October 29, 2024

দীপাবলিতে করুন বাস্তু প্রতিকার – আর্থিক সংকট দূর হবে

দীপাবলি একেবারে দরজায় এসে উপস্থিত। কিন্তু আপনার আর্থিক সংকট মিটছে না। অনেক কিছু পাবার প্রবল সম্ভাবনা থাকলেও কিছুতেই হাতে আসছে না। এই সমস্যা নিয়েই আমরা কয়েকজন বিশিষ্ট বাস্তুশাস্ত্রবিদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। বাস্তুশাস্ত্রবিদেরা বলেন, বাস্তু দোষ থাকলে অনেক হয়ে যাওয়া কাজও হয় না। দীপাবলি হলো আদর্শ সময়, যখন আপনি আপনার বাস্তুদোষ কাটিয়ে উঠতে পারেন। তাঁদের পরামর্শ হলো – ১) দীপাবলি দিন বাড়িতে সুখ, সমৃদ্ধি আনতে বাড়ির উত্তর-পশ্চিম কোণে একটি সুন্দর মাটির পাত্র লাল কাপড়ের মুড়ে তার ভেতরে সোনা ও রুপোর টুকরো দিয়ে রেখে দিন। এতে আপনার বাড়িতে থাকা বাস্তুত্রুটি দূর হবে। সেই সঙ্গে ভাগ্যের দ্বার খুলবে আপনার।  ২) যদি আপনি মাটির পাত্রে কিছু চাল, গম বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রেখে দেন তাহলে আপনার অর্থের অভাব কোনদিনই হবে না। এমনকি জীবনে সফলতা লেগে থাকবে।  ৩) আর্থিক অভাব দূর করতে এবং বাস্তুত্রুটি কাটাতে দীপাবলির দিন পরিবারের সকলের মাথায় সাতবার কালো তিল ঘুরিয়ে বাড়ির উত্তর দিকে ছুড়ে ফেলে দিন। এতে আপনার অর্থহানি হবে না। সঙ্গে পরিবারের শান্তি বজায় থাকবে। ৪) আর্থিক অবস্থার উন্নতি আপনি আরও করতে চাইছেন অর্থাৎ অর্থ সঙ্কট কাটিয়ে আপনি যদি জীবনে উন্নতির মুখ দেখতে চান, তাহলে দীপাবলির দিন একটি সোনার মুদ্রা কিনে ঘরে নিয়ে আসুন। আপনার প্রতি লক্ষ্মী সদয় হবেন। ৫) সম্পদের দেবী লক্ষ্মী ও কুবেরকে খুশি করতে আপনি দীপাবলির দিন ঘরে একটি ময়ূরের পালক আনুন ও কুকুরকে দুধ খাওয়ান। ৬) বাস্তুত্রুটি কাটাতে আপনি দীপাবলির আগেই বাড়িতে একটি নারকেল আনুন। দীপাবলি কেটে যাবার পর আপনি সেই নারকেল জলে ভাসিয়ে দিন। এতে ঘরে সুখ-শান্তি বজায় থাকবে।

দীপাবলিতে করুন বাস্তু প্রতিকার – আর্থিক সংকট দূর হবে Read More »

সিভিল সার্ভিসে পাশ করে সবাইকে চমকে দিয়েছে অতি দরিদ্র আদিবাসী পরিবারের কন্যা বিনি মুরুলি

কথায় বলে, ‘কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে।’ ঠিক তাই যেন কেষ্ট মিলে গেলো ওড়িশার আদিবাসী পরিবারের মেয়ে বিনির। বিনি মুরুলির মা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। বাবা রান্নার কাজ করেন। সামর্থ কই যে কোচিং সেন্টারে ভর্তি হবেন, অথচ বামুন হয়ে চাঁদ ধরার মতো প্রশাসক হওয়ার সাধ। যার জন্য সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসতে হত। শেষ পর্যন্ত স্বপ্ন পূরণে ওড়িশা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসেন তরুণী। কষ্টের চেষ্টায় কেষ্টও মেলে। সকলের আশীর্বাদে বিনি সফল।ওড়িশার মালকানগিরির খেমাগুড়ার বাসিন্দা বিনি। ২০২০ সালে প্রথম বার সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসেন। কিন্তু পাশ করতে পারেননি তিনি। কিন্তু এবারে ব্যর্থতাকে হটিয়ে সিভিল সার্ভিস পাশ করেছেন বোন্দা আদিবাসী সম্প্রদায়ের গর্ব তরুণী। তাকে সম্পূর্ণভাবে সাহায্য করেছে ইউ-টিউব। সরকারি চাকরির কঠিন পরীক্ষা পাশ করার জন্য ইউটিউবের সহযোগিতা নিয়েছিলেন তিনি। ইন্টারনেট থেকেই পরীক্ষার জন্য স্টাডি মেটিরিয়ালও জোগাড় করতেন। এক সাক্ষাৎকারে বিনি বলে, “জানতাম, আমার বাবা-মা কোচিংয়ের জন্য জন্য টাকা জোগাতে পারবেন না। কিন্তু অর্থাভাবকে আমার স্বপ্নের বাধা হতে দিইনি।” আমরা সবাই বিনির জীবনের সাফল্য কামনা করি।

