সিভিল সার্ভিসে পাশ করে সবাইকে চমকে দিয়েছে অতি দরিদ্র আদিবাসী পরিবারের কন্যা বিনি মুরুলি

কথায় বলে, ‘কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে।’ ঠিক তাই যেন কেষ্ট মিলে গেলো ওড়িশার আদিবাসী পরিবারের মেয়ে বিনির। বিনি মুরুলির মা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। বাবা রান্নার কাজ করেন। সামর্থ কই যে কোচিং সেন্টারে ভর্তি হবেন, অথচ বামুন হয়ে চাঁদ ধরার মতো প্রশাসক হওয়ার সাধ। যার জন্য সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসতে হত। শেষ পর্যন্ত স্বপ্ন পূরণে ওড়িশা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসেন তরুণী। কষ্টের চেষ্টায় কেষ্টও মেলে। সকলের আশীর্বাদে বিনি সফল।
ওড়িশার মালকানগিরির খেমাগুড়ার বাসিন্দা বিনি। ২০২০ সালে প্রথম বার সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসেন। কিন্তু পাশ করতে পারেননি তিনি। কিন্তু এবারে ব্যর্থতাকে হটিয়ে সিভিল সার্ভিস পাশ করেছেন বোন্দা আদিবাসী সম্প্রদায়ের গর্ব তরুণী।

তাকে সম্পূর্ণভাবে সাহায্য করেছে ইউ-টিউব। সরকারি চাকরির কঠিন পরীক্ষা পাশ করার জন্য ইউটিউবের সহযোগিতা নিয়েছিলেন তিনি। ইন্টারনেট থেকেই পরীক্ষার জন্য স্টাডি মেটিরিয়ালও জোগাড় করতেন। এক সাক্ষাৎকারে বিনি বলে, “জানতাম, আমার বাবা-মা কোচিংয়ের জন্য জন্য টাকা জোগাতে পারবেন না। কিন্তু অর্থাভাবকে আমার স্বপ্নের বাধা হতে দিইনি।” আমরা সবাই বিনির জীবনের সাফল্য কামনা করি।

Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Popular News

Latest News

গত ১০/১১ বছরে রাজনৈতিক রঙ পরিবর্তন পশ্চিমবঙ্গে নতুন নয়। আদর্শহীন রাজনীতিতে রাজনৈতিক দল বদল মানুষের জামা বদলের মতো হয়ে গেছে। বিশেষ করে …

তৃণমূল কংগ্রেসে দ্বিতীয় নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কিছুদিন থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনের পরে তিনি রাজনীতি থেকে কিছুটা দূরেই আছেন। কিন্তু …

কয়েকদিন আগেই আই এস এফ বিধায়ক অভিযোগ করেছিলেন যে আবাস যোজনা নিয়ে তৃণমূল ব্যাপক দুর্নীতি করছে। আর তা নিয়ে প্রতিবাদ করাতেই ব্যাপক …

এবার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে আসতে চলেছে একাধিক বিল। উপনির্বাচন শেষ হয়ে ফলাফল প্রকাশের পরই রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন বসতে চলেছে। শীতকালীন অধিবেশন আগামী …