October 17, 2024

রান্না ঘরের যে ৫ খাবার আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে

১) প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে গোল মরিচ। উপকারী এই মশলায় প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন -C বেশি থাকে যা একে এন্টিব্যাকটেরিয়াল করে তোলে এবং টক্সিনকেও দূরে রাখে। তাই সুস্থতার জন্য প্রতিদিন খাবারে অল্প করে গোল মরিচ রাখার চেষ্টা করুন।  ২) সর্দি ও কাশি  দূর করার জন্য  পরিচিত একটি ভেষজ হলো রসুন। এটি অন্যতম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী খাবার হিসাবেও কাজ করে। তাই প্রতিদিন রসুন খাওয়ার অভ্যাস করুন। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেলে উপকার পাবেন। ৩) গলা প্রশমিত করে এবং বুকে জমা কফ থেকে মুক্তি দিতে আদা। প্রতিদিন আদা চা খাবার অভ্যাস আছে অনেকেরই। এটি আমাদের সুস্থতার জন্য নানা ভাবে কাজ করে। ৪) সাইট্রাস্ট জাতীয় ফল লেবু। এটি সাধারণ সর্দি দূরে রাখতে বিস্ময়কর কাজ করতে পারে । এটি মূলত এন্টি-ফাঙ্গাল এবং এন্টি-সেপ্টিক। লেবুতে প্রচুর পরিমানে প্রাকৃতিকভাবে উপস্থিত  ভিটামিন C উপাদান থাকায় এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। ৫) হলুদে রয়েছে এন্টিফাঙ্গাল এবং এন্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য- যা রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা তৈরিতে সাহায্য করে।

রান্না ঘরের যে ৫ খাবার আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে Read More »

স্বাস্থ্য -টমেটো অতিরিক্ত খাবেন না

  লাল টুকটুকে টমেটো দেখলেই জিভে জল আসে। টমেটোতে আছে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট। আর আছে প্রচুর পুষ্টিগুন। তাই টমেটো খেতেই হয়।কিন্তু টমেটো বেশি খেলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন –     ১)এসিডিটি – টমেটোতে রয়েছে ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড। যা পাকস্থলীতে অম্লের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। তাই বেশি টম্যাটো খেলে গলা-বুক জ্বালা করতে পারে।   ২) জয়েন্ট পেইন – অতিরিক্ত পরিমাণে টম্যাটো খেলে বেড়ে যেতে পারে অস্থিসন্ধির ব্যথা। কারণ, টম্যাটোয় বীজে রয়েছে ‘সোলানাইন’ নামক যৌগ। যা শরীরে বিভিন্ন অস্থিসন্ধির ব্যথা বাড়িয়ে তোলে   ৩) অ্যালার্জি –  টম্যাটোতে আছে হিস্টামিন নামক একটি যৌগ। যা ত্বকে র‌্যাশ বা অ্যালার্জির সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। মুখ, গলা, জিভে সংক্রমণ হতে পারে।    ৪) কিডনির সমস্যা – কিডনির সমস্যা রয়েছে যাঁদের, তাঁদের রক্তে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রা একটু বেশিই থাকে। তার উপর রান্নায় অতিরিক্ত পরিমাণে টম্যাটো দিলে বা টম্যাটোজাত জিনিস খেলে পটাশিয়ামের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। ফলে কিডনি সবটা বের করতে পারে না।     ৫) ত্বকের তৈলাক্তভাব কমে যাওয়া –     অতিরিক্ত টম্যাটো খেলে রক্তে ‘লাইকোপিন’ নামক যৌগের মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। ফলে ফ্যাকাশে হয়ে যায় ত্বকের রং। চিকিৎসার পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘লাইকোপেনোডার্মা’। যদিও বিশেষ এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টটি বেশি মাত্রায় থাকলে গুরুতর কোনও সমস্যা হয় না।   এই সমস্ত কারণেই টমেটো রোজ খান কিন্তু পরিমিত।

স্বাস্থ্য -টমেটো অতিরিক্ত খাবেন না Read More »