সিভিল সার্ভিসে পাশ করে সবাইকে চমকে দিয়েছে অতি দরিদ্র আদিবাসী পরিবারের কন্যা বিনি মুরুলি Read More »

বাংলাদেশ থেকে সংখ্যালঘু হিন্দুরা ক্রমাগত অসমে প্রবেশ করছে – অসমের মুখ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশের এই মুহূর্তের পরিস্থিতি মোটেই ভালো নয়। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে ওই দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা কিছুটা কোনঠাসা। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বাংলাদেশের হিন্দুরা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করবে, এমন আশঙ্কা করা হলেও যাদেরকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে শনাক্ত করা হচ্ছে, তাদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা মুসলমান। বিশ্ব শর্মা বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে আসাম এবং ত্রিপুরা একসঙ্গে কাজ করছে। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গকেও কঠোর অবস্থানে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে অত্যাচারিত রোহিঙ্গা ও হিন্দুদের একটা অংশ ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করে চলেছে। তিনি আরও বলেছেন, দুই মাস ধরে প্রতিদিনই আমরা আমাদের রাজ্যে একজন অথবা একদল বিদেশি আটকের ঘটনা ঘটছে। আমার কথা হলো, ভারত- বাংলাদেশের মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ সীমানার কারণে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, কিছু লোক এখনো আমাদের দেশে আসছেন।তিনি জানান, গত দুই মাসে আসাম ও ত্রিপুরায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করা ১৩৮ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই ধরনের অনুপ্রবেশ এড়াতে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোকে অবশ্যই সতর্ক থাকার আহ্বান জানান আসামের মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করান তিনি।

বাংলাদেশ থেকে সংখ্যালঘু হিন্দুরা ক্রমাগত অসমে প্রবেশ করছে – অসমের মুখ্যমন্ত্রী Read More »

ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত ফুচকা খেতে পারেন

‘ফুচকা’ শব্দটা শুনলেই জিভে জল আসে প্রায় সকলের। কিন্তু স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ফুচকা খেতে ভয় পান। ভয়ের কিছু কারণ হয়তো আছে। কারণ ফুচকা স্ট্রিট ফুড। ফলে কতটা হাইজিনিক তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবে এখন স্ট্রিট ফুডের চাহিদা প্রচুর। মানুষ খাচ্ছেও। এবার প্রশ্ন ফুচকা খেলে কি ওজন কমে? কবিরাজি মতে ‘টক’ ওজন কমায় ও ‘মিষ্টি’ ওজন বাড়ায়। ট্রেডিশনাল ফুচকাতে থাকে তেঁতুল জল। তেঁতুল মানুষের ওজন কমায় – এটা কবিরাজি সিদ্ধান্ত। এবার আসল কথা। কঠিন ডায়েট চলাকালীন অনেকেই ফুচকা এড়িয়ে চলেন। যেহেতু ফুচকায় প্রচুর মশলা রয়েছে তাই একে ওজন বর্ধক হিসাবেই ধরা হয়। তবে এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ফুচকা খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম একটি হল ওজন কমানো। দ্রুত ওজন ঝরাতে চাইলে, ফুচকা খাওয়া যেতেই পারে। যেহেতু ফুচকার জল টক ও মশলাদার, তাই এটি খিদে কমাতে সাহায্য করে যা অবশেষে ওজন হ্রাসের জন্য সাহায্য করে। এখনকার ফুচকায় থাকে পুদিনার জল। দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখা পুদিনার গুণ। ঘন ঘন খিদে পাওয়ার প্রবণতা কমে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে সুবিধে হয়। এছাড়া যে কোনওরকম টকজলই ওজন কমাতে পারে। আমরা অনেকেই জানি না পুদিনাপাতার এত গুণ যে বছরভরই খাওয়া যায়। বিশেষ করে ডিটক্স ওয়াটারের গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ পুদিনাপাতা। ডায়েটিশিয়ানরা ক্লান্তি কমাতে এবং ওজন কমানোর জন্য ঘরে তৈরি ফুচকার পরামর্শ দেন। বাড়িতে ফুচকা বানানোর একটা সুবিধা হল এটি কম তেলে ভাজা যায়। অতিরিক্ত স্বাস্থ্য উপকারের জন্য ফুচকার সঙ্গে জিরা বা জল জিরার জলও ব্যবহার করা যেতে পারে।

ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত ফুচকা খেতে পারেন Read More »

সোমবার কলকাতার পুজো উদ্বোধন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিলেন রাজনৈতিক বার্তা

দুর্গাপুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই সামনে চলে এল কালীপুজো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের বাড়িতেই হয় কালীপুজো। প্রশাসনিক সমস্ত দায়িত্ব সামলে সোমবার তিনি জানবাজার সম্মিলিত কালীপুজো সমিতি, ইন্ডিয়া ক্লাব, ইয়ুথ ফ্রেন্ডস ক্লাব, গিরিশ পার্ক ফাইভ স্টার স্পোর্টিং ক্লাব এবং ভেনাস ক্লাবের পুজোর উদ্বোধন করেন। সর্বত্রই তিনি শান্তির বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাংলায় কোনো জাতি, ধর্মের ভেদাভেদ নেই। সেই ঐতিহ্যকে বজায় রাখতে হবে। বাংলা বিভিন্ন ভাষাভাষী, বিভিন্ন জাতির মানুষের থাকার জায়গা। বাংলাই একমাত্র জায়গা যেখানে কেউ কাউকে তাঁর জাতপাত, ভাষা, খাদ্যাভাস নিয়ে প্রশ্ন করেন না। সোমবার কলকাতায় কালীপুজোর উদ্বোধন থেকে এমনই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সঙ্গে রাজনৈতিক কথা বলতেও তিনি ছাড়েন নি। ইয়ুথ ফ্রেন্ডস ক্লাবের কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ওই জায়গাটি তাঁর বিধানসভা (ভবানীপুর) এলাকার মধ্যে পড়ে। বাঙালি, গুজরাতি, মুসলমান, খ্রিষ্টান— সমস্ত ধর্ম এবং জাতির মানুষ মিলেমিশে থাকেন। কিন্তু ভোটের সময় বেশ কিছু রাজনৈতিক দল ভাগাভাগির চেষ্টা করেন। মমতার কথায়, ‘‘এটা খারাপ।’’ তিনি বলেন, ‘‘আমার একটা জিনিস শুনে খারাপ লাগে, ভোটের সময় অনেকে বাঙালি-অবাঙালি করেন। মনে রাখবেন, জায়গাটার নাম বাংলা। আমার সবাইকে নিয়ে চলব। শেক্সপিয়ার সরণি সর্বজনীন কালীপুজোটি যেখানে হচ্ছে সেটা আমার বিধানসভা। আমি কৃতজ্ঞ যে আপনারা আমাকে সমর্থন (উপনির্বাচনে) করেছেন। কিন্তু লোকসভায় ‘বুথ-টু বুথ’ দেখেছি ন’শো (ভোটার) থাকলে আমরা একটা পেয়েছি। এটা কেন হবে? এখন তো বুথের রেজাল্ট দেখা যায়। দেখা যায়, কোন বুথে কে পাচ্ছেন কে পাচ্ছেন না। এখানে কাউন্সিলর আমাদের, বিধায়ক আমাদের, সাংসদও আমাদের। বাংলা তাঁদের, যাঁরা বাংলার জন্য ভাবেন। বাংলা একমাত্র জায়গা যেখানে কেউ আপনাকে জিজ্ঞেস করবে না, আপনি কোন ধর্মের?”

সোমবার কলকাতার পুজো উদ্বোধন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিলেন রাজনৈতিক বার্তা Read More »

