পাহাড় মানেই একরাশ আনন্দ। পাহাড়ের প্রতি বাঁকেই আছে নতুন জগৎ। তাই পাহাড় মানেই নতুন উন্মাদনা। তবে এখন একটু অফবিট ভ্রমণের দিকে ভ্রমণ পিপাসুরা ঝুঁকছেন। তাই আজ আমাদের ভ্রমণে আছে ‘লেপচা জগৎ’। পুজোর ছুটিতে দার্জিলিং তো অনেক হল, কিন্তু দার্জিলিংয়ের পাশের কিছু অফবিট গ্রাম রয়েছে যেগুলি আপনার মন জয় করবে নিশ্চিত। তেমনি একটি গ্রাম হল লেপচাজগৎ। দার্জিলিং এর পাহাড়-ঘেরা এই গ্রামটি অফবিট লাভারদের কাছে এখন বেশ জনপ্রিয়। ব্রিটিশরা আসার পর পরিচিতি পেয়েছিল এই আদিবাসী গ্রাম। এই জায়গাটি দার্জিলিং শহরের কাছাকাছি অবস্থিত আরও একটি “স্বর্গ-রাজ্য!” যেখানে পর্যটকদের ভিড় তুলনামূলক কম। লেপচা উপজাতির মানুষ বসবাস করে বলে এই জায়গাটির নাম হয়েছে লেপচাজগৎ। পাহাড় জঙ্গল ঝর্ণা মিলিয়ে দারুন সুন্দর এই গ্রাম।
শুধু প্রার্থনা করুন যেন আকাশ পরিষ্কার থাকে। সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখার স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা এখানে না গেলে মিস করবেন। বাহারি ফুল ছাড়াও প্রচুর পাখি চোখে পড়বে এখানে। ফায়ার-টেল্ড সানবার্ডের মতো বিরল প্রজাতির পাখিও। হাঁটতে বেরিয়ে ক্যামেরা রেডি রাখবেন সব সময়। আর বাইনোকুলারও। ফরেস্ট ট্রেল ধরে যতদূর মন চায় হেঁটে বেড়ান। পাশেই রয়েছে বিশাল চা-বাগানও। বিরল প্রজাতির কিছু অর্কিডের দেখা মেলে এই গ্রামে। আর্কিড এই গ্রামের সৌন্দর্যকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এতো সুন্দর আর্কিড আপনি পাহাড়ে আর কোথাও পাবেন না।
যাওয়া – শিলিগুড়ি থেকে ভাড়া বা শেয়ারড জিপে যেতে পারেন। কলকাতা থেকে বাস বা ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি, বিমানে গেলে বাগডোগরা চলে যান। এরপর ভাড়া বা শেয়ারড জীপে। দার্জিলিংয়ে যাওয়ার পথে ঘুম’এ নেমেও শেয়ার ট্যাক্সিতে যেতে পারেন।
থাকা – লেপজাজগতে থাকতে গেলে প্রচুর হোমস্টে রয়েছে। যেখানে অনায়াসেই রাত কাটাতে পারবেন আপনারা। ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে খাওয়া দাওয়া সহ রাত্রি যাপনের ব্যবস্থাও রয়েছে সেখানে। তবে পুজোর সময় গেলে অন্তত এক মাস আগে বুকিং করে যেতে হবে।