October 16, 2024

৪ হাজার বছর আগে সিন্ধু সভ্যতা কেমন ছিল? তাই প্রকাশ্যে আনতে চলেছেন মোদী

ভারতীয় প্রাচীন সভ্যতার সঙ্গে মিলে আছে ৪ হাজার বছর আগের সিন্ধু সভ্যতার যুগ। এবার মানুষের সামনে তাই তুলে ধরতে চলেছে গুজরাট সরকার। অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গুজরাটের লোথালে ‘ন্যাশনল মেরিটাইম হেরিটেজ কমপ্লেক্স’ গড়ার অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এর ফলে পর্যটন অর্থনীতি আরও গতি পাবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক্স হ্যান্ডলে তিনি তাঁর লিঙ্কডইনের একটি পোস্টের লিঙ্ক শেয়ার করেছেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে সংস্কৃতি ও পর্যটনের দুনিয়ায় নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।’ স্বাভাবিক কারণেই সকলেই এতে খুশি। পর্যটকের ভিড় বাড়বে অনেক। ঐতিহাসিকরা তথ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন, লোথাল প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতার দক্ষিণের স্থানগুলির একটি ছিল। বর্তমান গুজরাটের ভাল অঞ্চলে অবস্থিত। ২২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে শহরটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। ফলে প্রায় ৪০০০ বছরের পুরনো ইতিহাস বহন করছে লোথাল। আর এই লোথালেই পুরনো সেই ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করছে কেন্দ্র।প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, লোথালে ন্যাশনাল মেরিটাইম হেরিটেজ কমপ্লেক্সের (এনএমএইচসি) উন্নয়নে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। হেরিটেজ কমপ্লেক্সে প্রাচীন সেই সভ্যতার স্বাদ পাবেন পর্যটকরা।

৪ হাজার বছর আগে সিন্ধু সভ্যতা কেমন ছিল? তাই প্রকাশ্যে আনতে চলেছেন মোদী Read More »

লক্ষ্মীও একবার স্বর্গ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন

আজ কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। হিন্দু বাঙালিরা ঘরে ঘরে লক্ষ্মীর আরাধনায় ব্যস্ত। লক্ষ্মী বিনা সারা জগৎ অচল। আর লক্ষ্মীও বেশ চঞ্চলা। কোথাও অধর্ম, পাপ, অহংকার দেখলে লক্ষ্মী সেখানে থাকে না। পুরান বলছে, এমনই অহংকার দেখে লক্ষ্মী একবার স্বর্গ ত্যাগ করেছিলেন। কথিত আছে একবার দেবরাজ ইন্দ্রকে পদ্মফুলের মালা নিবেদন করেছিলেন ঋষি দুর্বাশা। মুনি-ঋষিদের মধ্যে খানিকটা রগচটা ও রাগী বলেই পরিচিত দুর্বাশা। এদিকে ঋষি দুর্বাশার নিবেদন করা পারিজাত মাল্য গ্রহণ না করে অহংকারের বশে তা নিজের বাহন ঐরাবতের দিকে ছুঁড়ে দেন দেবরাজ। ঐরাবতের সেই মালার সম্মান করার বদলে নিজের পা দিয়ে তা ডোলে দেন। দুর্বাশা প্রবলভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে অভিশাপ দেন যে স্বর্গরাজ্য এবং শ্রী নিয়ে দেবতাদের এত অহংকার তাই আর থাকবে না তাঁদের কাছে। ব্যাস লক্ষ্মী বিদায় নেন স্বর্গ থেকে। তখন স্বর্গে এক অ-রাজক পরিস্থিতি তৈরী হয়। লক্ষ্মীহীন হবেন দেবতারা। ঋষি দুর্বাশার এই অভিশাপের কোপ গিয়ে পড়েছিল ত্রিদেবের উপরেও। ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর হয়ে পড়েছিলেন শ্রী হীন। তাঁদের স্ত্রীরাও তাঁদের থেকে দূরে সরে যায়। স্বর্গরাজ্য তার জৌলুস হারায়। ম্লান হয়ে পড়ে বিষ্ণুর প্রিয় বসতি বৈকুন্ঠও। লক্ষ্মীদেবী সমুদ্রের তলায় নির্বাসনে যান। এরপরেই নিজেদের পাপের প্রায়শ্চিত্য করে হারানো গৌরব ফিরে পেতে চান দেবতারা। শেষে দেবতারা ও অসুর মিলে শুরু করেন সমুদ্রমন্থন। সেই সমুদ্রমন্থনেই উঠে এসেছিল নানা দামী মণিমানিক্য, কল্পতরু গাছ, অমৃত, গরল বা বিষ। সমুদ্রমন্থনের শেষেই রক্ষাকর্তা বিষ্ণু ফিরে পান তাঁর অর্ধাঙ্গিনী লক্ষ্মীকে।

