October 23, 2024

দিনে ১০ বারের বেশি মূত্র ত্যাগ কিন্তু কোনো জটিল রোগের ইঙ্গিত

 মূত্রত্যাগের মাধ্যমে মানুষের শরীরের অনেক বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায় বলেই মানুষ সুস্থ থাকে। কিন্তু কোনো কিছুই বেশি বাড়াবাড়ি তো ভালো না। মূত্রত্যাগের ক্ষেত্রেও তাই। দিনে দেড় লিটার জল পান করা স্বাভাবিক। আর সেক্ষেত্রে দিনে ৬/৭ বার মূত্রত্যাগটাও স্বাভাবিক। একটু হিসেব করে দেখতে হলে তার থেকে বেশি মূত্রত্যাগ আমাদের হচ্ছে কিনা! অন্তত দিনে যদি ১০ বারের বেশি মূত্রত্যাগ হয়,তা কিন্তু যথেষ্ট এলারমিং। সে ক্ষেত্রে শরীরের কোনো জটিল রোগের ইঙ্গিত বহন করে এটা। কি কি রোগের কারণে এমন হতে পারে?  ১) ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ। আর এই রোগ যে কোনও বয়সের মানুষের যে কোনও সময়ই হতে পারে এবং ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়াটাও এই রোগের লক্ষণ। ২) কিডনি বা ইউরেটিক স্টোন: বার বার প্রস্রাব হওয়া কিডনি স্টোনের উপসর্গ হতে পারে। কিডনিতে স্টোন হলে ঘন-ঘন প্রস্রাবের বেগ আসে। তাই এই সমস্যা দেখা দিলে ফেলে না-রেখে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।  ৩) ইউটিআই (ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন): এই সংক্রমণ মহিলাদের মধ্যে বেশ সাধারণ। কিন্তু এই রোগ পুরুষদের মধ্যেও দেখা দিতে পারে। এই সংক্রমণের একটি লক্ষণ হল ঘন ঘন প্রস্রাব। এবং প্রস্রাব করার সময় জ্বালা অনুভব করা। সেই ক্ষেত্রে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।

দিনে ১০ বারের বেশি মূত্র ত্যাগ কিন্তু কোনো জটিল রোগের ইঙ্গিত Read More »

মিরিকে আছে নয়নাভিরাম ‘সুমেন্দু লেক’ – বেড়ানোর নতুন জায়গা

  পাহাড় প্রায় সকলেরই পছন্দ। কিন্তু অনেকেই পাহাড়ে একটু অফবিট জায়গা পছন্দ করেন। তাদের জন্য আজ বেড়ানোর নতুন ঠিকানা মিরিকের এই ‘সুমেন্দু লেক।’ সবুজ পাইনের জঙ্গলে ঘেরা এই হ্রদ অসাধারণ সৌন্দর্যের অধিকারী। হ্রদের চারপাশ রাস্তা করা রয়েছে। দার্জিলিংয়ের কাছেই সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র মিরিক। দার্জিলিং এলে মিরিক ঘুরে যাননি এমন ব্যক্তি মেলা ভার। এই মিরিকেই রয়েছে সেই সুমেন্দু লেক। এক কিলোমিটার দীর্ঘ সুমেন্দু লেকটির গভীরতা ৩০ মিটারের কাছাকাছি। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই লেকের কাছে একটি জলাধারও তৈরি করা হয়েছে। ফলে আরো সুন্দর রূপে সেজে উঠেছে এই লেক ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল।   আসলে যাঁরা মিরিক লেক দেখেছেন এই সুমেন্দু লেক সেই মিরিক লেকই। স্থানীয়দের কাছে এই লেকটি সুমেন্দু লেক নামেই পরিচিত। মিরিক শব্দটির অর্থ অগুনে পুড়ে যে জায়গা তৈরি হয়। লেকের উপরে রয়েছে একটি পুল। যার নাম ইন্দ্রাণী পুল। ৮০ ফুট লম্বা সেতুটি। যেটি পার করে লেকের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত যাওয়া। এই লেকে বোটিংয়ের বন্দোবস্তও রয়েছে। তবে লেকের উপরের সেতুটি রিল প্রেমি আর সেলফি প্রেমীদের প্রাণ কেন্দ্র। কারণ সেতুর উপরে দাড়িয়ে গোটা লেকটা দেখা যায়। সেতুটে বোটিং করতে জনপ্রতি ১০০ টাকা করে ভাড়া লাগে। আধঘণ্টার মতো সময় দেওয়া হয় গোটা লেক ঘোরার জন্য। সবুজ পাইন গাছের সারি গোটা লেকটাকে ঘিরে রেখেছে। একবার ঘুরে আসুন এই লেকে। মন ভরে যাবে আনন্দে।

