ক্লাসিক্যাল বা ধ্রুপদি শব্দটা দিয়ে বোঝানো হয় ‘আভিজাত্য পূর্ণ’। ভাষার আভ্যন্তরিন গম্ভীর্য ও আভিজাত্য এবং সেই ভাষায় লেখা সাহিত্য, গবেষণাধৰ্মী কাজের ভিত্তিতেই কোনো ভাষাকে ‘ধ্রুপদি’ ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়। এবার সেই শিরোপা পেলো বাংলা ভাষা।কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হল। বাংলার সঙ্গেই মারাঠি, পালি, প্রাকৃত, অসমিয়াকেও ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। বাংলার গর্বের দিন আজ। স্বাভাবিক কারণেই বাঙালি হিসাবে এটা খুবই গৌরবের বিষয়। এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার কেন্দ্রের কাছে এই স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছেন।
বাংলা ভাষা নিয়ে যারা গবেষণা করেন, চর্চা করেন তাঁরা মনে করেন, এর অনেক আগেই বাংলা ভাষাকে ক্লাসিকাল ভাষার মর্যাদা দেওয়া উচিত ছিল। এর আগে তামিল, সংস্কৃত, তেলেগু, কন্নড়, মালায়লাম, ওড়িয়া ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। এদিকে এতদিন কেন বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হচ্ছিল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা। এদিকে কেন্দ্রের এই ঘোষণার পরে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় লিখেছেন, ‘আমি অত্যন্ত খুশি বেঙ্গলি বা বাংলা ভাষাকে ক্লাসিকাল ভাষার মর্যাদা দিয়েছে ভারত সরকার।’ সূত্রের খবর, সাহিত্য অ্যাকাডেমি নিয়ন্ত্রণাধীন Linguistics Experts Committee এর গত ২৫ জুলাইয়ের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলা-সহ মোট পাঁচটি ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অবশেষে তাতেই চূড়ান্ত সিলমোহর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার।