‘লোভ’ মানুষকে কোথায় নামাতে পারে তার বহু নিদর্শন আছে। তাই বলে মেয়ে হয়ে বাবা-মাকে খুন! এই নিদর্শন পৃথিবীতে কমই আছে। এমন ঘটনাই ঘটেছিল ২০২০ সালে উঃ ২৪ পরগনার হাবড়ায়। সম্পত্তির লোভে বাবা-মাকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়। সেজন্য শার্প শুটারকে সুপারি দেওয়া হয়েছিল। উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার সেই ঘটনায় সাড়া পড়েছিল এলাকায়। তিনজনকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ২০২০ সালের সেই খুনের ঘটনায় সাজা ঘোষণা করল বারাসত আদালত। সোমবার ওই দম্পতি ও শার্প শুটারকে যাবজ্জীবন সাজা শোনালেন বিচারক। বিচারকের রায় শোনার পরে অবশ্য খুনি মেয়ে ও জামাই যথেষ্ট নির্বিকার ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাজার থেকে সাত লক্ষ টাকার বেশি দেনা হয়ে গিয়েছিল জামাই বান্টি সাধুর। সেজন্য মেয়ে নিবেদিতা সাধু ও জামাই দীর্ঘদিন শ্বশুরকে সম্পত্তি বিক্রির জন্য চাপ দিচ্ছিল ওই দম্পতিকে। কিন্তু ওই দম্পতি কোনওভাবেই মেয়ে-জামাইয়ের কথা শোনেননি। শ্বশুর-শাশুড়ি সরে গেলে সম্পত্তি তাদের। সেই হিসেবে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়েই ওই দম্পতিকে খুনের ছক কষে বান্টি। খুনের জন্য ভাড়া করা হয়েছিল শার্প শুটার অজয় দাসকে। অজয় কথা মতো কাজ করে। তদন্তে নেমে পুলিশ শুরুর দিকে ধোঁয়াশায় ছিল। মৃত দম্পতির মেয়ে-জামাইও তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করছিল। এদিকে পুলিশ বাজারে বান্টির ধারের কথা জানতে পারে। এরপর নিবেদিতা ও বান্টিকে জেরা শুরু হয়। তখনই তাদের পরিকল্পনার কথা জানা যায়। ভাড়াটে খুনি অজয়কেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় বারাসাত আদালত।