হাওড়া ডিভিশনের মেন শাখায় হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল অবধি রেলযাত্রীদের সুবিধার জন্য স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে

আজ থেকে পুজো শুরু চন্দননগরে। ফলে হাওড়া ডিভিশনের মেন শাখায় হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল অবধি রেলযাত্রীদের সুবিধার জন্য স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত হাওড়া ডিভিশনে প্রতি দিন পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালাবে পূর্ব রেল। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখায় প্রতি দিন আপ-ডাউন মিলিয়ে ১০টি অতিরিক্ত ট্রেন চলবে। শুধু তা-ই নয়, হাওড়া-বর্ধমান ডিভিশনে এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল।

রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শুক্রবার অর্থাৎ ৮ নভেম্বর থেকে আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ ১২ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতি দিন বিকেল ও রাতে হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখায় বাড়তি ট্রেন চালানো হবে। হাওড়া থেকে ব্যান্ডেলগামী বিশেষ ট্রেনগুলি ছাড়বে বিকেল ৫.২০, সন্ধ্যা ৭.৫৫, রাত ৮. ৩৫, রাত ১১.৩০ এবং রাত ১২.৩০-তে। অন্য দিকে, ব্যান্ডেল থেকে হাওড়াগামী বিশেষ ট্রেন ছাড়বে সন্ধ্যা ৬.৩৫, রাত ৯.২০, রাত ৯.৫৫, রাত ১টা এবং রাত ২টোয়।পাশাপাশি হাওড়া থেকে বর্ধমানগামী বিশেষ ট্রেন ছাড়ার পরিকল্পনা করেছে পূর্ব রেল। বর্ধমান থেকে হাওড়াগামী স্পেশ্যাল লোকাল ট্রেন ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়। বিসর্জনের দিন, অর্থাৎ ১২ তারিখ হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখায় আরও অতিরিক্ত ট্রেন চালাবে রেল। কয়েকটি লোকালের যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়েছে। পুজোর চার দিন হাওড়া-মসাগ্রাম লোকাল (সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা) বর্ধমান পর্যন্ত যাবে। হাওড়া থেকে ব্যান্ডেলগামী বিশেষ ট্রেন ছাড়বে – বিকেল ৫.২০সন্ধ্যা ৭.৫৫রাত ৮.৩৫রাত ১১.৩০রাত ১২.৩০এ। ব্যান্ডেল থেকে হাওড়াগামী বিশেষ ট্রেন ছাড়বে সন্ধ্যা ৬.৩৫, রাত ৯.২০, রাত ৯.৫৫, রাত ১টা, রাত ২ টো। হাওড়া থেকে বর্ধমানগামী বিশেষ ট্রেনটি ছাড়বে রাত ১টা ১৫ মিনিটে। বর্ধমান থেকে হাওড়াগামী লোকাল ট্রেন পাওয়া যাবে রাত ১০.৩০ অবধি।প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের পুজোয় বিপুল জনসমাগম হবে তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। সেই নিরিখে পুলিশ থেকে দমকল সব প্রস্তুত। দর্শনার্থীদের স্বাভাবিক যাতায়াত নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা করা হয়েছে। ঠিক হয়েছে, চন্দননগর ফেরিঘাট এবং চন্দননগর ও মানকুণ্ডু রেলস্টেশনে টিকিট কাউন্টারের সংখ্যা বাড়ানো হবে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, ‘জগদ্ধাত্রী পুজো আমাদের ঐতিহ্য। এবার শোভাযাত্রা আড়েবহরে বাড়ছে। প্রচুর মানুষ আসবেন, এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। ফেরি পরিষেবা যথাযথ রাখা হবে। পুরসভার তরফে যাবতীয় সহযোগিতা করা হবে।’

Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Popular News

Latest News

চন্দ্রচূর অধ্যায় শেষ করে দেশে শুরু হয়ে গেলো খান্না অধ্যায়। আজ সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে ৫১তম প্রধান বিচাপতি হিসাবে শপথ নিলেন সঞ্জীব …

আজ উপনির্বাচনের প্রচার শেষ। মধ্যে মাত্র একটা দিন। তারপরেই বাংলায় ৬টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তৃণমূলের আশঙ্কা এই নির্বাচনে বিরোধীরা বিশেষ করে বিজেপি তাদের …

  আমরা জানি বিশ্বে সবচেয়ে দীর্ঘায়ু জাপানিরা। পরিসংখ্যান বলছে,জাপানের মহিলাদের গড় আয়ু ৮৭.৪৫ বছর। আর পুরুষের গড় আয়ু হল ৮০.৫। আর সেই …

সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে ওঠায় মুখ্যমন্ত্রী ঝটিকা সফরে উত্তরবঙ্গে গিয়েগিলেন। তারপরে ঠিক নির্বাচনের দুদিন আগে আজ রাতে মুখ্যমন্ত্রী আবার যাচ্ছেন …