ভ্রমণ -বাংলার সুইজার ল্যান্ড – ‘টোরিয়াক বা তোরিয়াক’ – কার্শিয়াং এই অদূরেই সিটঙ-২ এর অংশ

 এবার ব্যাপক ভিড় হচ্ছে দার্জিলিং,কালিংপং ও কার্শিয়াংএ। পাহাড়ে যেতে আপনার মন চাইছে। তাই আপনাদের জন্য আজ আনছি নতুন পাহাড়ি গ্রাম ‘টোরিয়াক বা তোরিয়াক’-যা বাংলার সুইজারল্যান্ড নামে খ্যাত।  এমনকী পাহাড়ে ইদানিং ট্রাফিক জ্যামও হচ্ছে। তবে এসব থেকে বাঁচতে, প্রিয়জনের সঙ্গে নিভৃতে সময় কাটাতে আপনি যেতেই পারেন দার্জিলিংয়ের অফবিট কিছু জায়গায়। সেই অফবিট ডেস্টিনেশনের মধ্যে অন্যতম হল তোরিয়ক। চোখ বন্ধ করে একবার ভাবুন, পাহাড়ের নির্জন পথ, কাঞ্চনজঙ্ঘায় মেঘ রোদের খেলা, হালকা ঠান্ডা, আপনি প্রিয়জনের হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছেন। সিটংয়ে অনেকেই ছুটি কাটাতে যান। এটা হল সেই সিটংয়েরই অংশ। গোটা এলাকা ঘুরলে আপনার মনে হতেই পারে বাংলার সুইজারল্যান্ডে চলে এসেছেন। তবে এই বিশেষনটি একটু অতিরঞ্জিত মনে হলেও হোমস্টের জানালা খুলে যখন দেখবেন সামনেই কাঞ্চনজঙ্ঘা, তখন অনেক কিছুই ভুলে যাবেন।   কার্শিয়াং থেকে কাছেই এই সুন্দরী থাকে। শিলিগুড়ি থেকে দূরত্ব মোটামুটি ৬৮ কিমি। সরাসরি এনজেপি থেকে গাড়ি নিয়েও আসতে পারেন। একাধিক হোমস্টে গড়ে উঠেছে এলাকায়। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এখানে মরসুম শুরু হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আগাম বুক করে আসবেন। অনেকেই কমলালেবু দেখার জন্য সিটংয়ে আসেন। আর এটা সিটং ২ এর মধ্যে পড়ছে। এখানকার মূল আকর্ষণ হল এখানকার নির্জনতা, কাঞ্চনজঙ্ঘা আর পাইনের বন। প্রিয়জনের হাত ধরে নির্জন পথে হাঁটুন অনেকটা পথ। শতবার চেষ্টা করেও মনের যে কথাটা বলতে পারেননি, সেটা এই নির্জন পাহাড়ে ঠিক বলতে পারবেন। এখানে মূলত লেপচাদের বাস। অপূর্ব তাঁদের ছবির মতো সুন্দর গ্রাম। পাহাড়ের কোলে এ এক অন্য জীবন।

