October 24, 2024

ভ্রমণ-কোলকাতার অদূরেই ‘মাছরাঙা’ দ্বীপ – নামের মতোই রোমান্টিক জায়গা এই দ্বীপ

দিন দুই ছুটি আছে,আর হাতে আছে সামান্য কিছু টাকা। পরিবারের লোকেরা একটু কোথাও ঘুরতে চাইছে। তাহলে চলুন ইছামতির বুকে গড়ে ওঠা মাছরাঙা দ্বীপ। মাছরাঙা দ্বীপ! নানটা কেমন যেন একটি অদ্ভুত তাই না। মাছরাঙা পাখির নাম সকলেরই জানা কিন্তু মাছরাঙা নামে এ রাজ্যে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে একটি দ্বীপ আছে! হয়তোবা অনেকেরই অজানা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পর্যটনকেন্দ্র টাকির কাছে ইছামতি নদী ও ভাসা নদীর ঠিক মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত এই মাছরাঙা দ্বীপ। যদি একান্তে কিছুদিন কাটাতে চান তাহলে যেতেই পারেন এই মাছরাঙা দ্বীপে। কলকাতা থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই দ্বীপ অন্যান্য সব দ্বীপের থেকে অনেকটাই আলাদা। ইছামতির মাঝখানে অবস্থিত এই দ্বীপের কাছেই বাংলাদেশ। এখান থেকে আপনি দেখতে পারবেন বাংলাদেশি জেলেদের মাছ ধরতেও। অপূর্ব সেই দৃশ্য। মনে হবে আপনার পূর্বপুরুষদের সেই দেশ – বাংলাদেশ।   আপনি কি একটু এডভেঞ্চার রসিক? যদি অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন তবে ওখানে পেয়ে যাবেন ম্যানগ্রোভের ঘন জঙ্গল সঙ্গে পাবেন একরাশ মাছ মাছরাঙার দর্শণও। সম্পূর্ণ দ্বীপটির উপর তাদের স্নেহের পরশ ঢেলে দিয়েছে সারি বাঁধা বৃক্ষরাশি। তবে টাকির এই মাছরাঙা দ্বীপে আপনি যাবেন কিভাবে! মহানগর কোলকাতা থেকে ট্রেনে শিয়ালদাহ স্টেশন থেকে হাসনাবাদ লোকাল ধরে প্রায় দু’ঘন্টার সময়ের ব্যবধানে পৌঁছে যাবেন টাকি স্টেশন। সেখান থেকে অটো কিংবা টোটোতে ১০ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে যাবেন ইচ্ছামতি নদীর তীরে। টাকি ইছামতি নদীর থেকে নৌকা অথবা লঞ্চে পৌঁছে যাবেন এই মাছরাঙা দ্বীপে। প্রাচীন সীমান্ত শহর টাকির পর্যটন কেন্দ্র গুলির ঘোরার পাশাপাশি মাছরাঙা দ্বীপ ঘুরতে ভুল করবেন না। এই জায়গাটি প্রকৃতিপ্রেমী ও পাখিপ্রেমীদের জন্য একটি আদর্শ জায়গা। প্রতিদিন সূর্যাস্তের সময়ে ইছামতি নদীর কোলে ধীরে-ধীরে ঢলে পড়া সূর্যের শেষ আলো এক মায়াবী সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে থাকে। এই দ্বীপটির নাম মাছরাঙা হলেও এই দ্বীপটিতে এলে আপনাকে শুধুই মাছরাঙা দেখেই ফিরে যেতে হবে না। এর সঙ্গে দেখা মিলবে আরও নানা প্রজাতির পাখি। দুদিনের জন্য অপূর্ব নৈসর্গিক পরিবেশে ঘুরে আসুন এই দ্বীপ থেকে।

ভ্রমণ-কোলকাতার অদূরেই ‘মাছরাঙা’ দ্বীপ – নামের মতোই রোমান্টিক জায়গা এই দ্বীপ Read More »

