৫৬ বছর তুষার ঘুমে ছিল ওই বিমানটি

খবরটা ভারতীয় ইতিহাসে খুবই মর্মান্তিক। কিন্তু ৫৬ বছর পরে সে মর্মান্তিক ঘটনার কিছুটা উদ্ধার হয়েছে। ভারতের বায়ু সেনার ইতিহাসে একটা মর্মান্তিক দিন ছিল ১৯৬৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। 
১০২ জন সেনা জওয়ানকে নিয়ে হিমাচল প্রদেশের রোটাং পাশে নিখোঁজ হয়ে যায় বায়ু সেনার এএন-১২ এয়ারক্র্যাফট। বহু অনুসন্ধানের পরও তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। দীর্ঘ ৫৬ বছর তুষার ঘুমে থাকার পর অবশেষে জেগে উঠল অভিশপ্ত সেই বিমান। শুধু তাই নয়, বিমানের ধ্বংসাবশেষের পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে ৪ যাত্রীর দেহ। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৬৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি চণ্ডীগড় থেকে লেহতে যাচ্ছিল বিমানটি। পথে হিমাচল প্রদেশের লাহুল জেলায় প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে ভেঙে পড়ে সেটি। দুর্ঘটনাটি ঘটে চন্দ্রভাগা-১৩ পর্বতশৃঙ্গের কাছে এক গ্লেসিয়ারে। ঘটনার ৫৬ বছর পর গত সোমবার ওই অঞ্চলে ৪টি দেহ উদ্ধারের তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।

সেই বিমান উদ্ধারের জন্য এর আগে বহুবার চেষ্টা করা হয়েছে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে। ২০০৩ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী ইন্সটিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং অভিযান চালানো সময় প্রথম ওই বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করে। তার পর থেকে ২০০৫, ০৬, ১৯ সালে দফায় দফায় ওই অঞ্চলে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। তবে দুর্গম ওই অঞ্চলে পৌঁছতে পারেনি কেউ। শেষে ২০১৯ সালে অভিযান চালানোর সময় ৫টি দেহ উদ্ধার করা হয়। অবশেষে সেখান থেকে আরও ৪টি দেহ উদ্ধার করা হল। জানা যাচ্ছে, দীর্ঘ বছর ধরে সেখানে পড়ে থাকার জেরে দেহগুলিতে পচন ধরেছে। এই অবস্থায় দেশবাসীর মধ্যে গভীর শোকের আবহাওয়া তৈরী হয়েছে।

Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Popular News

Latest News

Donec mi nisi, faucibus id enim id, ultrices fringilla felis. Praesent dictum mauris sit amet metus bibendum pulvinar. Nullam odio nisl, elementum a sodales sit amet, lobortis imperdiet lectus. Praesent id feugiat odio. Nulla facilisi. Vivamus neque libero, sagittis et molestie quis, rutrum auctor neque.

Donec mi nisi, faucibus id enim id, ultrices fringilla felis. Praesent dictum mauris sit amet metus bibendum pulvinar. Nullam odio nisl, elementum a sodales sit amet, lobortis imperdiet lectus. Praesent id feugiat odio. Nulla facilisi. Vivamus neque libero, sagittis et molestie quis, rutrum auctor neque.

Donec mi nisi, faucibus id enim id, ultrices fringilla felis. Praesent dictum mauris sit amet metus bibendum pulvinar. Nullam odio nisl, elementum a sodales sit amet, lobortis imperdiet lectus. Praesent id feugiat odio. Nulla facilisi. Vivamus neque libero, sagittis et molestie quis, rutrum auctor neque.