October 30, 2024

কলকাতা পৌরনিগমে বিপুল নিয়োগের খবর

কলকাতা পৌরনিগমে বিপুল পদ খালি আছে। ফলে কর্মীদের কাজের চাপ বেড়েই চলেছে। নানা আইনি জটিলতায় এখন নিয়োগ বন্ধ আছে। আগে যা নিয়োগ হয়েছে, তা নিয়ে বে-নিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এবার আবার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। খবরে প্রকাশ, সম্প্রতি বাম কাউন্সিলর নন্দিতা রায় অভিযোগ তোলেন, বিপুল শূন্যপদ রয়েছে কলকাতা পুরনিগমে । এদিকে, লোকবলের অভাবে কাজের সমস্যা হচ্ছে । নিয়োগ নিয়ে পুরনিগমের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি করেন তিনি ।এই প্রশ্নে কর্মিবর্গ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, কলকাতা পুরনিগমের মোট স্থায়ী পদ ৪৬,৪০৪টি । তবে তিনি জানান, এই পদের মধ্যে ২২, ৬২৪টি পদে নিয়োগ সম্ভব । বাকি পদে সরাসরি নিয়োগ করা যায় না, কারণ বাকি পদ পদোন্নতির উপর নির্ভর করে । এর মধ্যে ২২, ৬২৪টি পদের মধ্যে ১৩, ৬৭৮টি পদ খালি আছে। কলকাতা পুরনিগম সূত্রে খবর, 2018 সালের পুর আইন অনুসারে নিয়োগের ক্ষেত্রে এখন রাজ্যের অনুমতি দরকার হয়। বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, সেই নিয়মের ভিত্তিতে ৫, ১৭১টি পদে নিয়োগের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছে পুরনিগম ৷ এছাড়াও ৩২৭টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে ।পাশাপশি জানা যাচ্ছে, কলকাতা পুরনিগমের পদ পুনর্বিন্যাস হচ্ছে । টপ ম্যান, ট্রলি ম্যান, ভিস্তি, প্রপেল ক্র্যাফট ড্রাইভার – এই ধরনের অনেক পদের অবলুপ্তি ঘটছে । আবার বেশকিছু নতুন পদ তৈরিরও প্রয়োজন হচ্ছে । পদ পুনর্বিন্যাসের বিষয়টি নির্ধারণের জন্য কলকাতার মেয়রের নির্দেশে একটি কমিটি তৈরি হয়েছে। এখন স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠছে স্বচ্ছ নিয়োগ নিয়ে, যা প্রায় দুর্লভ হয়ে উঠেছে এই রাজ্যে।

কলকাতা পৌরনিগমে বিপুল নিয়োগের খবর Read More »

ভূত চতুর্দশীতে ১৪ শাক খাওয়ার পিছনে বৈজ্ঞানিক কারণ কি?

ভাবতে অবাক লাগে এখন থেকে হাজার বছর আগে আমাদে বৈদিক ঋষিরা দীর্ঘ গবেষণা করে রচনা করেছিলেন অথর্ব বেদ – যা আসলে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র। সেই সময়ই তাঁরা উপলব্ধি করেছিলেন, শীতের ঠিক আগে শরীরে কিছু ঔষধী প্রবেশ করাতে না পারলে আসন্ন শীতের সঙ্গে শরীর লড়াই করতে পারবে না। তাই তাঁরা এই দিন ১৪ শাক খাওয়ার নিদান দিলেন। ধৰ্মীয় অনুষঙ্গ যুক্ত থাকার জন্য মানুষ তা পালন করে আসছেন। আধুনিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, এই সময় ১৪টি শাক শরীরে একটি অতিরিক্ত বুষ্টার তৈরী করে। ১৪ শাকের মধ্যে থাকে ওল শাক ও বেতো শাক। ওল গাছের পাতা, ডাল লিভারের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। রক্ত আমাশা সাড়াতে কার্যকরী। বেতো শাকে আছে আট ধরনের প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড ও ভিটামিন। অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ত্বকের রোগে খুব উপকারী এই শাক। কেঁউ শাক, যা খাওয়া হয় কালী পুজোর আগের দিন। এই শাকের রস বাতের রোগ ও কুষ্ঠ রোগের সঙ্গে লড়তে বেশ কার্যকরী। শরীররে হজম শক্তিও বাড়ায়। সর্ষে শাকের নাম কিন্তু আছে এই তালিকায়। সর্ষে শাক ভিটামিন, লোহা ও ম্যাগনেশিয়ামের ভাল উৎস। বহু স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর নিমপাতা ভেষজ হিসাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ ত্বকের যত্ন নিতে এবং সুগার রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। শালিঞ্চ শাক খেতে হয় এই দিন। ত্বক, চোখ, চুল ও ডায়ারিয়ার রোগীদের জন্য এই শাক বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও আছে পলতা পাতা বা পটল পাতা খাওয়ার চল রয়েছে। এই শাক শরীরে রক্ত বাড়াতে ও শোধন করতে বেশ উপযোগী। গুলঞ্চ শাক সুগার, যক্ষ্মা, বাত, গানোরিয়ার মতো একাধিক দুরারোগ্য রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বেশ উপকারী এই শাক। জয়ন্তী শাক, হেলেঞ্চা শাক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। শুষনি শাক রক্তের চাপ কমায় আর ঘেঁটু শাক বাত, জ্বর, চুল পড়া, হাঁপানি, সর্দিকাশি, লিভারের অসুখে বেশ উপকারী। আর আছে শতপুষ্প শাক ও কালকাসুন্দে শাক – যা বহু গুনের আধার।