মিরিকে আছে নয়নাভিরাম ‘সুমেন্দু লেক’ – বেড়ানোর নতুন জায়গা Read More »

এবার রাজ্য উপ-নির্বাচনে অনেকটা সুবিধা পেয়ে গেলো তৃণমূল

বিরোধী ভোট দু’ভাগে ভাগ হচ্ছিলো, এবার তিনভাগে। কংগ্রেস নিজেদের ৬ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করে দিলো। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বদলের পর বাংলায় প্রথমবার নির্বাচন হচ্ছে। আর তাতেই ভেঙে গেল বাম-কংগ্রেস জোট। একদিকে সীতারাম ইয়েচুরির প্রয়াণ এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে অধীর চৌধুরীর অপসারণের পরই বাংলায় বাম-কংগ্রেস জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। এর ফলে তৃণমূল বিরোধী ভোটের একটা বড়ো অংশ ছিল বিজেপির পক্ষে। আর ছিল বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষে। এবার তা তিনি ভাগে ভাগ হতে চলেছে। আসন্ন ৬টি উপনির্বাচলে ৫টি তৃণমূলের ও ১টি ছিল বিজেপির দখলে। মূলত বিধায়করা লোকসভা ভোটে জিতে সাংসদ হওয়াতেই বিধানসভা উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে। গতকাল বামেদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। যাতে দেখা গিয়েছে একটি আসন দেওয়া হয়েছে সিপিআই (এমএল) লিবারেশনকে। হাড়োয়া কেন্দ্রটির প্রার্থীর নাম বামেদের তালিকায় ছিল না। তাতেই স্পষ্ট হয়ে যায় উপনির্বাচনে জোট হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতেই মঙ্গলবার রাতে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিলো। কংগ্রেসের হয়ে লড়বেন –* সিতাইয়ায় – হরিহর রায় সিংহ*মাদারিহাটে – বিকাশ চম্প্রমারি* নৈহাটিতে – পরেশনাথ সরকার* হাড়োয়ায় – হাবিব রেজা চৌধুরী* মেদিনীপুরে – শ্যামল কুমার ঘোষ* তালড্যাংরায় – তুষারকান্তি সান্নিগ্রাহী।

এবার রাজ্য উপ-নির্বাচনে অনেকটা সুবিধা পেয়ে গেলো তৃণমূল Read More »

সম্ভবত ‘দানা’ বুধবার মধ্যরাতে ল্যান্ডফল করতে চলেছে ওড়িশায়

‘দানা’ ঘূর্ণিঝড় নিয়ে শঙ্কিত বাংলা ও ওড়িশার উপকূলবর্তী অঞ্চল। দানা কি দ্বিতীয় আয়লা হয়ে চলেছে? প্রশ্ন অনেকের মনে। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে যে অতি গভীর নিম্নচাপ অবস্থান করছিল, তা পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়েছে। এই মুহূর্তে তা উপকুল থেকে কমবেশি ৬০০ কিমি দূরে অবস্থান করছে। আগামী ১২ ঘণ্টায় সেই অতি গভীর নিম্নচাপ আরও পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। আর ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-য় পরিণত হতে পারে। তারপর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ মধ্যেরাতের মধ্যে আরও শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আর প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই সেটি উপকূল পার করবে। পুরী এবং সাগরদ্বীপের মধ্যে দিয়ে উপকূল পার করবে প্রবল ঘূর্ণিঝড়। তখন ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার তাণ্ডব চলতে পারে। ফলে শঙ্কিত বাংলা ওড়িশার সরকার। স্থলভাগে কোথায় দানা আঘাত করবে, তা এখনও স্পষ্ট হয় নি। ওড়িশার চাঁদবালিতে ল্যান্ডফল হবে বলে একটি মহলের তরফে যে দাবি করা হচ্ছিল, সেটাও খারিজ করে দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে একটি মহলের দাবি করা হচ্ছে, আপাতত যে সম্ভাব্য ‘ট্র্যাক’ দেখা যাচ্ছে, তাতে বুধবার রাত ১১ টা ৩০ মিনিট থেকে বৃহস্পতিবার ভোরের মধ্যে ওড়িশার কোথাও ল্যান্ডফল হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের। সরকারিভাবে অবশ্য সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। আর সেই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের তিনটি জেলায় (দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুর) লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আর শুক্রবার লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে চারটি জেলায় (দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম)। ওই জেলাগুলির কয়েকটি অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি (৭০ মিলিমিটার থেকে ২০০ মিলিমিটার) হবে। আবহাওয়া অফিসের খবরে প্রকাশ, বুধবার সন্ধ্যা থেকে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূল বরাবর ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড় শুরু হবে। দমকা হাওয়ার বেগ কখনও কখনও ঘণ্টায় ৬০ কিমিতে পৌঁছে যেতে পারে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঝড়ের বেগ বেড়ে ঘণ্টায় ৮০ কিমি ছুঁয়ে ফেলবে। আর বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ঘণ্টায় ১১০-১২০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া চলবে।