পড়াশুনার সময় ঘুমের ভাব কাটানোর ১০ উপায় –

১) পড়াশুনার সময় ঘুম আসার প্রধান কারণ রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া। সুস্বাস্থ্যর জন্য প্রতি রাতে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো বাধ্যতামূলক। অতিরিক্ত ঘুমাবেন না বা কমও ঘুমাবেন না এবং একটি নির্দিষ্ট সময় ঘুমানোর অভ্যাস করুন। ২) পাড়তে পাড়তে যখনই আপনার খুব ঘুম লাগবে তখনই বিরতি দিন ও ২০ থেকে ৩০ মিনিটের একটি পাওয়ার ন্যাপ নিয়ে নিন। পরীক্ষার সময় রাতে যদি প্রয়োজনীয় সময় ঘুম না হয় তবে আপনাকে দিনের মাঝমাঝি সময় একটু ঘুমিয়ে নিতে হবে। ওই ঘুম আপনাকে জেগে ওঠার পরে পড়ায় মনোযোগ দিতে সহায়তা করবে। ৩) পড়াশুনার সময় আপনি ঘুমিয়ে পরার আরেকটি কারণ হলো আপনি পর্যাপ্ত জল পান করেছেন না। ডিহাইড্রেশন আক্ষরিকভাবে আপনার মস্তিস্ককে সংকুচিত করতে পারে। পড়ার সময় পর্যাপ্ত জল পান না করলে আপনি মনোযোগ হারাতে পারেন। ৪) টেবিল থেকে উঠুন ও কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করুন। পাওয়ার ন্যাপ নেওয়া ছাড়াও পড়াশুনার সময় আপনি যদি ঘুম অনুভব করেন তবে কিছুক্ষনের জন্য হাটাহাটি করতে পারেন।  ৫) একটানা সর্বোচ্চ ২ ঘন্টার বেশি পড়া উচিত না। প্রতি ২ঘন্টা পরপর বা ২৫ মিনিট পড়ার পরে ৫ মিনিট বিরতি নিন। এই ৫ মিনিটে আপনি শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। অথবা প্রতি ২ ঘন্টা পরে আপনি প্রায় ২০ মিনিটের দীর্ঘ বিরতিও নিতে পারেন। ৬) জোরে জোরে পড়ুন ও বেশি বেশি লিখুন। জোরে জোরে পড়া আপনাকে মনে মনে পড়ার চেয়ে আরও বেশি ব্যস্ত রাখবে যা তন্দ্রাভাব কাটাতে সাহায্য করবে। ৭) গ্রুপ স্টাডি আপনাকে তন্দ্রাভাব কাটাতে সাহায্য করতে পারে। আপনার বন্ধুরা আপনাকে প্রস্তুতি নিয়ে কুইজ করতে পারে বা আপনাকে কোনো পড়া বুঝতো সাহায়তা করতে পারে। ৮) এখন পড়ার ক্ষেত্রে আমরা কম্পিউটার স্ক্রিনে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটাই। বিশেষজ্ঞারা প্রতি ২০ মিনিটে কম্পিউটারের পর্দা থেকে দূরে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কম্পিউটার স্ক্রিনে অতিরিক্ত সময় কাটালে চোখ ক্লান্ত হয়ে ঘুম আসরে পারে। ৯) জেগে থাকার সর্বধিক ব্যবহারিক একটি উপায় হলো, যখনি ঘুম পাচ্ছে তখনি মুখ ধুয়ে নেওয়া। এটি অন্যতম পরীক্ষিত পদ্ধতি এবং এটি সম্ভবত অভিভাবকেরা সবচেয়ে বেশি পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ১০) পড়াশুনা করতে গিয়ে কখনোই আপনার বিছানায় পড়াশুনা করা উচিত না। তাতে আপনি আরাম অনুভব করবেন ও আপনার ঘুম পেয়ে যাবে। তাই আপনার পড়ার জায়গা এবং ঘুমানোর জায়গা আলাদা রাখুন।

পড়াশুনার সময় ঘুমের ভাব কাটানোর ১০ উপায় – Read More »

কলকাতা পৌরসভার চিকিৎসকের ‘টি-শার্ট বিতর্ক’