ভূত চতুর্দশীতে ১৪ শাক খাওয়ার পিছনে বৈজ্ঞানিক কারণ কি? Read More »

আজ ‘ভূত চতুর্দশী’ – প্রচলিত বিশ্বাস দিনে ১৪ শাক খাওয়া ও সন্ধ্যায় ১৪ প্রদীপ জ্বালানো উচিত

আগামীকাল কালীপুজো। আজ কার্তিক চতুর্দশী – যাকে ভূত চতুর্দশী বা নরক চতুর্দশীও বলা হয়। ভারতীয় পুরান অনুযায়ী এই চতুর্দশী তিথিতে দিনের বেলায় ১৪ শাক খাওয়া উচিত ও সন্ধ্যায় ১৪ প্রদীপ জ্বালানো উচিত। কিন্তু কেন?পুরান মতে, এই দিন সন্ধ্যায় স্বর্গের দরজা কিছু সময়ের জন্য খুলে দেওয়া হয়। আমাদের পূর্ব পুরুষেরা এই দিন আত্মা রূপে আমাদের ঘরে আসে। তাই তাদের পথ দেখানোর জন্য ১৪ প্রদীপ জ্বালানোর রীতি। প্রাচীনকালে বিদ্যুৎ ছিল না। এইদিন সন্ধ্যার পর থেকেই নিকষ অন্ধকারে ভরে যেত চারিদিক। তাই প্রদীপের আলোয় আলোকিত করা হলো বাড়ি। এই দিন দিনের বেলায় ১৪ শাক খাওয়ার নির্দেশ আছে পুরানে। এই ১৪ শাক হলো –ওল, ভাটপাতা, কেঁউ, শৌলফ, শাঞ্চে, কালকাসুন্দে, পলতা, বেতো, সরষে, নিম, গুলঞ্চ, শুশনি, হিলঞ্চ বা হিঞ্চে, জয়ন্তী। ভূত চতুর্দশীর দিন ১৪ শাক খাওয়ার পেছনে অন্যতম একটি কারণ হলো, এই দিন ১৪ শাক খেলে বাড়ি থেকে অশুভ শক্তি বিদায় হয় বলে বিশ্বাস অনেকের। তবে অনেকেই আবার মনে করেন ঋতু পরিবর্তনের সময় শরীরকে রোগ বালাইয়ের হাত থেকে রক্ষা করে এই ১৪ শাক, ঠিক এমন নানা কারণে ভূত চতুর্দশীর দিন ১৪ শাক খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। 

আজ ‘ভূত চতুর্দশী’ – প্রচলিত বিশ্বাস দিনে ১৪ শাক খাওয়া ও সন্ধ্যায় ১৪ প্রদীপ জ্বালানো উচিত Read More »

