October 12, 2024

পুজোতে প্রকাশ পাওয়া ৩টে বাংলা ছবি কেমন ব্যবসা করলো?

টলিপাড়া পুজোতে প্রকাশিত তিন ছবির ব্যবসার দিকে তাকিয়েছিল। এর উপর অনেকটা নির্ভর করে বাংলা ছবির ভবিষ্যৎ। সেই তিনটি ছবি হলো – বহুরূপী, টেক্কা এবং শাস্ত্রী। এই ৩টি ছবিই গত ৮ অক্টোবর বক্স অফিসে মুক্তি পেয়েছে। টেক্কা ছবিটির পরিচালনা করেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। অভিনয়ে আছেন দেব, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এবং রুক্মিণী মৈত্র। দুর্দান্ত টুইস্টে ভরা ছবিটি দারুণ নজর কেড়েছে দর্শকদের। অন্যদিকে বহুরূপী ছবিটি পরিচালনা করেছেন নন্দিতা রায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। অভিনয় করেছেন আবির চট্টোপাধ্যায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, কৌশানি মুখোপাধ্যায়, ঋতাভরী চক্রবর্তী, প্রমুখ। এখানে উঠে এসেছে ব্যাঙ্ক ডাকাতির গল্প তাও বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে। শাস্ত্রী ছবিটির পরিচালনা করেছেন পথিকৃৎ বসু। অভিনয়ে আছেন মিঠুন চক্রবর্তী, সোহম চক্রবর্তী, দেবশ্রী রায়। এখানে বিজ্ঞান বনাম কুসংস্কারের লড়াই দেখানো হয়েছে। সমস্ত ছবিটা কাহিনী বেশ জমজমাট ও রহস্যময়। প্রশ্ন, পুজোতে তারা কে কেমন ব্যবসা করলো? টলি পাড়া সূত্রের খবর, প্রথম তিন দিনের পর বহুরূপী ছবিটি ২ কোটি টাকার বেশি আয় করেছে। পুজোয় মুক্তি পাওয়া ৩ বাংলা ছবির মধ্যে এগিয়ে আছে উইন্ডোজ প্রোডাকশন হাউজের এই ছবিটি। তারপর আগে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত টেক্কা। দেবের ছবিটি ৩ দিনে বক্স অফিসে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা আয় করেছে। আর এই কথা খোদ দেব জানিয়েছেন। অন্যদিকে শাস্ত্রী ছবিটি বেশ অনেকটাই পিছিয়ে আছে। এটা বক্স অফিসে মাত্র ২৫ লাখ টাকা আয় করেছে। দেব এদিন টেক্কা ছবিটির একটি পোস্টার পোস্ট করে লেখেন, ‘এটা একটা ব্লকবাস্টার অস্টোনি ছিল ৭০ টির বেশী হাউজফুল শো সহ।’ বাংলা সিনেমা আবার ফিরে আসছে তার প্রাচীন ঐতিহ্য নিয়ে – এটা খুবই স্বস্তির খবর।

পুজোতে প্রকাশ পাওয়া ৩টে বাংলা ছবি কেমন ব্যবসা করলো? Read More »

বেলেঘাটার রামকৃষ্ণ লেনের ভট্টাচার্য বাড়ির দুর্গা প্রতিমার রং কালো

মানুষের বিশ্বাসের উপর ভর করে যুগ যুগ ধরে চলেছে ‘বারো মাসে তেরো পার্বন’। তার মধ্যে অবশ্যই অন্যতম হলো – শারদীয়া দুর্গোৎসব। এই পুজোকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষ বিভিন্ন রীতি ও আচার অনুষ্ঠান পালন করেন। তেমনই বেলেঘাটার ভট্টাচার্য বাড়ির পুজোর এক অদ্ভুত রীতি হলো দেবী দুর্গার গায়ের রং কালো। কিন্তু কেন? এখানেই প্রচলিত আছে এক কিংবদন্তি। বাংলাদেশের পাবনা জেলার স্থলবসন্তপুরে নাটোরে রাজত্ব করতেন রানি ভবানি। তাঁর আমলেই শুরু হয় এই বাড়ির পুজো। পুজো শুরু করেন হরিদেব ভট্টাচার্য। দেখতে দেখতে পুজো পেরিয়েছে ২৯০ বছরের গন্ডিও। এ বাড়িতে পুজো হয় কালিকা মতে। পুরোহিতের গায়ে থাকে লাল বস্ত্র। তন্ত্র মতে পুজো করেন দেবীর। ভোগে সকালে থাকে নিরামিষ আর সন্ধে বেলা আমিষ।