এমন রামধনু ঝর্ণা প্রকৃতির অনুপম দান

পাহাড় থেকে ঝর্ণা নিচে নেমে আসবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু তার রঙ যদি হয় একদম রামধনুর মতো সাত রঙা ! তাহলে? সেটাই আমাদের আজকের অফবিট নিউজ। ১৪৫০ ফুট উঁচু থেকে ঝরে পড়া আশ্চর্য রঙের ফোয়ারা। যা দেখে মুগ্ধ হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। কথা বন্ধ করে দেয় এমন দৃশ্য, হাঁ করে তাকিয়ে থাকে দর্শক। আসলে পাহাড়ের ফাটল বেয়ে নেমে আসা একটি জলপ্রপাত। প্রবল হাওয়ায় সে জল ক্রমাগত উড়ছে। তার উপর সূর্যের আলো পড়তেই ম্যাজিক! সাধারণ ঝরনা হয়ে ওঠে রংধনু জলপ্রপাত। সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে এই অপরূপ নৈসর্গিক দৃশ্য। কোথায় রয়েছে এই জলপ্রপাত? এমন জলপ্রপাত বিশ্বে ব্যতিক্রম। আবার এমন সুন্দর রঙ সব সময় পাওয়াও  যায় না।   হ্যাঁ,আমরা বলছি সুদূর আমেরিকার ইয়োসেমাইট ন্যাশানাল পার্কের জল প্রপাতের কথা। একই আমরা বলছি রামধনু ঝর্ণা। মার্কিন মুলুকের রংধনু ঝরনা! ক্যালিফোর্নিয়ার ইয়োসেমাইট ন্যাশানাল পার্কের বিখ্যাত ইয়োসেমাইট জলপ্রপাত। যদিও এই নামে তাকে মানায় না মোটেই। যে ঝরনা মহাজাগতিক, শিল্পীর সাতরঙা জলের প্যালেট যেন। রংধনু ঝরনাই তার উপযুক্ত নাম। মনকাড়া ঝরনার পুরনো ভিডিও নতুন করে ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। উল্লেখ্য, ইয়োসেমাইট জাতীয় উদ্যান ক্যালিফোর্নিয়ার চারটি ভিন্ন কাউন্টি জুড়ে বিস্তৃত এবং প্রায় ৭,৬১,৭৪৭ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। সেখানেই রয়েছে পর্যটকদের প্রিয় জলপ্রপাত। যেখানে সূর্য উঠলেই শুরু হয় রঙের লীলা! এমন কেন হয়? এমন রঙের ছটা দেখে বোঝা যায় প্রকৃতি কত বড়ো শিল্পী। আসলে জলের ধারা বিরাট উঁচু থেকে নামে। মাঝপথ প্রবল হাওয়ার দাপটে ওড়ে কোটি কোটি জলকনা। তার মধ্যে সূর্যের আলো পড়তেই শুরু হয় এই কাণ্ড। তখন প্রায় দেড় হাজার ফুট উচ্চতা জুড়ে থাকা পুরো প্রপাতটাই প্রকৃতির মায়ার খেলায় হয়ে ওঠে আস্ত রমধনু। দেখলে বঙ্কিমচন্দ্রের নব কুমারের মতো বলতেই হয়, ‘আহা! কি দেখলাম। জন্ম জন্মান্তরেও ভুলিব না।’

ধনতেরাসের দিন ঘটতে চলেছে এই বিরল ঘটনা – ভাগ্য খুলবে কিছু জাতকের

ধনতেরাস এক সময় মূলত উত্তর ভারতে পালিত হলেও এখন বাংলার ধর্মপ্রাণ ধনতেরাস পালন করেন। এবার ধনতেরাস পালিত হবে ২৯ অক্টোবর। কথিত আছে, এই বিশেষ দিনে সমুদ্র মন্থনের সময় ভগবান ধন্বন্তরি অমৃতের পাত্র নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাই ধন্বন্তরি দেবতাকে এই বিশেষ দিনে পুজো করা হয়। তাছাড়াও এই বিশেষ জিনিস সম্পদ, সমৃদ্ধির দেবতা কুবের দেবতার পুজো করা হয়।এ ধনতেরাসের দিন খুব বিশেষ হতে চলেছে। কারণ ১০০ বছর পর ধনতেরাসের দিন বিরল ঘটনা ঘটতে চলেছে, জানুন কী কী ঘটবে, কোন রাশির ব্যক্তিদের সাফল্যের সময় শুরু হবে। এই ধনতেরাসের দিন ত্রিগ্রহী যোগ, পুষ্কর যোগ, ইন্দ্র যোগ, বৈদ্যুতি যোগ, উত্তরা ফাল্গুনী নক্ষত্রের দুটি শুভ যোগ তৈরি হতে চলেছে। এসময় কিছু রাশির জাতক জাতিকাদের উপর যোগের বিশেষ প্রভাব পড়বে। ধনু রাশি – ধনু রাশির জাতক-জাতিকাদের সাফল্যের সময় শুরু হবে। আপনি চাকরি থেকে ব্যবসায় খুব এগিয়ে যেতে পারবেন। বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আপনার। কর্মক্ষেত্রে আয়, উন্নতি বাড়তে থাকবে আপনার। অংশীদারিত্ব ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে পারেন।  তুলা রাশি – তুলা রাশির জাতক-জাতিকাদের ধনতেরাস থেকে অত্যন্ত শুভ হতে চলেছে। এই সময় আপনার ব্যবসায় আটকে থাকা সব কাজ হয়ে যাবে। আগে ব্যবসায় বিনিয়োগ করা অর্থ থেকে আপনি মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। যারা সোনা ব্যবসা করছেন তাদের আর্থিক দিকে খুব লাভ হবে। নতুন সম্পত্তি কিনতে পারবেন। মেষ রাশি – ধনতেরাসের দিন মেষ রাশির জাতক জাতিকাদের আর্থিক দিকে লাভ হবে। এসময় মা লক্ষ্মীর কৃপা ছাড়াও বিষ্ণুর কৃপাও পাবেন এই রাশির ব্যক্তিরা। এই সময়ে আপনার মনের গুপ্ত ইচ্ছা পূরণ হবে। আপনার ব্যবসায় আটকে থাকা প্রত্যেকটি কাজ হয়ে যাবে।