লক্ষ্মীও একবার স্বর্গ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন Read More »

এবার বলিউডে ভালোভাবে পা রাখতে চলেছেন মুকেশ আম্বানি

মুকেশ আম্বানি নিজেই একটা ইনডাস্ট্রি। বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের। চাল, ডাল, তেল থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ, টেলিকম- সর্বত্রই ছড়িয়ে রয়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি। মুকেশ অম্বানীর সংস্থা বর্তমানে দেশের অন্যতম বড় কনগ্লোমারেট সংস্থা। দেশ তথা বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় প্রথম দশেই থাকে অম্বানীর নাম। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হাত ধরে বহু বছর আগেই খেলার দুনিয়ায় পা রেখেছে রিলায়েন্স। এবার বিনোদন জগতে। শোনা যাচ্ছে, বলিউডে ভালোভাবে প্রবেশ করতে চলেছে মুকেশ অম্বানীর সংস্থা। পরিচালক ও নির্মাতা করণ জোহরের প্রযোজনা সংস্থা ধর্মা প্রোডাকশনের অংশীদারিত্ব নিতে পারে রিলায়েন্স। আর্থলগ্নি করে যদি লাভের আশা থাকে সেখানেই আছে আম্বানি গোষ্ঠী। সেই দর্শন থেকেই এবার এসে পড়লো বিনোদন জগতে। সূত্রের খবর, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশনের মধ্যে শেয়ার কেনার আলোচনা চলছে। দীর্ঘদিন ধরেই ধর্মা প্রোডাকশনের শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা করছেন করণ জোহর। কিন্তু মন মতো প্রস্তাব না পাওয়ায় আলোচনা এগোয়নি। এবার রিলায়েন্সের সঙ্গে অংশীদারিত্ব নিয়ে কথাবার্তা এগোচ্ছে বলেই শোনা যাচ্ছে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, মুম্বই বিনোদন জগৎ আসতে চলেছে মুকেশের পকেটে। তবে একথা ঠিক যে কয়েক বছর আগেই আম্বানি গোষ্ঠী ওই ইনডাস্ট্রিটে প্রবেশ করেছে। ইতিমধ্যে জিও স্টুডিও এবং ভায়াকম ১৮ স্টুডিয়ো রয়েছে, যা রিলায়েন্সই অংশ। এবার ধর্মা প্রোডাকশনের অংশীদারিত্ব নিলে বলিউডে অম্বানীদের অস্তিত্ব আরও মজবুত হবে। এর আগে সম্প্রতি, আরআইএল বালাজি ফিল্মসেও অল্প শেয়ার কিনেছিল। এবার অনেক বড়ো অর্থলগ্নি করতে চলেছে মুকেশ আম্বানি।

এবার বলিউডে ভালোভাবে পা রাখতে চলেছেন মুকেশ আম্বানি Read More »

ভ্রমণ-অফবিট ভ্রমণ – পাহাড়ের অনুপম ‘লেপচা জগৎ’