সম্ভবত ‘দানা’ বুধবার মধ্যরাতে ল্যান্ডফল করতে চলেছে ওড়িশায় Read More »

চাকরির প্রস্তুতি (১ম পর্ব)

বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে GK-র উপর বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। খুবই গুরুত্বপূর্ণ তেমন কয়েকটি প্রশ্ন ও উত্তর জেনে রাখুন। ১) সম্প্রতি লেপার্ডের এক বিশেষ জাতি ওড়িশায় দেখতে পাওয়া গেছে, যার নাম- ব্ল্যাক প্যান্থার।২) সম্প্রতি 86 বছর বয়সে প্রয়াত রতন টাটা ছিলেন- একজন বিখ্যাত শিল্পপতি।৩) ন্যাশনালে মেরিটাইম হেরিটেজ কমপ্লেক্স তৈরি করা হবে- গুজরাটের লোথালে।৪) 2025 সালে 38 তম ন্যাশনাল গেমস অনুষ্ঠিত হবে- উত্তরাখন্ডে।৫) টুনুশিয়ার রাষ্ট্রপতি হিসাবে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন- Kais Saied।৬) সম্প্রতি জাপানের প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হয়েছেন- শিগেরু ইসিবা।৭) নারী শিক্ষার উন্নতির জন্য ‘নিজুত ময়না’ নামের স্কিম উদ্বোধন করেছে- আসাম সরকার।৮) প্রথমবার বিশ্ব পিকলবল চ্যাম্পিয়ন শিপের আয়োজনকারী দেশ হল- ভারত।৯) ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান উৎসবের সূচনা হচ্ছে- মধ্যপ্রদেশে।১০) সম্প্রতি পরিবেশগত শিক্ষা ও গবেষণার জন্য জলবায়ু ইনস্টিটিউট চালু করেছে- আমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়।

চাকরির প্রস্তুতি (১ম পর্ব) Read More »

শীতকালে মরশুমি ফুলের ব্যবসায় প্রচুর লাভ

প্রথম শর্ত কৃষি-কাজকে ভালোবাসতে হবে। যদি সামান্য জমি থাকে ও কৃষি-কাজে মন থাকে তাহলে মরশুমি ফুলের চাষ করে প্রচুর লাভ করা সম্ভব। মুরশুমি ফুলের নার্সারি বর্তমানে বিকল্প রোজকারের পথ দেখাচ্ছে। ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, এস্টার, ক্যালেন্ডুলা সহ নানা শীতকালীন ফুল বাড়ির সামনের ছোট্ট জায়গায় শোভা পায় প্রতিটি পরিবারে। ফলে নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর এমন কি জানুয়ারী পর্যন্ত বিভিন্ন শীতকালীন ফুল গাছের চাহিদা বাজারে থাকে। ফলে অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। শীতের সময়টা বাড়িতে বাগান করতে ভালবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বাড়ির সামনে উঠোনের একটু ফাঁকা জায়গা হোক বা ছাদে তবে শীতকালীন নানা ধরনের ফুলের গাছ লাগান বহু মানুষ। ফলে নার্সারি থেকে ডালিয়া চন্দ্রমল্লিকা সহ নানান ধরনের ফুলের গাছ বহু সংখ্যক বিক্রি হয়। ফলে এবার শীতের আগেই মরশুমি ফুল গাছের ব্যবসা আপনাকে লাভবান করে তুলবে। এই বিষয়ে আমরা কথা বলেছিলাম একাধিক নার্সারি মালিক ও কৃষি আধিকারিকের সঙ্গে। তাঁরা জানালেন, এই শীতকালীন ফুলের নার্সারি খুব সহজেই কম জায়গায় তৈরি করা সম্ভব। বর্তমান সময়ে এটি একটি বিকল্প রোজগারের পথ। বিশেষ করে শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের কাছে স্বনির্ভর বা স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার একটি আদর্শ উপায়। সামান্য খরচে ছোট্ট জায়গায় মুরশুমি ফুল গাছের নার্সারি থেকে মাসিক ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। এ বিষয়ে এক নার্সারীর মালিক জানান, শেষ পাঁচ বছর ধরে বিভিন্ন মুরশুমি ফুল ও ফল চারা গাছে নার্সারি করেছেন। এখান থেকে রোজকার হচ্ছে ভালই। তিনি আরও জানান, নিজের হাতে বীজ থেকে বা কলম পদ্ধতিতে গাছ তৈরি করেন না। অন্য কোন বড় নার্সারি থেকে পাইকারি মূল্যে বিভিন্ন চারা গাছ নিয়ে আসেন। এবং তা খুচরো বাজারে বিক্রি করেন। আর তাতেই লভ্যাংশের পরিমাণ যথেষ্ট ভাল।বর্তমান সময়ে গাছ লাগান বহু মানুষ। নার্সারিতে বিভিন্ন ফুল ফলের চারা গাছের চাহিদা বাড়ছে। অন্যদিকে শীতের মরশুমী বিভিন্ন শীতকালীন ফুল ও ফল চাহিদা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। সহজেই এই নার্সারি তৈরি করে বেকার যুবক-যুবতীরা আর্থিকভাবে নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারবে।