বিশ্ব স্ট্রোক দিবসে স্ট্রোকের চিকিৎসায় যুগান্তকারী সাফল্যের দাবী

গীতা দেবী, একজন ৬২ বছরের মহিলা, বছর তিনেক আগে হটাৎ একদিন উনার কথা গুলো জড়িয়ে যায়, তারপর উনি চেতনা হারান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বাড়ির লোকেরা জানতে পারেন উনার সেরিব্রাল স্ট্রোক হয়েছে। অনেকদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরে উনি ছুটি পান। এতো বছর পরেও উনি ঠিক করে কথা বলতে পারেন না। আমাদের দেশে এরকম মানুষের সংখ্যা অসংখ্য, যাঁরা সেরিব্রাল স্ট্রোক এর পরে মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে এলেও সারা জীবন বাক প্রতিবন্ধকতাই ভোগেন। অক্টোবর মাসের ২৯ তারিখ বিশ্বজুড়ে “ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক ডে” পালন করা হয়। প্রতি বছর বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ স্ট্রোকের কারণে মারা যায় এবং বহু মানুষ স্থায়ী প্রতিবন্ধকতায় সারা জীবন ভোগেন। ল্যান্সেট নিউরোলজির (২০১৯) রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতি বছর সারা বিশ্বে অন্তত দেড় কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন। ভারতে এই সংখ্যা ১৮ লক্ষ মতো। পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে স্ট্রোক রুগীর হাসপাতালে ভর্তির প্রথম দিন থেকে বাক চিকিৎসক বা স্পিচ প্যাথলজিস্ট স্ট্রোক কেয়ার টিমে থাকলে স্থায়ী কথা বলার সমস্যা ৭০ শতাংশ কম হয়। এই প্রসঙ্গে এস এস কে এম হাসপাতালের বাক চিকিৎসক বা স্পিচ প্যাথলজিস্ট মহ: শাহিদুল আরেফিন বলেন যে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে যত মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়, তার প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষের ভাষা ও বাক জনিত সমস্যা হয়, তা ছাড়াও ক্রিটিকাল কেয়ার মেডিসিন এর একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ক্রিটিকাল কেয়ার এ ভর্তি ৬০ শতাংশ রুগীর ডিসফ্যাজিয়ার (গেলার সমস্যা) সমস্যা হয় এবং সেখান থেকে এসপিরেটেড নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেক রুগী মারা যান। তিনি আরো বলেন যে আমেরিকান জার্নাল অফ মেডিসিনের (২০২১) রিপোর্ট অনুযায়ী, স্পেচ প্যাথলজিস্টদের পরামর্শ নিয়ে ডিসফ্যাজিয়ার (গেলার সমস্যা) মতো বিষয়ে নজর দিলে গুরুতর অনেক সমস্যা এড়ানো সম্ভব। এমনকি গলাধঃকরণে সমস্যার সঙ্গে কথা বলা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানও একই সঙ্গে সম্ভব। তাতে রোগীর পক্ষে অনেক দ্রুত অনেক বেশি স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে সেরিব্রাল অ্যাটাকের পরবর্তী সময়ে হওয়া শ্বাসযন্ত্রে নিউমোনিয়ার ঝুঁকি ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত কম হতে পারে। বাকশক্তি হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তো কমেই, তাছাড়া মনস্তাত্ত্বিক সমস্যাও অনেকাংশ কম হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো বেশ কয়েকটি দেশে স্ট্রোক হওয়ার ফলে কাউকে আইসিইউতে ভর্তি করলে, প্রথম দিন থেকেই স্পিচ প্যাথোলজিস্টদের পরামর্শ নেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদলের মধ্যেও তাঁদের রাখা হয়। এব্যাপারে আমেরিকান স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন এবং এনএসএইচ গাইডলাইন্সের নির্দিষ্ট নীতিও রয়েছে যা মেনে চলতে হয়। এই নিয়মন অনুযায়ী স্ট্রোক হয়েছে বলে শনাক্ত করা হলে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্পিচ প্যাথোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হয়। এই নীতি চালু হওয়ার পরে দেখা গেছে যে রুগীর হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় ও চিকিৎসার খরচ ও অনেকাংশে কমে যায়। যদিও ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এখনও এই ব্যাপারে উদাসীন। ভারতে মাত্র ২৫ শতাংশ হাসপাতালে স্থায়ী স্পিচ প্যাথলজিস্ট আইসিইউতে বিশেষজ্ঞ টীম এ কাজ করে এবং পুরো বিষয়টিই অবহেলিত। সরকার যাতে এই ব্যাপারে উদ্যোগী হয়ে হাসপাতালের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সচেতন হয় সেই জন্য ওয়ার্ল্ড স্ট্রোকে ডে উপলক্ষে অখিল ভারতীয় বাক ও শ্রবণ সংস্থার পশ্চিমবঙ্গ শাখা স্বাস্থ্য ভবনে সাস্থসচিব ও রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠিও পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংস্থার জেনারেল সেক্রেটারি। তিনি চান আইসিইউতে চিকিৎসা চলাকালীন এবং তার পরে পরেই এই চিকিৎসা শুরু করা হোক। এজন্য সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সরকার দ্রুত ব্যবস্থা করুক। এক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলিতে যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়, সেই পেশাদারি পদ্ধতি এই রাজ্যে চালু করার সুপারিশও তিনি করেছেন।