বিরামহীন ‘কান্তি’ ধুতি গুটিয়ে নেমেছেন দানার মুখোমুখি

ঝড়ের চেয়েও সুন্দরবনের মানুষের কাছে যে মানুষটা দ্রুত পাশে গিয়ে দাঁড়ায় তিনি বাম নেতা কান্তি গাঙ্গুলি। ভোটে হয়তো হেরেছেন কিন্তু মানুষের সঙ্গ ছাড়েন নি। তাই তো সুন্দরবন অঞ্চলে একটা প্রচলিত প্রবাদ -‘ঝড়ের আগে কান্তি।’ এবারও তার ব্যতিক্রম হয় নি। ঠিক পৌঁছে গেলেন সেখানে। ওড়িশার ধামরায় বৃহস্পতিবার রাত্রি সাড়ে এগারোটা নাগাদ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ঘূর্ণিঝড়ের। তবে তার প্রভাবে অশান্ত থাকবে উপকূলের দুই জেলা। পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। তবে সেখানে নদী-সমুদ্র ধীরে ধীরে রূপ বদলাতে শুরু করলেও ঝড় সেভাবে এখন হচ্ছে না। আর দানা হানা দেওয়ার আগেই মুহূর্তেই এসে হাজির সিপিএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। আয়লা,আমফান,ইয়াস,রেমালের মতো বহু ঝড়-ঝাপ্টা সামলেছে সুন্দরবন। এখানকার মানুষ যেমন ঝড় চেনে। তেমনই চেনে কান্তিকেও। আর সেই চেনা একই ছবি। কান্তি গাঙ্গুলি বলেন, এই মানুষগুলো বড়ো অসহায়। তাদের পাশে না থাকলে আর আমি মানুষ কিসের! রায়দিঘির কুমোড়পাড়ায় ঝড় মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি রয়েছে তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ঘুরে দেখলেন নদী বাঁধ এলাকা। প্রান্তিক মানুষদের কষ্টের কথাও শুনলেন। ঝড়ের সতর্কতা হিসেবে পরামর্শও দিলেন।বস্তুত, বাম নেতৃত্বের সেই দাপট আর নেই। তবে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় আজও সাধারণ মানুষ থেকে মৎস্যজীবীদের পাশে থেকে গিয়েছেন। কখনো নিজের তাগিদে, কখনো ডাক পেয়ে বিপন্ন মানুষদের কাছে ছুটে গিয়েছেন। বাম আমলে তিনি ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী। তবে বর্তমানে মন্ত্রী বা বিধায়ক পদেও নেই। আগের মতো সামর্থ্যও আর নেই। তবুও আছেন মানুষের পাশে।

বিরামহীন ‘কান্তি’ ধুতি গুটিয়ে নেমেছেন দানার মুখোমুখি Read More »

পুনেতে ভারত এগোচ্ছে দৃঢ় পদক্ষেপে

নিউজিল্যান্ডের কাছে একটা টেস্টে হেরে ভারত অনেকটাই ব্যাকফুটে। সেই অবস্থায় পুনেতে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের লাঞ্চে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ২ উইকেটের বিনিময়ে ৯২ রান তুলেছে। তারা ব্যাট করেছে ৩১ ওভার। ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন ডেভন কনওয়ে। তিনি ১১১ বলে ৪৭ রান করেছেন। মেরেছেন ৫টি চার। ১০ বলে ৫ রান করেছেন রাচিন রবীন্দ্র। অশ্বিন ১২ ওভারে ৩৩ রান খরচ করে ২টি উইকেট নিয়েছেন। ছবি- পিটিআই। যদিও যেকোনো মুহূর্তে খেলার গতি বাঁক নিতে পারে। ২৩.৬ ওভারে অশ্বিনের বলে ঋষভ পন্তের দস্তানায় ধরা পড়েন উইল ইয়ং। আম্পায়ার প্রাথমিকভাবে আউট দেননি। তবে রিভিউ নিয়ে সাফল্য পায় ভারত। ৪৫ বলে ১৮ রান করেন ইয়ং। মারেন ২টি চার। নিউজিল্যান্ড ৭৬ রানে ২টি উইকেট হারায়। নিউজিল্যান্ড খুব সাবধানে কিছুটা ধীর গতিতেই খেলা শুরু করেছে। ১৬তম ওভারে নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে দলগত ৫০ রানের গণ্ডি টপকায়। ১৬ ওভার শেষে কিউয়িদের সংগ্রহে রয়েছে ১ উইকেটে ৫২ রান। ৫০ বলে ২৭ রান করেছেন ডেভন কনওয়ে। তিনি ৪টি চার মেরেছেন। ২৫ বলে ৯ রান করেছেন উিল ইয়ং। ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবার বল করতে আসেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি বল হাতে নিয়েই ভারতকে সাফল্য এনে দেন। ৭.৫ ওভারে অশ্বিনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন টম লাথাম। ২২ বলে ১৫ রান করেন তিনি। মারেন ২টি চার।

পুনেতে ভারত এগোচ্ছে দৃঢ় পদক্ষেপে Read More »

‘দানা’ সংবাদ – ক্রমশ উন্মত্ত হয়ে উঠছে ‘মাতলা’