২০২৪ সালে ভারত দেখলো কলকাতায় দু’টি পুজো কার্নিভাল – একটি সরকারি ও অপরটি জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্যোগে নাগরিক সমাজের। আর সেখান থেকেই শুরু হয় টি-শার্ট বিতর্ক। শিরদাঁড়া বিক্রি নেই’, লেখা টি-শার্ট পরে কার্নিভালে যোগ দেওয়ার জন্য ময়দান থানার পুলিশ কলকাতা পুরসভার চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে আটক করে। যা নিয়ে পুজোর কার্নিভাল আর দ্রোহের কার্নিভালের মাঝে নতুন করে তপ্ত হয়ে ওঠে কলকাতা। এবার এই ইস্যুতে বুধবার পুরসভায় চিকিৎসকদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে যোগ দেওয়া সকল চিকিৎসকের বুকেই দেখা গেল ‘উই ডিমান্ড জাস্টিসে’র ব্যাজ। বার্তা স্পষ্ট, প্রতিবাদের ব্যাজ বা টি-শার্ট পরে থাকার জন্য পুলিশের পদক্ষেপকে ভাল ভাবে নিচ্ছেন না পুরসভার চিকিৎসকেরা। ইতিমধ্যে মেয়েরের কাছে দাবি করা হয়েছে যে, অন ডিউটি একজন ডাক্তারকে মেয়েরের বিনা অনুমতিতে কি করে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়? কেন পৌরসভার পক্ষ থেকে সেই পুলিশের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো হবে না? ডাক্তার তপোব্রতর পৌরসভার সমস্ত চিকিৎসক। তাঁরা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, বৈঠকে চিকিৎসকেরা মূলত তিনটি দাবিকে সামনে রেখেছেন। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, চিকিৎসক তপোব্রত রায়ের বিরুদ্ধে ১৫১ ধারা প্রত্যাহার করতে হবে। একইসঙ্গে কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজ থেকে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। পাশাপাশি তপোব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হলে পুরসভাকে আইনি সহায়তা দিতে হবে। এই তিন দাবি পূরণের পাশাপাশি ‘আমরা সবাই প্রতিবাদী’ এই লেখা সম্বলিত ব্যাজ পরে বৃহস্পতিবার ডিউটি করবেন কলকাতা পুরসভার চিকিৎসকেরা। সব মিলিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সামনে এক জটিল পরিস্থিতি।

কলকাতা পৌরসভার চিকিৎসকের ‘টি-শার্ট বিতর্ক’ Read More »