বিশ্ব স্ট্রোক দিবসে স্ট্রোকের চিকিৎসায় যুগান্তকারী সাফল্যের দাবী Read More »

গর্ভাবস্থায় কিছু জিনিষ খাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করুন – গর্ভস্থ সন্তান সুস্থ থাকবে

  সাধারণভাবে চিকিৎসকেরা এই জাতীয় পরামর্শ দেন না। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণার পরে বিশ্বের অন্যতম কয়েকজন পুষ্টিবিশারদ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য আপনি গর্ভাবস্থায় যে খাদ্য গ্রহণ করবেন,তার অংশ দিয়েই গড়ে উঠবে আপনার গর্ভের শিশুর দেহ। তাঁরা বলছেন,বিবর্তনের ধারায় মানুষের দেহ রান্না করা খাবার খেতেই অভ্যস্ত। বিশেষ করে প্রাণীজ খাবার রান্না করে মানুষ খায়। কিন্তু তা যদি ঠিকঠাক রান্না না হয়,তাহলে তার প্রভাব পড়ে গর্ভের সন্তানের উপর। তাই তাঁদের নিষেধাজ্ঞা – ১) এই সময়ে কাঁচা বা অর্ধসিদ্ধ মাছ খাওয়া চলবে না। আসলে অর্ধসিদ্ধ মাছে থাকতে পারে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু। সেই জীবাণু কিন্তু জটিল অসুখ তৈরি করে। এক্ষেত্রে নোরো ভাইরাস, ভিব্রিও, সালমোনেল্লা, লিস্টেরিয়া ইত্যাদি ক্ষতিকর জীবাণু মায়ের দেহে বাসা বাঁধতে পারে। এর থেকে ভয়ংকর রোগভোগের আশঙ্কা তৈরি হয় – যার প্রভাব পড়বে শিশুর উপর। ২) মাংসের ক্ষেত্রেই একই বিধি। এতেও ব্যাকটেরিয়া ও প্যারাসাইটস, যেমন- টোক্সোপ্লাসমা, ই-কোলি, লিস্টেরিয়া এবং সালমোনেল্লা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এই ধরনের সংক্রমণ থেকে স্টিল বার্থ, স্নায়ুর অসুখ, চোখের সমস্যা, মৃগী ইত্যাদি জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই চেষ্টা করুন মাংস সম্পূর্ণ সিদ্ধ করে রান্না করার। ৩) অর্ধসিদ্ধ ডিম খেলে আদতে শরীরিক সমস্যার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এর মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করতে পারে সালমোনেল্লা ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়া জ্বর, বমি, পায়খানা, পেটে ব্যথার কারণ হতে পারে। আর গর্ভাবস্থায় এই পরিস্থিতি কিন্তু একদমই সুখদায়ক নয়। ৪) এতদিন কফি ছাড়া একদিনও চলতে পারতেন না? সারাদিনে কাপের পর কাপ চা-কফি খেয়ে গিয়েছেন? গর্ভধারণের পর কিন্তু এই অভ্যাস ছাড়তে হবে। এই সময়ে দিনে ২০০ মিলিগ্রামের বেশি চা বা কফি খেলে শরীরে সমস্যা তৈরি হতে পারে। এমনকী গর্ভস্থ শিশুর ওজন বৃদ্ধি আটকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।  ৫) মদ সবসময়ই খারাপ। বিশেষত, প্রেগন্যান্সির সময় নিয়মিত মদ্যপান করলে স্টিল বার্থের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এমনকি ভ্রূণের বিকাশ ঠিকমতো হয় না। এছাড়া ভ্রূণের ফেটাল অ্যালকোহল সিনড্রোম হতে পারে। এতে জন্মের পর শিশুর হার্টের সমস্যা সহ একাধিক অঙ্গের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।   বিশেষজ্ঞদের এই নিধিনিষেধ মেনে চললে আপনি ও আপনার গর্ভস্থ শিশু সুস্থ থাকবে।