বেলেঘাটার রামকৃষ্ণ লেনের ভট্টাচার্য বাড়ির দুর্গা প্রতিমার রং কালো Read More »

অনুব্রত মন্ডলের অশৌচ চলছে – তাই অঞ্জলি দিলেন না

বীরভূমের ‘অনুব্রত মন্ডল’ – এই নামটাই যথেষ্ট। বছর দুই জেলে কাটিয়ে কন্যাকে নিয়ে কিছুদিন আগেই গ্রামে ফিরেছেন। এবার তিনি অনেক শান্ত। তার শরীরী ভাষায় নেই সেই ‘চড়াম চড়াম’ শব্দ। শুক্রবার গ্রামের বাড়ির পুজোতে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ তিনি মণ্ডপের বাইরে বসেছিলেন। তিনি বলেন, গ্রামের পুজোয় এসে খুব ভালো লাগছে। তবে মন্দিরে উঠতে পারব না। অঞ্জলিও দিতে পারব না। আমার কাকা মারা গিয়েছে তো তাই! বাইরে থেকে প্রণাম জানালাম দেবী দুর্গাকে। গত মাসেই জামিনে মুক্ত হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তার কিছুদিন আগে জামিন পেয়েছিলেন মেয়ে সুকন্যাও। তবে বীরভূমে ফেরার পরে সরাসরি কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যায়নি অনুব্রতকে। বলা যায় কিছুটা এড়িয়েই যাচ্ছেন। তবে এদিন গ্রামের পুজোতেও তিনি বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন। পরনে পায়জামা, পাঞ্জাবি। মেয়ে পরেছিলেন শাড়ি। সিবিআইয়ের চোখে তিনি ছিলেন গরু পাচারকারী। তবে স্থানীয়দের চোখে কারোর কাছে তিনি কেষ্ট কাকা, কারোর কাছে তিনি কেষ্ট দা, কারোর কাছে অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় দুবছর তিনি জেলে ছিলেন। তবে এবার তিনি জামিনে মুক্ত। তবে জামিনে মুক্তি পেলেও তিনি বিতর্কিত কোনও মন্তব্য আর করতে চান না। একটা সময়ে তিনি চড়াম চড়াম, গুড় বাতাসার জন্য বিশেষ নাম করে ফেলেছিলেন। বীরভূম তৃণমূলের শেষ কথা যে এখনও সেই কেষ্ট মণ্ডলও সেটাও স্বীকার করেন তিনি। তবে অনেকের মতে,জেল থেকে বের হওয়ার পরে আগের দাপট কিছুটা হলেও কমেছে তাঁর।

অনুব্রত মন্ডলের অশৌচ চলছে – তাই অঞ্জলি দিলেন না Read More »

দশমীকে কেন ‘বিজয়া দশমী’ বলা হয়?