ভারত ও চিন পরস্পরকে সৌজন্যের বার্তা দিলেন ব্রিকস সম্মেলনে

এবার মনে হয় নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে ভারত ও চিন পাশাপাশি আসতে চলেছে। আর যদি সেটা সম্ভব হয় তাহলে অনেক সহজেই পৃথিবীতে শান্তি ফিরে আসতে পারে। এদিন এশিয়ার দুই সুপার পওয়ারের মধ্যে গ্লোবাল সাউথ নিয়েও কথা হয়েছে। আরও একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুঝিয়ে দিয়েছেন, এশিয়ার ছোট দেশগুলির কণ্ঠস্বর ভারতই। তবে দুই দেশই একে অপরকে সৌজন্যের বার্তা দিয়েছে। ভারত-চিনের প্রাচীন সভ্যতা ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনের কথা স্মরণ করেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সামরিক তৎপরতা কমানো এবং দুই দেশের টহলদারির বিষয়ে একমত হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়ার কাজান শহরে বৈঠকে বসে এশিয়ার দুই সুপার পাওয়ার। আলোচনা খুবই সহযোগিতা মূলাক হয়েছে বলেই খবর। ২০১৯ সালের পর রাশিয়ায় ব্রিকস সামিটের মাঝে প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। যেখানে যুযুধান প্রতিপক্ষকে মোদি সাফ জানিয়ে দিলেন, সীমান্তে শান্তি ফেরানোই অগ্রাধিকার। পাশাপাশি নয়াদিল্লি যে গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠস্বর, এদিন সেই প্রচ্ছন্ন বার্তাও দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আলোচনার টেবিলে কার্যত মোদির বার্তা ছিল, গালওয়ান সংঘর্ষের মতো ঘটনা যেন ভবিষ্যতে না হয়, এছাড়াও গত কয়েক বছরে সীমান্তে লালফৌজের তৎপরতা, মানচিত্র বিকৃতি, তৎসহ বেজিংয়ের অযৌক্তিক দাবিকে ভারত যে ভালো চোখে দেখছে না, সেকথাও বুঝিয়ে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, দুই দেশই এবার শান্তির পক্ষে কথা বলেছেন।

‘দানা’ সংবাদ – ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চল

রাত ১২টা নাগাদ দানা মূল ভূখন্ড স্পর্শ করার বেশ কিছু সময় আগে থেকেই কলকাতায় বৃষ্টি শুরু হয়। শুক্রবার দিনভর দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। সাইক্লোন দানা ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া চলেছে রাতভর। তারই প্রভাবে শুক্রবার ভোর থেকেই শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। সাগরদ্বীপ তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে রাত থেকেই। বেলা বাড়লেও শহর কলকাতার আকাশে আলোর দেখা নেই। বৃষ্টি হয়ে চলেছে অঝোরে। একাধিক জেলায় জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। এই বৃষ্টি জারি থাকবে আগামী ২/৩ দিন।শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে প্রবল বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণের বাকি জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার সকালের প্রেস রিলিজে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে ইতিমধ্যে কোথায় কত বৃষ্টি হয়েছে – কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় প্রবল বৃষ্টি –

আসন্ন উপনির্বাচন কি ২০২৬ এর অ্যাসিড টেস্ট?