গর্ভাবস্থায় কিছু জিনিষ খাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করুন – গর্ভস্থ সন্তান সুস্থ থাকবে Read More »

ভ্রমণ-বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদীর উপর ‘নতুন ড্যাম’ হোক এবারের ভ্রমণ ডেস্টিনেশন

  মানুষের ঢল নেমেছে আত্রেয়ী নদীর উপর নব নির্মিত নতুন ড্যাম দেখার জন্য। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নয়নের মনি এখন ওই ড্যাম। যেখানে সপ্তাহের প্রতিদিনই কয়েক হাজার মানুষের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষত ছুটির দিন গুলিতে অন্যান্য দিনের তুলনায় ভিড় ব্যাপক হয়ে থাকে। প্রচণ্ড রোদের তাপ উপেক্ষা করে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ-সহ বিভিন্ন বয়সের লোকজন ছুটে আসেন আত্রেয়ীর ড্যামে প্রিয় জনকে নিয়ে। কাউকে দেখা গিয়েছে প্রিয় মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে ছবি তুলতে ব্যস্ত। ড্যামকে এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে নব প্রজন্মের কাছে তা খুবই প্রিয়।    একদিন বা দুদিন ছুটি পেলে স্বচ্ছন্দে ঘুরে আসতে পারেন ওই ড্যাম দেখতে। বালুরঘাটবাসীর উইকএন্ড ডেস্টিনেশন গুলির মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আত্রেয়ীর ড্যাম। পড়ন্ত বিকেল হলেই ভিড় জমান এখানে৷ রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতরের উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটনস্থলগুলিকে সাজানো হচ্ছে।সেই মতন সেজে উঠবে আত্রেয়ী নদীর ড্যাম সংলগ্ন বাঁধ এলাকা। নদী তীরের নয়নাভিরাম পরিবেশ আর মানুষের মিলন মেলার আদলে দেখা মিলেছে। আত্রেয়ী নদী ড্যামের সৌন্দর্যের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কাড়ছে আত্রেয়ীর স্বচ্ছ জলরাশি। ইট-পাথরের নগরজীবন থেকে মুক্ত পরিবেশে আত্রেয়ী নদীর পাড় হাজারও দর্শনার্থীর মিলনমেলায় রূপ নিয়েছে।এক দারুন অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরবেন আপনি – যদি আপনি ওখানে যান।

ভ্রমণ-বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদীর উপর ‘নতুন ড্যাম’ হোক এবারের ভ্রমণ ডেস্টিনেশন Read More »

মুহূর্তে দূর হবে মুখের ক্লান্তিভাব

মানুষ এখন খুবই কর্মব্যস্ত। সারাদিন নানা কাজে ব্যস্ত থাকে। তারপর বিকেলে তার সারা শরীর সহ মুখে পড়ে সেই ক্লান্তির ছাপ। সেই ক্লান্তির ছাপ দূর করার কয়েকটি সহজ টিপস দিচ্ছেন  বিশেষজ্ঞরা।  তাঁরা বলছেন,ফেসিয়াল স্প্রে ব্যবহার করলে দ্রুত দূর হবে মুখের ক্লান্তিভাব। তবে বাজারে কিনতে পাওয়া সেই স্প্রের অনেক সাইড এফেক্ট আছে। এতে চামড়ার ক্ষতি হয়। তাই নিজের বাড়িতে বানিয়ে নি ওই ফেসিয়াল স্প্রে।    তিন কাপ জল ফুটিয়ে আধা কাপ পুদিনাপাতা দিন। তারপর জল গ্যাস থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এবার একমুঠো গোলাপের পাঁপড়ি যোগ করে আরও ১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। জল শুকিয়ে অর্ধেক হলে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। সব শেষে ছেকে স্প্রে বোতলে ঢেলে আধা চামচ লেবুর রস ও কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল মিশিয়ে মুখ বন্ধ করে ঝাঁকিয়ে নিন। এতেই আপনি হয়ে উঠবেন তরতাজা।

মুহূর্তে দূর হবে মুখের ক্লান্তিভাব Read More »