পাহাড় মানেই একরাশ আনন্দ। পাহাড়ের প্রতি বাঁকেই আছে নতুন জগৎ। তাই পাহাড় মানেই নতুন উন্মাদনা। তবে এখন একটু অফবিট ভ্রমণের দিকে ভ্রমণ পিপাসুরা ঝুঁকছেন। তাই আজ আমাদের ভ্রমণে আছে ‘লেপচা জগৎ’। পুজোর ছুটিতে দার্জিলিং তো অনেক হল, কিন্তু দার্জিলিংয়ের পাশের কিছু অফবিট গ্রাম রয়েছে যেগুলি আপনার মন জয় করবে নিশ্চিত। তেমনি একটি গ্রাম হল লেপচাজগৎ। দার্জিলিং এর পাহাড়-ঘেরা এই গ্রামটি অফবিট লাভারদের কাছে এখন বেশ জনপ্রিয়। ব্রিটিশরা আসার পর পরিচিতি পেয়েছিল এই আদিবাসী গ্রাম। এই জায়গাটি দার্জিলিং শহরের কাছাকাছি অবস্থিত আরও একটি “স্বর্গ-রাজ্য!” যেখানে পর্যটকদের ভিড় তুলনামূলক কম। লেপচা উপজাতির মানুষ বসবাস করে বলে এই জায়গাটির নাম হয়েছে লেপচাজগৎ। পাহাড় জঙ্গল ঝর্ণা মিলিয়ে দারুন সুন্দর এই গ্রাম। শুধু প্রার্থনা করুন যেন আকাশ পরিষ্কার থাকে। সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখার স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা এখানে না গেলে মিস করবেন। বাহারি ফুল ছাড়াও প্রচুর পাখি চোখে পড়বে এখানে। ফায়ার-টেল্‌ড সানবার্ডের মতো বিরল প্রজাতির পাখিও। হাঁটতে বেরিয়ে ক্যামেরা রেডি রাখবেন সব সময়। আর বাইনোকুলারও। ফরেস্ট ট্রেল ধরে যতদূর মন চায় হেঁটে বেড়ান। পাশেই রয়েছে বিশাল চা-বাগানও। বিরল প্রজাতির কিছু অর্কিডের দেখা মেলে এই গ্রামে। আর্কিড এই গ্রামের সৌন্দর্যকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এতো সুন্দর আর্কিড আপনি পাহাড়ে আর কোথাও পাবেন না। যাওয়া – শিলিগুড়ি থেকে ভাড়া বা শেয়ারড জিপে যেতে পারেন। কলকাতা থেকে বাস বা ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি, বিমানে গেলে বাগডোগরা চলে যান। এরপর ভাড়া বা শেয়ারড জীপে। দার্জিলিংয়ে যাওয়ার পথে ঘুম’এ নেমেও শেয়ার ট্যাক্সিতে যেতে পারেন। থাকা – লেপজাজগতে থাকতে গেলে প্রচুর হোমস্টে রয়েছে। যেখানে অনায়াসেই রাত কাটাতে পারবেন আপনারা। ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে খাওয়া দাওয়া সহ রাত্রি যাপনের ব্যবস্থাও রয়েছে সেখানে। তবে পুজোর সময় গেলে অন্তত এক মাস আগে বুকিং করে যেতে হবে।

ভ্রমণ-অফবিট ভ্রমণ – পাহাড়ের অনুপম ‘লেপচা জগৎ’ Read More »

স্বাস্থ্য সংবাদ-থানকুনি পাতা – বহু রোগের মহৌষধ

 বাংলার গ্রাম গঞ্জে, নদী নালার পাশে গজিয়ে ওঠা থানকুনি পাতার প্রকৃত মর্ম আমরা এখনো বুঝে উঠতে পারিনি। এটি যথার্থ অর্থেই মহৌষধ। বাঙালির অতি পরিচিত শাকসবজির মধ্যে থানকুনি পাতার কথা কেনা শুনেছে। ঠাকুমাদের আমলে প্রায়ই এই পাতার পদ থাকত পাতে। এমনকী এখনও অনেকে এই পাতার নানা পদ খেতে ভালবাসেন। সাধারণত পুকুর পাড় বা জলাশয়ে এ পাতা দেখা যায়। বেশিরভাগ মানুষই এখন পেটের সমস্যা হলে ওষুধ খেয়ে তা সারিয়ে ফেলেন। বেশ কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকে। তবে ওষুধের পাশাপাশি কিছু ভেষজ উপাদানও পেটের সমস্যা দূর করে। এর মধ্যে অন্যতম হল থানকুনি পাতা। এটি যথার্থ অর্থে মহৌষধ এর কাজ করে।   আমরা সবাই হয়তো জানিনা, শুধু পেটের সমস্যা বললে কম বলা হয়, টাইফয়েড, ডায়ারিয়া, কলেরার মতো একাধিক রোগ সারাতে পারে এই থানকুনি পাতা। নিয়মিত এই পাতার রস খেলে আরও বেশ কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে‌। থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি আরও ভাল হয়। এটি শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেয়। পাশাপাশি পেন্টাসাইক্লিক ট্রিটারপেন্স নামের একটি উপাদানের ঘাটতি কমায়। এতেই মস্তিষ্কের কোষগুলি আরও ভালভাবে কাজ করে। উন্নত হয় স্মৃতিশক্তি। বয়স্ক মানুষদের জন্য এটি সমানভাবে কার্যকরী। যদি নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খেলে বেশি বয়সে অ্যালঝাইমার্স বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগের আশঙ্কা কমানো যায়। তাই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে নিয়মিত থানকুনি পাতা খাবার পরামর্শ দেয়। এ ছাড়াও রোজকার কাজের চাপ ও ব্যক্তিগত জীবনের জটিলতা থেকে অনেক সময় মানসিক চাপ তৈরি হয়। এই ধরনের চাপ একটা সময় কাজেও প্রভাব ফেলতে শুরু করে। থানকুনি পাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত স্ট্রেস কমিয়ে এটি মানসিক অবসাদ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে। তাই সপ্তাহে অন্তত ২/৩ দিন থানকুনি পাতা খান।