আয়লার অভিজ্ঞতা এখনো শুকায় নি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মাতলা নদী সংলগ্ন মানুষদের। সেই মাতলায় গতকাল থেকেই জল বাড়ছে। শেষ খবর, দানার প্রভাবে বৃষ্টি শুরু। সাগরদ্বীপ থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দূরে দানার অবস্থান। আজ রাতে ওড়িশা উপকূলে ল্যান্ডফল।আগেই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। দানার প্রভাবে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের মতো উপকূলের জেলাগুলি। সেই মতো বুধবার থেকেই আবহাওয়ার পরিস্থিতি বদল হতে শুরু হয়েছে। যত সময় বাড়ছে, উপকুলের অবস্থা ততই খারাপ হচ্ছে। উপকুলের নদীগুলোর জল বেড়ে চলেছে। বিশেষ মরে মাতলা নদী প্রায় ভয়ঙ্কর রূপ নিতে চলেছে। প্রবল বৃষ্টিতে কার্যত পাগল-পাগল অবস্থা মাতলার। কুলতলির কৈখালীতে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মাতলা নদীতে বাড়ছে জল। সেই সঙ্গে ঝড় আর দাপিয়ে বাড়ছে বৃষ্টি। যত সময় গড়াবে ততই আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে মাতলা নদী। এখানকার আবহাওয়ার অবনতি হবে। যত সময় গড়াবে ততই আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে মাতলা নদী। এখানকার আবহাওয়ার অবনতি হবে। যে কারণেই ভয়ে কাঁটা হয়ে উঠছেন স্থানীয় কৈখালীর বাসিন্দারা। এর আগেও একাধিক ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার কারণেই কৈখালী এলাকার নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে গোটা এলাকা। আবারো সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে কি না তা ভেবেই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কুলতলির মানুষ। সন্ত্রাস্ত মানুষ, সন্ত্রাস্ত প্রশাসন।

‘দানা’ সংবাদ – ক্রমশ উন্মত্ত হয়ে উঠছে ‘মাতলা’ Read More »

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ – প্রস্তুত কলকাতা পৌরসভা

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ কোথায় হিট করবে তা জানার আগেই কলকাতা পৌরসভা আধিকারিকদের নিয়ে মঙ্গলবার ও বুধবার মিটিং করেন। আপাতত শুক্রবার পর্যন্ত সমস্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে। নবান্নের পক্ষ থেকে কলকাতা পুরসভাকে আরও অ্যাক্টিভ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ ঘূর্ণিঝড় ‘‌দানা’‌ ভাল প্রভাব ফেলবে দু’‌দিন কলকাতা শহরে। যেদিন ঘূর্ণিঝড় কলকাতার উপর দিয়ে বয়ে যাবে সেদিন, আর তার পরের দিন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার মহানগরীতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে গাছ উপড়ে পড়তে পারে। জল জমে সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর তাই এবার আগাম ব্যবস্থা নিয়ে রাখল কলকাতা পুরসভা। মেয়র নিজে আধিকারিকদের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেন। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। কলকাতা পুরসভার কমিশনার ধবল জৈন জানান, ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় সমস্ত দিক থেকে তৈরি আছে কলকাতা পুরসভা। সমস্ত রকম প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সারা হয়ে গেছে বলে জানানো হয়েছে পৌরসভার পক্ষ থেকে । এই বিষয়ে কলকাতা পুরসভার অফিসারদের সব প্রস্তুতি সেরে রাখতে বলেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তবে ইতিমধ্যেই দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরের মতো পর্যটনকেন্দ্রের দিকে কড়া নজর রাখছে রাজ্য প্রশাসন। বুধবার সকাল থেকেই কার্যত পর্যটকহীন সমুদ্রসৈকত দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এখন থেকেই শহরের বাতিস্তম্ভগুলির হাল খতিয়ে দেখা শুরু হয়ে গিয়েছে। যাতে কোথাও বিদ্যুতের তার সেখান থেকে বেরিয়ে না থাকে। বিদ্যুৎ সংযোগ সর্বত্র ঠিক আছে কিনা সেগুলিও দেখে নেওয়া হচ্ছে। যাতে কারেন্ট লেগে প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে। শহরের নানা প্রান্তে গাছ পড়লে দ্রুত সেটা সরানোর ব্যবস্থা যাতে থাকে সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এমনকী প্রত্যেকটি বরোয় থাকছে বিশেষ টিম। যাঁরা বিপদে মানুষকে সহায়তা করবে।

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ – প্রস্তুত কলকাতা পৌরসভা Read More »

এবার শিলিগুড়িতে বিজেপির ‘লক্ষ কন্ঠে গীতাপাঠ’

