দুর্গাপুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই সামনে চলে এল কালীপুজো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের বাড়িতেই হয় কালীপুজো। প্রশাসনিক সমস্ত দায়িত্ব সামলে সোমবার তিনি জানবাজার সম্মিলিত কালীপুজো সমিতি, ইন্ডিয়া ক্লাব, ইয়ুথ ফ্রেন্ডস ক্লাব, গিরিশ পার্ক ফাইভ স্টার স্পোর্টিং ক্লাব এবং ভেনাস ক্লাবের পুজোর উদ্বোধন করেন। সর্বত্রই তিনি শান্তির বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাংলায় কোনো জাতি, ধর্মের ভেদাভেদ নেই। সেই ঐতিহ্যকে বজায় রাখতে হবে। বাংলা বিভিন্ন ভাষাভাষী, বিভিন্ন জাতির মানুষের থাকার জায়গা। বাংলাই একমাত্র জায়গা যেখানে কেউ কাউকে তাঁর জাতপাত, ভাষা, খাদ্যাভাস নিয়ে প্রশ্ন করেন না। সোমবার কলকাতায় কালীপুজোর উদ্বোধন থেকে এমনই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সঙ্গে রাজনৈতিক কথা বলতেও তিনি ছাড়েন নি।
ইয়ুথ ফ্রেন্ডস ক্লাবের কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ওই জায়গাটি তাঁর বিধানসভা (ভবানীপুর) এলাকার মধ্যে পড়ে। বাঙালি, গুজরাতি, মুসলমান, খ্রিষ্টান— সমস্ত ধর্ম এবং জাতির মানুষ মিলেমিশে থাকেন। কিন্তু ভোটের সময় বেশ কিছু রাজনৈতিক দল ভাগাভাগির চেষ্টা করেন। মমতার কথায়, ‘‘এটা খারাপ।’’ তিনি বলেন, ‘‘আমার একটা জিনিস শুনে খারাপ লাগে, ভোটের সময় অনেকে বাঙালি-অবাঙালি করেন। মনে রাখবেন, জায়গাটার নাম বাংলা। আমার সবাইকে নিয়ে চলব। শেক্সপিয়ার সরণি সর্বজনীন কালীপুজোটি যেখানে হচ্ছে সেটা আমার বিধানসভা। আমি কৃতজ্ঞ যে আপনারা আমাকে সমর্থন (উপনির্বাচনে) করেছেন। কিন্তু লোকসভায় ‘বুথ-টু বুথ’ দেখেছি ন’শো (ভোটার) থাকলে আমরা একটা পেয়েছি। এটা কেন হবে? এখন তো বুথের রেজাল্ট দেখা যায়। দেখা যায়, কোন বুথে কে পাচ্ছেন কে পাচ্ছেন না। এখানে কাউন্সিলর আমাদের, বিধায়ক আমাদের, সাংসদও আমাদের। বাংলা তাঁদের, যাঁরা বাংলার জন্য ভাবেন। বাংলা একমাত্র জায়গা যেখানে কেউ আপনাকে জিজ্ঞেস করবে না, আপনি কোন ধর্মের?”