ভ্রমন -পুরুলিয়ার কয়েকটি অফবিট জায়গা

  পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমে অবস্থিত পুরুলিয়া জেলা মানেই ঢেউ খেলানো মালভুমি ও পাহাড়, জলপ্রপাত, বিস্তীর্ণ জঙ্গল ,নদী জলাশয় ইত্যাদি মিলিয়ে একটা অনুপম সৌন্দর্য। কিন্তু পর্যটকদের কাছে পুরুলিয়া মনে শুধু অযোধ্যা পাহাড়, গড়-পঞ্চকোট ইত্যাদি।কিন্তু এর বাইরে পুরুলিয়ার এমন কিছু অফবিট জায়গা আছে, যা আপনার মন ভুলিয়ে দেবে। আজ তেমনি কিছু পুরুলিয়ার অফবিট বেড়ানোর জায়গা।  * চেলিয়ামা – পুরুলিয়ার একটা অন্যতম ভালো জায়গা চেলিয়ামা।কিন্তু বেশিরভাগ পর্যটকদের কাছে অপরিচিত। চেলিয়ামা রাধা-গোবিন্দ মন্দিরের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। মন্দিরটি ১৭ শতকে নির্মিত হয়েছিল এবং টেরাকোটা স্থাপত্য দ্বারা প্রভাবিত ভাস্কর্যগুলির কারণে এই অঞ্চলে স্থাপত্যের জন্য বিস্ময়কর স্থান। খিলানপথের উপরের প্যানেলে কৃষ্ণলীলার দৃশ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এই মন্দিরটির গঠন শৈলী অনেকটাই বিষ্ণুপুর ঘরানার।  * সাহেব বাঁধ – গল্পে শোনা যায় ব্রিটিশযুগে  কর্ণের টিকলির প্রচেষ্টায় এক জলাশয়ে এই বাঁধ নির্মিত হয় তাই তার নাম সাহেববাঁধ। প্রায়  ৫০ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই বাঁধ।কর্নেল টিকলি ঊনবিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ প্রশাসনের অধীনে এই স্থানটি নির্মাণের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।এই জলাধার একটি ইতিহাস আছে।কর্নেল টিকলি বেশ কয়েকজন কয়েদিকে এই জলের ঝরনার জন্য খনন শুরু করতে বাধ্য করেন। যে কারণে এই বিশাল ট্যাঙ্কটি তৈরি করতে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় লেগেছে।এই স্থানটি এখন পুরুলিয়ার অন্যতম প্রধান পর্যটন আকর্ষণ। যাঁরা এখানে যান নি তাঁদের মুগ্ধ করবে এই বাঁধ।  * জয়চন্ডী পাহাড় – সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশ’ এর জন্য হয়তো অনেকের কাছে এই পাহাড় এখন পরিচিত। এই পাহাড় পুরুলিয়ার  অন্যতম আকৰ্ষণ।  জয়চন্ডি পাহাড় জয়চন্ডী রেল স্টেশন থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।  আদ্রা স্টেশন থেকেও এখানে চলে আসা যায়। হীরক রাজার দেশ   ছাড়াও আরো বেশ কিছু ছবির শুটিং এখানে হয়েছে। এই পাহাড়ের ওপরে আছে জয়চন্ডী মন্দির ও বজরং মন্দির। ওই মন্দির দুটি ভক্তদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। আগের থেকে যোগাযোগ করতে পারলে ওখানে রাত্রিবাসও করা যায়।   এছাড়াও পুরুলিয়ার বহু সুন্দর জায়গা আপনি স্বচ্ছন্দে ঘুরে আসতে পারেন।   যাওয়া – কলকাতা থেকে গাড়িতে ৬/৭ ঘন্টায় পুরুলিয়া পৌঁছানো যায়।  দিল্লি রোড ধরে দুর্গাপুর বা আসানসোল হয়ে পৌঁছানো যায় পুরুলিয়া শহরে। পাশাপাশি, ধর্মতলা থেকে অনেক বাস পুরুলিয়ার উদ্দেশ্যে ছাড়ে। ট্রেনে আসতে গেলে হাওড়া থেকে চক্রধরপুর এক্সপ্রেস নেওয়া যেতে পারে।   থাকা – সবচেয়ে ভালো হয় পুরুলিয়া স্টেশনের পাশের অজস্র হোটেলের মধ্যে একটি হোটেল দু’দিনের জন্য বুক করুন। ওদের বললেই ওরা ভাড়া গাড়ির ব্যবস্থা করে দেবে। গাড়ি নিয়ে দু’দিন সমস্ত পুরুলিয়া আপনি স্বচ্ছন্দে ঘুরে নিতে পারেন।

ভ্রমন -পুরুলিয়ার কয়েকটি অফবিট জায়গা Read More »