স্বাস্থ্য সংবাদ-থানকুনি পাতা – বহু রোগের মহৌষধ Read More »

পড়া সহজে মনে রাখার ৫ বৈজ্ঞানিক উপায়

১) যে কোনো কিছু পড়ার এক ঘন্টা পর সেটির মাত্র ৪৪ শতাংশ আমাদের মনে থাকে। তাই আমাদের উচিত তাৎক্ষনিক রিভিশন না দিয়ে একটু বিরতি  দিয়ে একই বিষয় আবার পড়া। তাতে পড়া মনে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিড়তি দিয়ে বার বার পড়লে যে কোনো পড়াই মনে থাকে অনেক দিন। ২) কোনো কিছু খুব সহজভাবে অন্যকে বোঝানোর পদ্ধটিকে ফাইনম্যান পদ্ধতি বলে। যেকোনো কিছু পড়ার পর তা অন্য কাউকে শেখানোর চেষ্টা করলে সেই পড়া আপনার মনে রাখার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেক গুন। ৩) এই পদ্ধতিতে একজন মানুষ মোট ২৫ মিনিট সময় নিয়ে কোনো একটি কাজ করবেন। এবং কাজ শেষে ৫ মিনিট বিরতি নেবেন। এই ২৫ মিনিট নিজেকে অন্য সবকিছু থেকে দূরে রাখতে হবে। আর বিরতির ৫ মিনিটকে বেছে নিতে হবে অন্য যেকোনো কাজ কিংবা বিশ্রামের জন্য। এই পদ্ধতি পড়াশুনায় প্রয়োগ করলে পড়া হবে আরও কার্যকর, আর মনে থাকবে লম্বা সময় পর্যন্ত। ৪) পড়াশুনার শেষে নির্দিষ্ট সময় ঘুমালে তা পড়া মনে রাখার বেশ সহায়তা করবে। তাই লম্বা সময় পড়াশুনার পর কিছুক্ষণ  ঘুমিয়ে নেওয়ার বিকল্প নেই। যারা সারা রাত জেগে সকালে পরীক্ষা দিতে অভ্যস্ত, অনেক সময় দেখা যায় তাদের পরীক্ষা খারাপ হয়। ৫) ছড়া, গল্প, ছবি ইত্যাদির মধ্যে তথ্য যুক্ত করে কোনো কিছু পড়লে পড়া বেশি মনে থাকে। মূলত ভোকাবুলারি, বিভিন্ন সাল কিংবা যেকোনো ছোট তথ্য মনে রাখার ক্ষেত্রে এই কৌশল হয়ে উঠতে পারে বেশ কার্যকর।

পড়া সহজে মনে রাখার ৫ বৈজ্ঞানিক উপায় Read More »

রান্না -জাপানি – ‘ওয়াসাবি প্রনস’

  ‘ওয়াসাবি’ এক ধরনের জলজ উদ্ভিদ। যা মূলত জাপানের ছোট ছোট নদীতে জন্ম নেয়। ৪/৫ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। গাঢ় সবুজ রঙের এই গাছের ভেষজ গুন অসাধারণ। ওদের দেশে বহু রান্নায় এই গাছের জুস ব্যবহার করা হয়। তবে জাপান এই ওয়াসাবি এখন প্রচুর এক্সপোর্ট করে। ওই পাতার ডাস্ট জলে গুলে কোলকাতাতেও বিভিন্ন হোটেলে রান্নায় দেওয়া হয়।   উপকরণ –  *৫ টি বড়ো আকারের চিংড়িমাছ *১০০ গ্রাম মেয়োনিজ় *১০ গ্রাম কনডেন্সড মিল্ক *১৫ গ্রাম ওয়াসাবি *২০ গ্রাম কুচনো পেঁয়াজ *১০ গ্রাম পার্সলেকুচি *১০ গ্রাম আলুর স্টার্চ *প্রয়োজনমতো তেল   প্রণালী – প্রথম পর্ব – সামান্য নুন, চিংড়ি মাছ আর আলুর স্টার্চটা একসঙ্গে মেখে নিন।তেল ছাড়া বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে সসের মতো তৈরি করে সরিয়ে রাখুন। দ্বিতীয় পর্ব -কড়ায় তেল গরম করে নিন, তার মধ্যে চিংড়ি দিয়ে ভেজে নিন।  তৃতীয় পর্ব – এবার চিংড়িগুলি থেকে তেল ঝরিয়ে নুন ও ওয়াসাবি সসের মিশ্রণে খানিকক্ষণের জন্য ডুবিয়ে রাখুন।   চতুর্থ পর্ব – গরম থাকতে থাকতেই প্লেটে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। যদি খেতে দেরি হয় তাহলে আরেকবার সামান্য গরম করে পরিবেশন করুন।

