October 14, 2024

আবার অনশনস্থলে অসুস্থ এক জুনিয়র ডাক্তার

আবার খুবই অসুস্থ হয়ে নীলরতন হসপিটালে ভর্তি হলেন ডাঃ পুলস্ত্য আচার্য। রাতে চিকিৎসকরা জানান, এখনও সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন পুলস্ত্য। শরীরে কিটোন বডির মাত্রা বেশি, রক্তচাপ কম। তবে বর্তমানে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি। এই নিয়ে চিকিৎসকদের অনশন মঞ্চ থেকে চারজন জুনিয়র চিকিৎসক অসুস্থ হয়ে পড়লেন। রবিবার সন্ধ্যা থেকেই অনশনরত জুনিয়র ডাক্তার পুলস্ত্য আচার্যের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পিজিটি প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ওই চিকিৎসকের পেটে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। প্রাথমিক চিকিৎসায় সাড়া না দেওয়াতেই তড়িঘড়ি এনআরএস-এ নিয়ে যাওয়া হয়। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত তিনি এখনও সংকটমুক্ত নন। হসপিটালের পক্ষ থেকে মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। ডাঃ পুলস্ত্যের চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল টিমও গঠন করা হয়েছে। রয়েছেন অ্যানাস্থেশিয়া, কার্ডিওলজি, মে়ডিসিন, চেস্ট মেডিসিন ও নেফ্রোলজি বিভাগের চিকিৎসকরা। প্রাথমিক পরীক্ষার পর জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে অনশনের জন্য শরীরে জলের অভাব দেখা দিয়েছে। রয়েছে বমি ভাব। দেহে কিটোন বডির মাত্রা ৩+। এর জেরে কিডনিতে প্রভাব পড়ছে। প্যালপিটেশন আছে। স্বাভাবিক কারণেই ত্রাস তৈরী হয়েছে আন্দোলনকারীদের মধ্যে।

আবার অনশনস্থলে অসুস্থ এক জুনিয়র ডাক্তার Read More »

সরকারি চাকরির প্রস্তুতির জন্য বিশেষজ্ঞ পরামর্শ

চাকরি বলতে আমরা মূলত সরকারি চাকরি নিয়েই আলোচনা করছি। এই মুহূর্তে সরকারি চাকরির চাহিদা তুঙ্গে। তাই বহু ছেলে-মেয়ে বছরের পর বছর ধরে এই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে চলেছে, কিন্তু সেভাবে সাফল্য আসছে না। এই বিষয়েই পরামর্শ দিচ্ছেন কয়েকজন বিশেষজ্ঞ। আজকাল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরকারি চাকরির প্রস্তুতির ক্লাস করানো হয়। কিন্তু সকলের পক্ষে সেইসব ক্লাসে ভর্তি হওয়া সম্ভব হয় না। তাই সেইসকল প্রার্থীরা বাড়িতেই নেন প্রস্তুতি। কিন্তু অনেক সময়ই দীর্ঘ চেষ্টার পরও মেলে না সাফল্য। ফলে নিরাশ হয়ে পড়েন প্রার্থীরা।

সরকারি চাকরির প্রস্তুতির জন্য বিশেষজ্ঞ পরামর্শ Read More »

পুজো ভাসানকে কেন্দ্র করে দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে মৃত্যু এক কিশোরের

