বাঁশদ্রোণী কাণ্ডকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকেই উত্তাল ছিল কলকাতার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ড। বুধবার, মহালয়ার সকালে বাঁশদ্রোণীতে পে লোডারের ধাক্কায় নবম শ্রেণির এক ছাত্র মৃত্যুতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকায়। দিনভর তপ্ত থাকে পরিস্থিতি। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসন ও কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ভাঙচুর চালানো হয় ঘাতক পে লোডারে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় পাটুলি থানার ওসিকেও। উত্তেজিত বাসিন্দাদের রোষের মুখে পড়েন তিনি। কয়েক হাজার মানুষ পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায়। কিন্তু তৃণমূলের কাউন্সিলার না আসায় ক্ষোভ আরও বাড়তে থেকে।
পাটুলি থানার ওসি ঘটনা স্থলে গেল বিক্ষোভের মুখে পারেন। এক কনস্টেবলকে কিল-চড়-ঘুষি মারারও অভিযোগ ওঠে। দুপুরের পরও পরিস্থিতি শান্ত হয়। কাউন্সিলর এলাকায় না আসায় ক্ষোভের আগুন জ্বলতে থাকে। দুপুরের পর হঠাৎই করে স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর বহিরাগত হামলার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওই দুষ্কৃতীদের পাঠিয়েছেন, তৃণমূল কাউন্সিলার। তাতে নতুন করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় যান ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতা। ঘটনার পর অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে থানার বাইরে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার বিজেপি নেত্রী রুবি দাস। তার মুক্তির দাবিতে রুপা গাঙ্গুলি সারা রাত পাটুলি থানায় অবস্থান করেন। রাতভর অবস্থানের পর বাঁশদ্রোণী থানা থেকে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে । অভিযোগ, পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছেন বিজেপি নেত্রী। বিজেপি কর্মীদের দাবি, গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদকে। ইতিমধ্যে বিজেপি কর্মীরা লালবাজারের ধারে-কাছে জমায়েত করতে শুরু করেছে। তারা হয়তো এবার বৃহত্তর বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যাবে।