রান্না -জাপানি – ‘ওয়াসাবি প্রনস’ Read More »

এলিয়ানের দেখা পাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা!

এলিয়ানের দেখা পাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। বলছেন একদল বিজ্ঞানী। অন্য কোনো সৌর জগতে হয়তো আছে ভিনগ্রহী এলিয়ান।    ‘এলিয়ান’ শব্দটি নিয়ে এখন প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। সম্প্রতি মেক্সিকো পার্লামেন্ট জানিয়েছে, ওদের কাছে আছে এলিয়ানের ফসিল। সেটা অবশ্য বিশ্ববিজ্ঞান স্বীকার করছে না। তবে বিজ্ঞানীরা আশাবাদী যে, আমাদের জীবদ্দশায়, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই হয়তো দূরের কোনো গ্রহে জীবনের সন্ধান পাওয়া যাবে। বৃহস্পতি গ্রহে মিশন পরিচালনা করছেন এমন একজন বিজ্ঞানী আরও একধাপ এগিয়ে বলছেন, বরফে ঢাকা এই গ্রহে কোনো প্রাণ না থাকলে সেটাও হবে অবাক হওয়ার মতো ব্যাপার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ সম্প্রতি সৌরজগতের বাইরের একটি গ্রহে জীবন থাকা সম্পর্কে ইঙ্গিত শনাক্ত করেছে। এখন সবটাই অবশ্য ভবিষ্যতের বিষয়। তবে আশা আছে পুরো  মাত্রায়।   পৃথিবীর বাইরে প্রাণের খোঁজ পাওয়া হবে সর্বকালের সর্ববৃহৎ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার। সেজন্য এরই মধ্যে বেশকিছু মিশন শুরু হয়েছে বা শুরু হতে যাচ্ছে। স্কটল্যান্ডের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক ক্যাথরিন থেইম্যানস বলেন, “অসীম নক্ষত্র এবং গ্রহের একটি মহাবিশ্বে আমরা বসবাস করি। সেখানে অবশ্যই আমরাই শুধু একমাত্র বুদ্ধিমান প্রাণী হতে পারি না। ” সেই সন্ধানেই নাসার হাই পাওয়ার টেলিস্কোপ কাজ করে চলেছে। বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানে যে টেলিস্কোপগুলো ব্যবহার করা হয়, সেগুলো এখন দূরের নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণকারী গ্রহগুলোর বায়ুমণ্ডল বিশ্লেষণ করতে পারে। তাছাড়া এগুলো পৃথিবীর জীবিত প্রাণীরা উৎপাদন করে এমন রাসায়নিকের সন্ধান করতে পারে।   গত মাসের শুরুর দিকে পৃথিবী থেকে ১২০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত কে২-১৮বি নামের একটি গ্রহের বায়ুমণ্ডলে এমন গ্যাস শনাক্ত করা হয়। এই গ্রহটিকে বিজ্ঞানীরা ডাকেন ‘গোল্ডিলক্স জোন’ নামে। যে নক্ষত্রকে ঘিরে ওই গ্রহ ঘুরছে, তার থেকে এমন দূরত্বে সেটি রয়েছে, যাতে সেটির ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা খুব বেশি গরম বা খুব বেশি ঠাণ্ডা হয় না। সেখানে জল থাকার জন্যও সঠিক তাপমাত্রা রয়েছে, যা জীবনের জন্য অপরিহার্য। বিজ্ঞানীদের একটি বিশেষজ্ঞ দল আশা করছে, আগামী এক বছরের মধ্যেই তারা জানতে পারবেন যে, আগ্রহ উদ্দীপক এসব ইঙ্গিত সেখানে আসলেই জীবন থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করছে কি না। তাই তাঁরা মনে করে ভিনগ্রহী জীব বা এলিয়ানের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।

এলিয়ানের দেখা পাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা! Read More »