ভাসানকে কেন্দ্র করে হিংসা ও মৃত্যু এড়ানো গেলো না। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এই হিংসার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বাহরাইচের মনসুর গ্রামের মহারাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। মৃত যুকের নাম রাম গোপাল মিশ্র। ভাসান শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিল সেই রাম গোপাল। বিসর্জনেন মিছিল যখন বাজার এলাকা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন রাম গোপালকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছিল। গুলিবিদ্ধ অবস্থয় রাম গোপালকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু ঘটে রাম গোপালের। এর পর উত্তেজিত জনতা বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। পাথর ছোড়াছুড়ির ঘটনাও ঘটে। এর জেরে জখম হন বেশ কয়েকজন। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরী হয়। হিংসার সময় গুলিতে এক ২২ বছর বয়সি যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মাতৃ প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময় ভাসান যাত্রায় যে গান চালানো হচ্ছিল, তা ঘিরেই হিংসার সূত্রপাত ঘটেছিল। আর এর জেরেই রক্ত ঝরে বিসর্জনের সময়। এদিকে এই হিংসার জেরে আরও প্রায় ৬ জন জখম হয়েছেন বলে খবর মিলেছে। অনেকেই পাথরের আঘাতে জখম হয়েছেন বলে খবর। এদিকে এই ঘটনায় ৩০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এই হিংসার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হিংসার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আদিত্যনাথ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, দোষীদের কোনও ভাবেই রেহাই দেওয়া হবে না। হিংসা ছড়ানোর নেপথ্যে যাদের হাত আছে তাদের সকলকে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন যোগী। এই যোগীর রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হানাহানি কিছুতেই এড়ানো যাচ্ছে না।

পুজো ভাসানকে কেন্দ্র করে দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে মৃত্যু এক কিশোরের Read More »

সম্প্রীতির নজির গড়লো বাংলাদেশের পঞ্চগড়

এ বছর বাংলাদেশের পুজো নিয়ে তৈরী হয়েছিল বেশ কিছু সমস্যা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য বেশ কিছু পুজো মন্ডপে পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু সর্বত্র এক ছাবি নয়। সেই সময় এই বাংলাদেশ দেখল অন্য নজির। বলা ভাল সম্প্রীতির নজির। বাংলাদেশের পঞ্চগড়ে একই আঙিনায় মসজিদ-মন্দির। পুজোও যেমন হল, নামাজও পাঠও হল তেমনভাবেই। বাংলাদেশ ভারত সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড় সদর। উপজেলা গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নে এই মাঠে রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই মাঠেই মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকজন পড়েন নামাজ। এখানেই পালিত হয় দুর্গাপুজো। বাধাবিপত্তি, বিধিনিষেধ ও ভেদাভেদ ভুলে হিন্দু-মুসলিমরা পালন করেন নিজ নিজ ধর্ম ৷ এমন নজির বাংলাদেশে খুবই কম আছে। এলাকাবাসী বলছে, নামাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মন্দিরের মাইক, ঢাক ঢোল সহ যাবতীয় শব্দ বন্ধ থাকে। মসজিদে নামাজ শেষ হলে স্বাভাবিক হয় মন্দিরের কার্যক্রম। এখানে কোনও বিশৃঙ্খলা হয় না। একে অপরকে সহযোগিতায় মিলিত হন সব উৎসবে। এখানে কোনও বিভেদ ও ঝামেলা ছাড়াই হিন্দু ও মুসলমানরা যে যার ধর্ম পালন করে আসছেন। দুর্গা পুজোর সময় ও ঢাক ঢোল নিয়ে কোনও সমস্যা হয় না। এবারও এখানে পালিত হয়েছে দুর্গাপুজো। একপাশে মন্দিরে হিন্দু ধর্মালম্বীরা মণ্ডপে দেবী দুর্গার মণ্ডপ তৈরি করে করছেন পুজো-অর্চনা। অন্যদিকে, কিছুটা দূরত্বে মসজিদে মুসলমানরা পড়ছেন নামাজ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এমন নজির সত্যিই বিরল।

সম্প্রীতির নজির গড়লো বাংলাদেশের পঞ্চগড় Read More »