শীতকালে মরশুমি ফুলের ব্যবসায় প্রচুর লাভ Read More »

টানা ৬ ম্যাচে হার ইস্টবেঙ্গলের

ইস্টবেঙ্গল আর কিছুতেই খেলায় ফিরতে পারছে না। কোনো না কোনোভাবে ঠিক আটকে যাচ্ছে। প্রথমে ডার্বিতে অসহায় আত্মসমর্পণ।তারপরও আইএসএলে টানা ছ’টি ম্যাচে হারের লজ্জা এড়াতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে ১-২ গোলে হেরে গেল লাল-হলুদ বাহিনী। আর সেই হারের ফলে ছ’টি ম্যাচের শেষে আইএসএলের পয়েন্ট তালিকায় একেবারে নীচেই থাকতে হল। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে আইএসএলের পয়েন্ট তালিকায় সাত নম্বরে উঠে এল ওড়িশা। অথচ মঙ্গলবার যে ইস্টবেঙ্গল খুব খারাপ খেলেছে, অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে, তা মোটেই নয়। বরং ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিট রীতিমতো ওড়িশার উপরে ছড়ি ঘোরান মাদিহ তালাল এবং দিমিত্রিওস দায়মান্তাকসরা। কিন্তু ব্যর্থ হলো তেকাঠিতে বল ঢোকাতে। পাঁচ মিনিটেই মহম্মদ রাকিপের দুর্দান্ত ক্রস থেকে সাইডভলি মারেন নন্দকুমার। তাঁর শট ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচিয়ে দেন অমরিবন্দর সিং। এক মিনিট পরেই ওড়িশার পতন রোধ করেন অধিনায়ক। তবে সেরা সুযোগটা এসেছিল ১০ মিনিটে। দুর্দান্ত ব্যাকহিলে বক্সের ডানদিকে পিভি বিষ্ণুকে বল বাড়ান নন্দ। বিষ্ণুর যে পাসটা বাড়ান, সেটা তেকাঠিতে রাখতে পারেননি দায়মান্তাকস। যদিও ওই শটটা বিষ্ণুর মারলে আরও বেশি ভালো হত। একটু ‘স্বার্থপর’ হলে ইস্টবেঙ্গল ১-০ গোলে এগিয়ে যেতে পারত। কিন্তু তাও হলো না। সেইসময় ইস্টবেঙ্গল পুরোপুরি ছড়ি ঘোরাচ্ছিল। কিন্তু ২২ মিনিটে খেলার গতির বিপরীতে রয় কৃষ্ণ গোল করার পরেই ইস্টবেঙ্গলের হাত থেকে ম্যাচের রাশ বেরিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু আনোয়ার আলির দুর্দান্ত ব্লকের কারণে বলটা জালে জড়ায়নি। তবে ২২ মিনিটে কোনও ভুল করেননি কৃষ্ণ। তারপর ওড়িশা খেলায় ফিরতে থাকে। প্রভসুখন গিল আর ইস্টবেঙ্গলের জালে বল ঢুকতে দেননি। তারইমধ্যে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময় পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান দায়মান্তাকস। তবে শেষপর্যন্ত সেটা কাজে দেয়নি। ৬৯ মিনিটে মুর্তাদা ফলের দুর্দান্ত হেডারে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় ওড়িশা। আর তার সাত মিনিট পরেই লালকার্ড দেখেন প্রভাত লাকরা। আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ইস্টবেঙ্গল হারিয়ে যায় খেলা থেকে।

টানা ৬ ম্যাচে হার ইস্টবেঙ্গলের Read More »