটো রোজ খান কিন্তু পরিমিত।