বাংলায় বিজেপির মূল শক্তি উত্তরবঙ্গ। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের মুখে মুখে ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচি হয়েছিল। তাতে আড়াল থেকে সমর্থন দিয়েছিল বিজেপি। এবারও তেমনই কথা আছে। তবে এবার উত্তরবঙ্গে শিলিইগুড়িতে। কলকাতার গীতাপাঠ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রথম সারির প্রায় সব নেতা। তবে সেই কর্মসূচিতে সত্যিই এক লাখ মানুষের সমাবেশ হয়েছিল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও সংসদের পক্ষে দাবি করা হয়েছিল, লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ এবং এত জনের একসঙ্গে গীতাপাঠে বিশ্বরেকর্ড তৈরি হয়েছে। দক্ষিণের পরে উত্তর। কলকাতার পরে শিলিগুড়ি। এক বছর আগের মতো করে শিলিগুড়ির বিশ্ববাংলা শিল্পহাটের পাশে কাওয়াখালি ময়দানে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সনাতন সংস্কৃতি সংসদ। অনেকে বলেন, এটাও আসলে বিজেপির একটি ধৰ্মীয় সংগঠন। শিলিগুড়ির এই গীতাপাঠ অনুষ্ঠানের এ বার পরিষদ প্রধান অতিথি করতে চায় উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে। তাঁর সঙ্গে গীতাপাঠে গলা মেলাতে আসার কথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মারও। তবে এ বারও মোদী ছাড়াও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজক সংসদের প্রধান তথা ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজ (স্বামী প্রদীপ্তানন্দ)। এই কার্তিক মহারাজের সঙ্গেই নির্বাচনের আগে বিতর্ক জড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেই সময়ে এমনটাও অনেকে বলেছিলেন যে, যেখানে বিজেপির শক্তি বেশি, সেই উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধিত্ব ব্রিগেডে সে ভাবে না থাকাতেই জমায়েত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বার সেই উত্তরবঙ্গেই বসছে গীতাপাঠের আসর। সেখানে লক্ষ মানুষকে হাজির করার বিষয়ে সংসদের সঙ্গে বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারও সমর্থন দেবে। যদিও গোটা কর্মসূচিই হবে ‘অরাজনৈতিক’ সনাতন সংস্কৃতি সংসদের নামে। তবে এখনও গীতা পাঠের তারিখ ঘোষণা করা হয় নি।

এবার শিলিগুড়িতে বিজেপির ‘লক্ষ কন্ঠে গীতাপাঠ’ Read More »

আর কিছু সময়ের অপেক্ষা – ‘দানা’ লাফিয়ে পড়তে চলেছে উপকূলে

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভালো বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সর্বত্র। শেষ মুহূর্তে দানা আরও একটু পশ্চিমে ঘেঁষে সম্ভবত ওড়িশার ভিতরকণিকা সংলগ্ন অঞ্চলে আর কয়েক ঘন্টার মধ্যে আঘাত করবে। আপাতত যা পূর্বাভাস, তাতে ওড়িশার ধামরা এবং ভিতরকণিকার কাছে ল্যান্ডফল হবে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র। ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া মধ্যরাত থেকে শুরু হতে পারে। শুক্রবার সকালের মধ্যে উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূল পেরিয়ে যাবে ‘দানা’। আর ল্যান্ডফলের সময় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারও ছুঁয়ে ফেলতে পারে। শক্তি বাড়িয়ে রাতেই বঙ্গোপসাগরে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে গিয়েছে ‘দানা’। যা ক্রমশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। ভারতীয় মৌসম ভবনের সাম্প্রতিক বুলেটিন অনুযায়ী, (রাত ২ টো ৩০ মিনিটের নিরিখে) পারাদ্বীপ থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরে আছে ঘূর্ণিঝড়। সাগরদ্বীপ থেকে ৩৭০ কিমি দূরে আছে। আর ধামরা থেকে মোটামুটি ৩১০ কিমি দূরে আছে ঘূর্ণিঝড়। যা বোঝা যাচ্ছে, ডানার প্রধান আঘাত সইতে হবে ওড়িশাকে। সেই পরিস্থিতিতে বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে তিন লাখ মানুষকে সরিয়ে ফেলেছে ওড়িশা সরকার। ১৪টি জেলার মোট ১০,৬০,৩৩৬ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। যাঁদের সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাঁদের খাবার-সহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ওড়িশা সরকার। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করে দিয়েছে ওড়িশায়। সকাল থেকেই ভদ্রকের ধামারায় বৃষ্টি চলছে। আপাতত যা পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, তাতে শেষমুহূর্তে কোনও অভিমুখ না বদলালে দিঘা থেকে মোটামুটি ২০০ কিলোমিটার দূরে ল্যান্ডফল করবে ঘূর্ণিঝড়। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সকাল থেকেই দিঘায় সমুদ্র উত্তাল হয়েছে। রয়েছে অত্যধিক ভারী বৃষ্টিপাতেরও পূর্বাভাস।

আর কিছু সময়ের অপেক্ষা – ‘দানা’ লাফিয়ে পড়তে চলেছে উপকূলে Read More »