বার্লিন যেন হয়ে উঠেছে এক টুকরো কলকাতা

সারা বিশ্বের বাঙালিরা মেতে উঠেছে শারদীয়া উৎসব নিয়ে। মহালয়ার ভোরেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শোনা যাচ্ছে শারদীয়ার ধ্বনি। জার্মানির রাজধানী বার্লিন তো এখন বাংলার যেকোনো একটা বড়ো শহর হয়ে উঠেছে। ‘আশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠেছে আলোক মঞ্জির’। পুজোর বাকি মাত্র সাতদিন। কলকাতার মতো বার্লিনের আকাশেও যেন পেঁজা তুলোর মতো মেঘ। বাঙালি এবং দুর্গাপুজো, এক অটুট বন্ধন, যা বাংলা তথা সারা বিশ্বে লক্ষণীয়। 

জার্মানির রাজধানী বার্লিন শহরের বুকে বার্লিন ইগ্ননাইট ই.ভির পুজোও সেজে উঠছে একই সুরে। বিদেশের অনেক পুজো সাধারাণত সপ্তাহের ছুটিতেই হয়। কারণ ছুটি পাওয়া যায় না। তবে বার্লিনের এই পুজোয় শুরু থেকেই বাংলার পঞ্জিকা মেনেই হয়। পঞ্চম বার্ষিক পুজোতেও সেই ধারা অব্যাহত। প্রতিটি নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে পালন হয় এখানে। কুমারী পুজো থেকে চণ্ডীপাঠ, সন্ধি পুজো থেকে মায়ের দর্পণ বিসর্জন কিছুই বাদ যায় না। প্রতিবছর প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে শুরুর দিকে কুমোরটুলি থেকে নিয়ে যাওয়া প্রতিমায় পুজো হয়। সংগঠনের প্রায় ১১৪ জন সদস্য অফিস ও অন্যান্য কাজকে সামলে পুজো প্রস্তুতি সারেন। নিজেরাই সমস্ত আয়োজন করেন। মণ্ডপ তৈরি থেকে সাজসজ্জা সবটাই সদস্যদের হাতের ছোঁয়ার শিল্পের রূপ পায়। হিন্দু গণেশ মন্দিরে প্রতিবছর পুজো হয়। পুজোর কয়েকটা দিন বার্লিনের সমস্ত বাঙালি মিলে তৈরি করে একটা একান্নবর্তী পরিবার।

Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Popular News

Latest News

ভারতীয় প্রাচীন সভ্যতার সঙ্গে মিলে আছে ৪ হাজার বছর আগের সিন্ধু সভ্যতার যুগ। এবার মানুষের সামনে তাই তুলে ধরতে চলেছে গুজরাট সরকার। …

আজ কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। হিন্দু বাঙালিরা ঘরে ঘরে লক্ষ্মীর আরাধনায় ব্যস্ত। লক্ষ্মী বিনা সারা জগৎ অচল। আর লক্ষ্মীও বেশ চঞ্চলা। কোথাও অধর্ম, …

মুকেশ আম্বানি নিজেই একটা ইনডাস্ট্রি। বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের। চাল, ডাল, তেল থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ, টেলিকম- সর্বত্রই ছড়িয়ে রয়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি। মুকেশ …

পাহাড় মানেই একরাশ আনন্দ। পাহাড়ের প্রতি বাঁকেই আছে নতুন জগৎ। তাই পাহাড় মানেই নতুন উন্মাদনা। তবে এখন একটু অফবিট ভ্রমণের দিকে ভ্রমণ …