তন্ময় কাণ্ডে আজ মাঠে নামবেন সায়ন্তিকা

সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য কান্ড হাতে পেয়ে ছেড়ে দিতে রাজি না তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাই বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা ব্যানার্জী আজ, মঙ্গলবার বিকেল ৪টের সময় পথে নামছেন দলীয় কর্মীদের নিয়ে। তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় সোমবার লেখেন, “আপনাদের কাছে অনুরোধ সকলে এই প্রতিবাদ মিছিলে অংশগ্রহণ করুন ও এই নক্কারজনক ঘটনার বিরুদ্ধে গর্জে উঠুন।’’ সূত্রের খবর, আজ বিকেলে উত্তর বরানগর ও দক্ষিণ বরানগর থেকে দুটি মিছিল বের হবে তৃণমূলের। আর তা এসে মিলিত হবে বরানগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। মিছিলেন নেতৃত্ব দেবেন বিধায়ক সায়ন্তিকা। রাজনীতির ময়দানে এটা স্বাভাবিক। তবে নাগরিক মহলের প্রশ্ন,’অপরাধ প্রমাণিত না হলে, সে অপরাধী নয়’ – মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তার পরেও তৃণমূল কংগ্রেস কি করে তন্ময় ভট্টাচার্যকে অপরাধী বানিয়ে দিলেন। তাছাড়াও তন্ময় ভট্টাচার্যের একগুচ্ছ প্রশ্নের উত্তর কিন্তু এখনও অভিযোগকারিণীর কাছ থেকে পাওয়া যায় নি।

তন্ময় কাণ্ডে আজ মাঠে নামবেন সায়ন্তিকা Read More »

বাংলার ডাকাত কালী – নানা কিংবদন্তি নিয়ে আজও পুজো হয়ে চলেছে

একটা সময় ছিল যখন কালীপুজো ছিল প্রধানত ডাকাতদের পুজো। ঘোর অমাস্যার নিকষ কালো অন্ধকারের মধ্যে কালীপুজো দিয়েই ডাকাতের দল বেরিয়ে পড়তো ডাকাতি করতে। তারপরে সময়ের বিবর্তনের সঙ্গে সেই ডাকাতের পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু তেমন অনেক পুজো এখনও চলছে সমান তালে। এই পুজো তালিকায় আমাদের প্রথমেই মনে আসে রঘু ডাকাতের কথা। এই রঘু ডাকাত নাকি কালীপুজো করেই ডাকাতি করতে যেত। সে একা নয়, তার দলের সকলেই। সেই গল্পকে ছুঁতে চাইলে একবার ঘুরে আসতে পারেন কাশীপুরের খগেন চ্যাটার্জি রোডের রঘু ডাকাতের কালী মন্দির থেকে। শোনা যায়, এই মন্দিরের চিত্তেশ্বরী সর্বমঙ্গলা কালী প্রতিমা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রঘু নিজে। মন্দির চত্বরে দেবী সর্বমঙ্গলা ছাড়াও রয়েছে তিনটি শিব মন্দির। একবার জলা অঞ্চলে দেবীমূর্তি ও মহাদেবের মূর্তি দেখতে পেয়েছিলেন রঘু ডাকাত। পরে দেবী তাঁকে স্বপ্নাদেশ দেন। সেই আদেশ মেনেই নাকি ওই মূর্তিকে অধিষ্ঠিত করেন তিনি। সেই পুজো কিন্তু এখনও চলেছে সমান উৎসাহে। এর পরেই আমাদের স্মরণে আসে মনোহর ডাকাত। শোনা যায়, অধুনা মনোহরপুকুর রোডে পলাশীর যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে ছিল ঘন জঙ্গল। সেখানে দাপিয়ে বেড়াতেন মনোহর ডাকাত। যে দর্শনার্থীরা কালীঘাট মন্দিরে যেতেন, তাঁদের ফেরার পথে আচমকাই জঙ্গলের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসত ডাকাতের দল। সর্বস্ব লুঠে নিত নিরীহ পথিকদের। এই মনোহর ডাকাত করতেন ছানা কালীর পুজো। সেই পুজো কিন্তু নতুন রূপে এখনও হয়ে চলেছে। আরেক ডাকাত কালীপুজোর কথা না বললেই নয়, তিনি হলেন বিশে ডাকাত। তার নামের সঙ্গে জড়িয়ে বুনো কালীর মন্দির। হুগলীর ডুমুরদহের বিশে ডাকাতের ভয়ে কাঁপত সাধারণ গৃহস্থ। আবার দোর্দণ্ডপ্রতাপ ইংরেজ সরকারও থাকত তটস্থ। শোনা যায় নৌকায় চেপে হুগলী থেকে সদলবদলে একেবারে যশোর পর্যন্ত চলে যেতেন বিশে ওরফে বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। ডাকাতি করে গঙ্গার পাড়েই বিরাট বাড়ি তৈরি করেছিলেন তিনি। বিশে ডাকাতের প্রচলিত যেই পুজো কিন্তু এখনও করছেন স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষেরা।

বাংলার ডাকাত কালী – নানা কিংবদন্তি নিয়ে আজও পুজো হয়ে চলেছে Read More »