আজ দশমী তিথি। বাঙালির চোখের জলে আজ শেষ হতে চলেছে এই বছরের উৎসব। কিন্তু একটা প্রশ্ন অনেকের মধ্যেই আছে যে কেন দশমীকে ‘বিজয়া দশমী’ বলা হয়? পুরাণে মহিষাসুর বধ কাহিনীতে লেখা রয়েছে,মহিষাসুরের সঙ্গে ৯ দিন ৯ রাত্রি যুদ্ধ করার পর দশম দিনে তার বিরুদ্ধে জয়লাভ করেন দুর্গা। নারী শক্তির এই জয়লাভকেই ‘বিজয়া’ বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আবার, শ্রী চণ্ডীর কাহিনী অনুসারে, দেবী আবির্ভূত হন আশ্বিন মাসের কৃষ্ণাচতুর্দশী-তে। মহিষাসুর বধ করেন শুক্লা দশমীতে। তাই দশমীতে এই বিজয়কেই চিহ্নিত করে বলা হয় ‘বিজয়া দশমী। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে উত্তর ভারাতের ‘দশেরা’ উৎসব। আজকের এই বিজয়া দশমীর দিনে উত্তর ও মধ্য ভারতে উদযাপিত হয় দশেরা। যদিও তার তাৎপর্য কিছুটা আলাদা। সংস্কৃত শব্দ ‘দশহর’ থেকে ‘দশেরা’ শব্দটির উৎপত্তি। যা সূচিত করে দশানন রাবণের মৃত্যু-কে। বাল্মিকী রচিত রামায়ণে কথিত, আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতেই রাবণ বধ করেছিলেন রাম। রাবণ বধের পর ৩০ তম দিনে অযোধ্যা প্রত্যাবর্তন করেন সস্ত্রীক রামচন্দ্র। তাই এই দিনটিকে দশেরা বা দশহরা হিসেবে পালন করা হয় উত্তর ও মধ্য ভারতের কিছু জায়গায়।

দশমীকে কেন ‘বিজয়া দশমী’ বলা হয়? Read More »

বিজয়া দশমীতে সিঁদুর খেলা – বিশেষ তাৎপর্য মন্ডিত

হিন্দু বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ উৎসন – শারদীয়া দুর্গোৎসব শেষ। আজ বিজয়া দশমী। ঘাটে ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা। পুরোহিত দেবী বিসর্জন দেওয়ার পরেই শুরু হয়ে যাবে মহিলাদের দেবী বারণ ও সিঁদুর খেলে। কিন্তু কি কারণে এই বারণ ও সিঁদুর খেলার প্রচলন? এর পিছনে রয়েছে পৌরাণিক কাহিনি। আর সেখান থেকেই উঠে এসেছে সিঁদুর খেলার একাধিক কারণ। এই বিষয়ে তিনটি মত খুব প্রচলিত – ১) দেবী দুর্গার সঙ্গে মহিষাসুরের লড়াই চলেছিল টানা নয় দিন। নয় দিন যুদ্ধের পরে এই বিজয়া দশমীতেই তিনি জয়লাভ করেন। ফলে এই দিনটি উদ্‌যাপনের উদ্দেশ্যে সিঁদুর খেলা হয় বলে মত অনেকের। অনেকের মতেই এই সিঁদুর আসলে বিজয়ের প্রতীক। ২) অনেকের মতে, যেহেতু সিঁদুর ব্রহ্মের প্রতীক, তাই বিবাহিত নারীদের কাছে সিঁদুর খেলার অর্থ হল ব্রহ্মের আশীর্বাদ পাওয়া। আর সেটি পেলে স্বামী এবং সংসারের মঙ্গল হয়। সেই কারণেই তাঁরা সিঁদুর খেলেন। ৩) আর এক মত হল, দেবী দুর্গা যেহেতু বিবাহিতা, তাই তাঁকে বাপের বাড়ি থেকে বিদায় জানানোর সময়ে সিঁদুর পরিয়েই দেওয়াই নিয়ম। আর সেখান থেকেই সিঁদুর খেলার জন্ম। তার সঙ্গে মিষ্টিমুখ করানোর রেওয়াজ বলেও মনে করা হয়।

বিজয়া দশমীতে সিঁদুর খেলা – বিশেষ তাৎপর্য মন্ডিত Read More »