রান্না-অভিনব ‘তেলাপিয়া মাছের বারবিকিউ’ – টক-ঝাল-নোনতার সমন্বয়

বাঙালি মানেই মাছ প্রিয়। মাছের নানা রেসিপি বাঙালির কাছে পরিচিত। এতদিন মাংসের বারবিকিউ আমরা শুনে এসেছি। কিন্তু পাশ্চাত্যের রান্না সংস্কৃতি থেকে বাঙালির হেঁসেলে এখন জনপ্রিয় রান্না মাছের বারবিকিউ।   আজকের রেসিপি –  ‘তেলাপিয়া মাছের বারবিকিউ’   উপকরণ –  *  লঙ্কা গুঁড়ো হাফ টেবল চামচ,   * এ ছাড়া রসুন বাটা ১ টেবল চামচ, টক দই ২ টেবল চামচ, মিষ্টি সয়া সস ৩ টেবল চামচ, তেল প্রয়োজন মতো, লেবুর রস ৪-৫ টেবল চামচ।   প্রণালী –   প্রথম পর্ব – মাছের আঁশ ছাড়িয়ে, পেটের অংশ পরিষ্কার করে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। মাছগুলোর দু’পাশেই ছুরি দিয়ে চিরে নিন। দ্বিতীয় পর্ব –  ম্যারিনেশনের জন্য ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, বারবিকিউ মশলা, নুন, রসুন বাটা, টক দই, মিষ্টি সয়া সস ও লেবুর রস দিয়ে মাছগুলো ভালোভাবে মেখে নিন। খেয়াল রাখবেন চেরা অংশগুলতেও যাতে মশলা মাখানো হয়। এভাবে ১ ঘণ্টা রাখুন। তৃতীয় পর্ব – এবার মশলা মাখানো মাছগুলোর উপর দিয়ে ৩ টেবল চামচ তেল ছড়িয়ে দিন (যাতে মশলা শুকিয়ে না যায়)। একটি ছোট পাত্রে সামান্য তেল ঢেলে রাখুন। বারবিকিউ করার সময় ব্রাশ করতে প্রয়োজন পড়বে। চতুর্থ পর্ব – ১ ঘণ্টা পর মাছগুলো একবার নেড়েচেড়ে নিন মশলায়।এবার গ্রিল রেডি করুন। একটা ফিশ স্ট্যান্ডে ভালোভাবে তেল ব্রাশ করুন। মাছগুলো ফিশ স্ট্যান্ডে ভরে নিন।   পঞ্চম পর্ব – ফিশ স্ট্যান্ড গ্রিলে বসিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। মাঝেমধ্যে উল্টে নেবেন ফিশ স্ট্যান্ড। মাছ প্রায় সেদ্ধ হয়ে আসলে দু’পাশেই অল্প অল্প করে তেল ব্রাশ করবেন।   ষষ্ঠ পর্ব – বারবিকিউ হয়ে গেলে নামানোর আগে মাছের দু’পাশে লেবুর রস দিয়ে একবার উলটেপালটে নেবেন। অবশ্যই পুদিনা চাটনি ও স্যালাড দিয়ে পরিবেশন করুন।

রান্না-অভিনব ‘তেলাপিয়া মাছের বারবিকিউ’ – টক-ঝাল-নোনতার সমন্বয় Read More »

সুপ্রিম কোর্টে লেডি অফ জাস্টিসের চোখ খুলে দেওয়া হলো

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবই পরিবর্তন হয়, পরিবর্তন হয় সংবিধানেরও। এবার পরিবর্তন হলো সুপ্রিম কোর্টে বিচারের প্রতীক লেডি অফ জাস্টিসের মূর্তি। এতদিন ‘লেডি অব জাস্টিস’-র যে ছবিই দেখা গিয়েছে, এবার তা বদলে গেল। আইনের চোখ আর বাঁধা রইল না। আর কেউ বলতে পারবে না, আইন ‘অন্ধ’। একহাতে দাঁড়িপাল্লা রইল। কিন্তু, তরোয়ালের জায়গায় অন্য হাতে এল সংবিধান। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের লাইব্রেরিতে ‘লেডি অব জাস্টিস’-র এই নতুন মূর্তি বসানো হয়েছে। এই নতুন ছবি বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে বলেই মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নির্দেশ নতুন এই মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে। মূর্তির চোখ খোলা রেখে প্রধান বিচারপতি বার্তা দিতে চেয়েছেন যে ভারতের আইন অন্ধ নয়। সকলকে সমান চোখে দেখে বিচার করে। নতুন মূর্তিতে আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো লেডি অফ জাস্টিসের দ্বিতীয় হাতে তরোয়ালের জায়গা এবার এলো বই – যা আসলে ভারতীয় সংবিধানের প্রতীক। দেশের আইন কেবল শাস্তির প্রতীক নয়। ন্যায়বিচারের প্রতীক।পুরনো মূর্তির একটি হাতে যে দাঁড়িপাল্লা ছিল, নতুন মূর্তিতেও তা রয়েছে। আদালত যে বাদী ও বিবাদী পক্ষের যুক্তি শুনে বিচার করে, তারই প্রতীক এই দাঁড়িপাল্লা। তাই, নতুন মূর্তিতেও রয়েছে তা। অনেকে বলছেন, এই পদক্ষেপ ন্যায়বিচারের ঔপনিবেশিক ধারণার সমাপ্তির প্রতীক। এসেছে নতুন যুগ, নতুন ভাবনা। তাই বিচার ব্যবস্থার মধ্যেই সেই নতুন দর্শনকে তুলে ধরতে চেয়েছেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুর।

সুপ্রিম কোর্টে লেডি অফ জাস্টিসের চোখ খুলে দেওয়া হলো Read More »