দাম অনেকটাই কমলো ইলেকট্রিক স্ক্রুটারের

লক্ষ্মীপুজো ও ধনতেরাসের ঠিক আগেই দাম অনেকটা কমে গেলো ইলেকট্রিক স্ক্রুটারের। এই সময় অনেকেই কেনাকাটা করে থাকেন। এই সময় আপনিও যদি ইলেকট্রিক স্কুটার কেনার প্ল্যান করে থাকেন তাহলে এই প্রতিবেদন আপনার জন্য। দেশের অন্যতম বৃহত ইলেকট্রিক টু-হুইলার সংস্থা Quantum Energy বিপুল ডিসকাউন্টের ঘোষণা করেছে। ফলে ক্রেতা ও বিক্রেতা – উভয় পক্ষেরই সুবিধা।এক সঙ্গে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড়ের ঘোষণা (Electric Scooter Discount Festive Offers) করা হয়েছে। ফলে উৎসবের মরশুমে অনেকটাই সস্তায় সংস্থার (Quantum Energy) ই-স্কুটার কিনতে পারবেন। তাই আর দেরি নয়, পরিবেশ বান্ধব এই স্ক্রুটার কিনেই নিন। ইতিমধ্যে বিস্তারিত তথ্য সামনে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী Quantum Plasma X এবং Quantum Plasma XR এর উপর ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়েছে। এই দুই স্কুটার একবার চার্জে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছুটতে পারবে। কম্পানি বিজ্ঞাপ্তি দিয়ে জানিয়েছে –

দাম অনেকটাই কমলো ইলেকট্রিক স্ক্রুটারের Read More »

ভ্রমণ-একদিনে ঘুরে আসুন ফুলের রাজ্য ক্ষীরাই 

 ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ পৃথিবীতে নেই। তাই চলুন ঘুরে আসি কোলকাতার সামনেই ফুলের রাজ্য থেকে। কাঁসাই নদীর তীরে অবস্থিত ক্ষীরাই একটি স্বপ্নের গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একটি ছোট্ট স্টেশন। যেখানে একবার গেলে পরের বার আসার ইচ্ছা হবেই। কয়েক বছর ধরেই ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে ক্ষীরাই একটি পরিচিত নাম হয়ে উঠেছে। এতো রকম ফুলের চাষ এবং তার বিচিত্র রূপ, কখন ২-৪ ঘণ্টা পেরিয়ে যাবে বুঝতে পারবেন না। ক্ষীরাই যেন দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততার মাঝে বেঁচে থাকার অক্সিজেন। এমন রঙের বাহার আপনি কোথায় পাবেন না।    রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাবেন,আর   বিঘার পর বিঘা জমিতে ফুটে আছে হরেক রকমের রঙ-বেরঙের ফুল। ট্রেনে যেতে যেতেই যা দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। স্টেশনে নেমে প্ল্যাটফর্মের পিছনের দিকের রাস্তা ধরে সোজা হাঁটতে হবে প্রায় দেড় কিলোমিটার। এখানে কোন পাকা রাস্তা নেই। পাকা রাস্তা তো দুর অস্ত, কোন রাস্তা নেই বললেই ঠিক হবে। রেললাইনের পাশ ধরে লাল কাঁকুড়ে মাটির যে সরু রাস্তা আছে সেই বরাবর সোজা হাঁটা লাগাতে হবে। যতোদুর চোখ যাবে দিগন্ত জুড়ে ফুলেদের রাজত্ব। চারদিকে শুধুই রঙিন ফুলের বাহার। তার মাঝে সরু আল ধরেই হাঁটতে হবে। ফুলেদের পাশাপাশি কিছু সব্জিও আছে। ব্রীজের একপাশের ফুল দেখে ক্ষান্ত না হয়ে হেঁটে রেললাইনের অপর প্রান্তে চলে যান।  যেকোনো সময় যেতে পারেন এখানে। তবে শীতে যেতে পারলেই ভালো হয়। হাওড়া থেকে খড়গপুর বা মেদিনীপুর লোকাল, যে কোন একটাতে উঠতে হবে। দুই ঘন্টার মত সময় লাগে ট্রেনে যেতে। পাসকুরার পরের স্টেশন হলো ক্ষিরাই। স্টেশনে নেমে তিন নম্বর লাইন ধরে বরাবর পাসকুরা দিকে ২.৫ কিলোমিটার হেঁটে যেতে হবে। কিছুদূর যাওয়ার পর পড়বে কংসাবতী বা কসাই নদী। নদীর দুদিকেই ফুলের চাষ হয়।