সামগ্রিক পরিস্থিতির আমূল কোনো পরিবর্তন হয় নি। হ্যাঁ, একথা ঠিক যে আর জি কর কান্ড নিয়ে মধ্যবিত্ত বাঙালি যেভাবে প্রতিবাদে পথে নেমেছে, তা হয়তো স্বাধীনতার পরে আর দেখা যায় নি। কিন্তু প্রশ্ন, সেই প্রতিবাদ কার বিরুদ্ধে? সবটা কি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে? মোটেও তা নয়, ওদের মূল শ্লোগান – ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। এই জাস্টিসের দাবি দুই সরকার, সমাজ, সাধারণ মানুষ সকলের কাছে। তাই এই ঘটনাকে ২০০৬-‘০৭ সালের সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের আন্দোলনের সঙ্গে তুলনা করা অর্থহীন। তবে এই নিয়ে আলোচনা চলেছে নাগরিক মহলে। এবার একটু দেখে নেওয়া যাক উপনির্বাচনের ভূগোল। পাঁচ জেলা। ছয় আসন। উত্তরে কোচবিহারের সিতাই ও আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটি। পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর। বাঁকুড়ার তালডাংরা। আর উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ও নৈহাটি। এই ৬টি আসনের মধ্যে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পাঁচটি জিতেছিল তৃণমূল। আর মাদারিহাট আসনটি জিতেছিল বিজেপি। ইতিহাস বলছে, এই ৬টি আসনের মধ্যে হাড়োয়া আসনটি ২০১১ সাল থেকে তৃণমূলের দখলে। একুশের নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ৫৭ শতাংশের বেশি পেয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। উত্তর ২৪ পরগনার আর এক আসন নৈহাটি রাজ্যে পালাবদলের সময় থেকে ঘাসফুল শিবিরের দখলে। মেদিনীপুর আসনটিও ২০১১ সাল থেকে ঘাসফুল শিবিরের দখলে। ২০১৬ সাল থেকে তালডাংরা আসনটি তৃণমূলের দখলে। উত্তরের কোচবিহারের সিতাই আসনে ২০২১ সালেই প্রথম জেতে তৃণমূল। তার আগে পরপর তিন বার সেখানে জিতেছিল কংগ্রেস। উত্তরের আর এক আসন মাদারিহাট ২০১৬ সাল থেকে বিজেপির দখলে। তার আগে প্রায় সাড়ে চার দশক আসনটি দখলে রেখেছিল আরএসপি। এই আসনে এখনও পর্যন্ত একবারও জেতেনি তৃণমূল। এবার চতু্র্মুখী লড়াই। তৃণমূল স্বাভাবিকভাবেই ৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও ৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। বামেদের সঙ্গে জোট না হওয়ার পর কংগ্রেস ৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে। আর বামেরা পাঁচটি আসনে লড়বে। হাড়োয়ায় প্রার্থী দিয়েছে আইএসএফ। ফলে ৬টি আসনেই চতুর্মুখী লড়াই। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, বাংলায় অনেকদিন পর চতুর্মুখী লড়াই হচ্ছে। একটা প্রশ্ন ভোট বিশ্লেষকদের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে,আরজি কর কাণ্ড ঘিরে জুনিয়র ডাক্তার ও সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের পর রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। আরজি কর কাণ্ডের নিন্দা করে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। রাত দখল করেছেন মহিলারা। এবং শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ লক্ষ করা গিয়েছে। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। এই ক্ষোভ কি ভোটবাক্স পর্যন্ত পৌঁছবে? আরজি কর কাণ্ডের প্রভাব কতটা পড়বে ভোটবাক্সে? এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,”আরজি কর ইস্যুতে সাধারণ মানুষ আন্দোলনের জন্য আন্দোলন করছেন, নাকি সরকার পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করেছেন, সেটাই প্রমাণিত হবে।” কুনাল ঘোষ বলেছেন, “যারা ইদানিং মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়াতে লাফাচ্ছে, সেই সিপিএম, লিখে রাখুন, ৬টাতেই আবার তৃতীয় বা চতুর্থ।”

‘দানা’ সংবাদ – রাত ১২টার কিছু পরেই শুরু হয় ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া

শেষ পর্যন্ত সমস্ত আশঙ্কাকে সত্যিই প্রমাণ করে প্রায় মধ্য রাতে দানা ঢুকে পড়লো ওড়িশা ভূখন্ডে। এই প্রক্রিয়া চলবে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা। আর তার জেরেই চলেছে বৃষ্টি সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। যেমনটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, ঠিক তেমনই হচ্ছে। যত আলো ফুটছে, তত পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির দাপট বাড়ছে। উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দুর্যোগের আশঙ্কা সবথেকে বেশি। কলকাতায় যে র‍্যাডার আছে, সেই র‍্যাডার চিত্র অনুযায়ী, পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ভারী বৃষ্টি কলকাতাতেও। বাংলায় এখন পর্যন্ত ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির কোনো খবর না পাওয়া গেলেও অনেক গাছ ভেঙেছে। ওড়িশায় ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া হচ্ছে। বিপর্যয়ের রাতের পরে সকাল এল। ওড়িশার ধামরায় রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। উপড়ে গিয়েছে গাছ। এমনকী পেট্রোল পাম্পের যে মেশিন থাকে, সেটাও উপড়ে পড়ে গিয়েছে। ওড়িশার ভদ্রকে বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে ধামরায়। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। বিভিন্ন জায়গায় উপড়ে পড়েছে গাছ। অন্ধকারের মধ্যেই ঝোড়ো হাওয়ার শব্দ শোনা যাচ্ছে। ভদ্রকেও ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় উপড়ে পড়েছে গাছ। ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আজ ভারী বৃষ্টি চলবে। চারটি জেলায় লাল সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সকালের ঝোড়ো হাওয়ার বেগ বেশি থাকবে।