এটা ঠিক সমতল ভূমিতে এই ফল বেশি পাওয়া যায় না। মূলত পাহাড়ি অঞ্চলেই হয়। তবে যেকোনো বড়ো বাজারে খোঁজ করলে অবশ্যই পাওয়া যাবে এই পাহাড়ি ফল ‘ঝিঙ্গারু’। এই ফল থোকায় থোকায় হয়। এটি পাকলে কমলা বা গাঢ় লাল হয়ে যায়। এই ফলগুলি হালকা টক-মিষ্টি বা কষা স্বাদের হয়ে থাকে। জিঙ্গারুতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। এই গাছ শাখা-প্রশাখা কাঁটাযুক্ত মাঝারি আকারের হয়। পাতা রঙ গাঢ় হয়। উচ্চতায় ৫০০ থেকে ২৭০০ মিটার পর্যন্ত হয়। মূলত পাহাড়ি এলাকায় দেখা যায়। এই ফল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। আয়ুর্বেদের এমন অনেক ফল রয়েছে যার মধ্যে আছে অনেক ওষধি গুণ। এমনই একটি ফল হল ঝিঙ্গারু। এই পাহাড়ি ফল আকারে ছোট হয়। লাল রঙের দেখতে হয় অনেকটা আপেলের মতো। এই ফলকে হিমালয়ান রেডবেরি ও ফায়ারথর্ন আপেলও বলা হয়।
এই ফল গাছের শিকড় থেকে শুরু করে ফল, ফুল, পাতা, ডাল সবই খুবই উপকারী। এই ফলটি জুন, জুলাই ও অগাস্ট মাত্র ৩ মাস পাওয়া যায়। এই ফল ও গাছের পাতা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য থাকায় এটি হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস নিরাময়ে সহায়তা করে। অনেক ওষধি গুণে সমৃদ্ধ এই ফল রক্ত ডায়রিয়াও অত্যন্ত কার্যকরী। এই ফল শুকিয়ে গুঁড়ো করে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে খুব উপকার পাওয়া যায়। রক্ত ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। দাঁতের ব্যথায় এই ঝিঙ্গারু গাছের ডালের জুড়ি মেলা ভার। এটি দাঁতে নিয়মিত ব্যবহার দাঁত উজ্জ্বল হয়। দাঁতের ব্যথা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। পাহাড়ে পাওয়া এই ফলকে প্রোটিনের ভাল উৎস হিসেবে গণ্য করা হয়। স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই ফলটি অবশ্যই খাওয়া যেতে পারে। এই ফলের ওষধি গুণ রক্ত থেকে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।