পাকিস্তানে সদ্য শেষ হলো দু’দিনের এসসিও সামিট। ওই সামিটে পৌরহিত্য করে পাকিস্তান। এই মুহূর্তে পাকিস্তান চাইছে, তাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে সমস্ত পুরোনো সম্পর্ক ভুলে গিয়ে একসাথে পথ চলতে। ঘটনাচক্রে সেই সামিটে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন না। গিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর। পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। এই সৌহার্দ্য আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত বলে বার্তা দিলেন নওয়াজ শরিফ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ, ৭৫ বছর ইতিমধ্যেই নষ্ট করে ফেলেছে দুই দেশ। আরও ৭৫ বছর নষ্ট করা মোটেই উচিত নয়। তার থেকে পুরোনো ঘটনা ভুলে এই দুই দেশ পরস্পরের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিক।
প্রথামাফিক পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সব সদস্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদেরই আমন্ত্রণ জানান। গত আগস্ট মাসে আমন্ত্রণপত্র আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেও।কিন্তু দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন ওঠে, মোদি কি এই সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তান যাবেন? নানা জল্পনার পর অবশেষে বিবৃতি দিয়ে বিদেশমন্ত্রক জানায় এসসিও সামিটে যোগ দিতে পাকিস্তানে যাবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। যদিও জয়শঙ্কর স্পষ্ট করেই ওই সামিটে বলেছেন, উগ্রপন্থাকে প্রশয় ও বাণিজ্য একসঙ্গে হতে পারে না। যদিও এই দুই দেশের মধ্যে কোনো দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয় নি।
কিন্তু এসসিও সামিট শেষ হওয়ার পরে ভারতের প্রতি ইতিবাচক বার্তা দিলেন শাহবাজ শরিফের দাদা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তিনি বলেন, “ভারত আমাদের প্রতিবেশী, চেষ্টা করেও সেটা বদলানো যাবে না। যদি এসসিও সামিটে মোদি আসতেন আমরা খুশি হতাম। তবে জয়শংকর এসেছেন বলেও আমরা আনন্দিত। দুই দেশের সম্পর্ক ঠিক করতে আমরা বারবার চেষ্টা করেছি। গত ৭৫ বছর আমরা নষ্ট করে ফেলেছি। আরও ৭৫ বছর নষ্ট করা উচিত নয়।”