মনের জোর বাড়ানোর ৪ উপায়

 ১) নিজেকে কখনোই ছোট করে উপস্থাপ করবেন না। আবার যেন নিজেকে বড়ো দেখানোর প্রবনতা পেয়ে না বসে, সেদিকেও খেয়াল রাখবেন। আপনি যদি নিজেকে ছোট করে কথা বলেন,নিজের দুর্বলটা প্রকাশ করতে থাকেন, তবে অন্যরাও আপনাকে দুর্বল ভাবতে শুরু করবে। সেখান থেকে আপনার মনের জোর আরও কমে যাবে। তাই নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন,যেন অন্যরাও মুগ্ধ হয়। ২) সবার আগে নিজেকে চিনতে  ও বুঝতে হবে। কী পারেন ও কী পারেন না, সেসব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করুন। এতে নিজেকে জানা সহজ হবে। কারো কথায় নিজেকে দুর্বল ভাববেন না। আপনার ভেতরের শক্তি আপনাকেই আবিষ্কার করতে হবে। নিজেকে চেনা এবং বুঝতে পারার যোগ্যতা থাকলে বাকি কাজগুলো আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে।  ৩) যে কোনো কাজ করার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করবেন না। আগে নিজের মধ্যে নিজেকে ভালো করে গুছিয়ে নিতে হবে। কোন কাজটা কিভাবে করবেন তার পুরো পরিকল্পনা শুরুতেই ভালোভাবে তৈরী করে নিন। এতে কাজে ভুল হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে। সেই সঙ্গে বাড়বে মনের জোরও।  ৪) অন্যের সমালোচনা শুনলেই মন খারাপ করবেন না, বা ক্ষেপে যাবেন না। কেউ গঠনমূলক সমালোচনা করলে তা মন দিয়ে শুনুন। এরপর তার ভেতরের গঠন মূলক দিকগুলো মনে গেঁথে নিন। এতে আপনার লাভ ছাড়া ক্ষতি হবে না। সেই সঙ্গে কোন কাজটি করলে আরও বেশি উন্নতি করতে পারবেন তা চিন্তা করে দেখুন।

মনের জোর বাড়ানোর ৪ উপায় Read More »

ভ্রমন -দীঘা হয়ে উঠতে চলেছে সিঙ্গাপুর – আন্ডার ওয়াটার পার্ক

মুখ্যমন্ত্রীর সাধের দিঘায় এবার লাগতে চলেছে সিঙ্গাপুরের স্পর্শ। দিঘাকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে এবার বিদেশের মজা বাঙালির ঘরের পাশে দিঘায়। দিঘাতে জগন্নাথ ধাম শুরু হওয়ার আগেই পর্যটকদের জন্য এল আরও এক সুখবর। আর দেশ নয় বিদেশি পর্যটনস্থানের আদলে গড়ে উঠতে চলেছে নয়া পার্ক। সিঙ্গাপুরের আদলে এবার দিঘায় গড়ে উঠতে চলেছে ‘আন্ডার ওয়াটার পার্ক’। খুব তাড়িতাড়ি দিঘায় জায়গা চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। দিঘায় পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে গড়ে উঠবে বিদেশি স্টাইলে ‘আন্ডার ওয়াটার পার্ক’। বিষয়টা নিয়ে খুবই উত্তেজিত ভ্রমণার্থীরা।   জানা যাচ্ছে, সিঙ্গাপুরের ধাঁচে সমুদ্রের জলের নীচে টানেলে নেমে জলের নীচে সমস্ত প্রাণীদের দেখা যাবে বলে জানা গিয়েছে। দিঘায় ‘আন্ডার ওয়াটার পার্ক’ গড়ার দায়িত্বে পেয়েছে হিডকো নামক সংস্থা। ইতিপূর্বে দিঘায় পর্যটকদের জন্য জগন্নাথ ধাম মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। সেই কাজ শেষের পথে। এবার হবে আন্ডার ওয়াটার পার্ক।

ভ্রমন -দীঘা হয়ে উঠতে চলেছে সিঙ্গাপুর – আন্ডার ওয়াটার পার্ক Read More »