ভ্রমণ-একদিনে ঘুরে আসুন ফুলের রাজ্য ক্ষীরাই  Read More »

‘পানপাতা’ শরীরের মহৌষধ

   সেই প্রাচীনকাল থেকেই পানের প্রচলন আছে। এমনকি আদি বাঙলা কাব্য ‘চর্যাপদ’এ পানের উল্লেখ আছে। দিনে ২/৩ টে পান পাতার রস শরীরের নানা উপকার করে। পান পাতায় আছে প্রচুর স্বাস্থ্যগুণ। ভিটামিন সি, থায়ামাইন, নিয়াসিন, রাইবোফ্ল্যাবিন এবং ক্যারোটিন সমৃদ্ধ পানপাতা ক্যালসিয়ামে ভরপুর ৷ পানপাতা সুগন্ধি ৷ মধুমেহ রোগে পানপাতা কার্যকর ৷ এতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত হয়। পানপাতার প্রভাবে দেহের মেটাবলিক হার বৃদ্ধি পায় ৷ ফলে যাঁরা বাড়তি ওজন ঝরিয়ে রোগা হতে চান, তাঁদের জন্য পানপাতা কার্যকর ৷   ১০ থেকে ১২ টা পানপাতা সিদ্ধ করে ফুটিয়ে নিন ৷ এ বার ওই মিশ্রণে মধু মিশিয়ে পান করুন ৷ এতে মুখের ভিতরে স্বাস্থ্য বজায় থাকে ৷ কারও মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা থাকলে, দূর হয় সেটাও ৷ পানপাতাকে গরমজলে ফুটিয়ে সেই মিশ্রণ দিয়ে গার্গলও করতে পারেন৷ অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যের জন্য পানপাতা দাঁত ও মাড়ির জন্য উপকারী৷ দাঁতের ক্যাভিটি, অন্যান্য সমস্যা এবং মাড়ির সংক্রমণে পানপাতার রস খুবই কার্যকর৷ দাঁত ও মাড়ির যন্ত্রণা, ফুলে ওঠাতেও ঘরোয়া টোটকা হিসেবে পানপাতার রস ব্যবহার করতে পারেন৷ ছোটখাটো ক্ষতের ক্ষেত্রে ব্যান্ডেজের পরিবর্তে হাতের কাছে পাওয়া পানপাতা খুবই কার্যকর৷ এতে আঘাত ও যন্ত্রণা দুই-ই প্রশমিত হয় ৷ আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে পানপাতার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ৷   এছাড়াও আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের পরামর্শ, শরীরকে টক্সিনমুক্ত করতে পানপাতা কার্যকর৷ ফাইবার সমৃদ্ধ পানপাতা ব্যবহৃত হয় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধেও৷ এক গ্লাস উষ্ণ জলের সঙ্গে পানপাতা চিবিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়৷ পানপাতার রস ছেঁকে পান করলে পরিপাক ক্রিয়া উন্নত হয়৷ বাচ্চাদেরও দিনে দু’বার এই মিশ্রণ দেওয়া হয় হজমশক্তি মজবুত করতে৷ দীর্ঘদিনের অরুচির সমস্যাও কাটিয়ে ফেলতে পারেন পানপাতার রসে৷ যাঁদের একটুতেই গা বমি বমি লাগে, তাঁদের ক্ষেত্রেও পানপাতার রস উপকারী৷ পানের রসে বমি সমস্যার উপশম হয়৷   তবে সতর্কবাণী আছে কিছু। যেমন পানের সাথে খুব অল্প সুপরি,চুন চলতে পারে কিন্তু জর্দা একদম নয়। আর দিনে বড়জোর গোটা চারেক পর্যন্ত পান খান,তার বেশি নয়।

‘পানপাতা’ শরীরের মহৌষধ Read More »