ইতিমধ্যে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। যদিও আইনত ডিভোর্স হয় নি। সামনেই ডিভোর্স হয়ে যাবে এমন খাবে এসেছে। এই অবস্থাতেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি অভিষেককে বিপুল খোরপোষ দিতে হবে? সম্ভবত তার কোনো প্রয়োজন হবে না। এরই মধ্যে সামনে এসেছে তাদের দুজনের বিপুল সম্পত্তির হিসাব।
মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করে যে ২০২৪-র অক্টোবর নাগাদ, অভিষেক বচ্চনের মোট সম্পদ ছিল প্রায় ২৮০ কোটি টাকা। স্কাইলার্ক টাওয়ারে তাঁর একটি ৫ বিএইচকে অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে, যার দাম ৪১.১৪ কোটি টাকা বলা হয়েছে। এছাড়াও, জুন মাসে, বোরিভালিতে ১৫ কোটি টাকায় ৬টি অ্যাপার্টমেন্ট কেনা রয়েছে। দুবাইয়ের পশ জুমেরিয়া এলাকায় তার একটি সম্পত্তিও রয়েছে, যার মূল্য কোটি টাকা বলে জানা গেছে। অভিষেক বচ্চন ইন্ডিয়ান সুপার লিগে প্রায় ৩০ কোটি টাকায় একটি ফুটবল দল কিনেছেন এবং প্রো কাবাডি লিগে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। হিসাবটা এখানেই শেষ নয়, আরও অনেক আছে।
এবার ঐশ্বর্যের মোট সম্পদ। আমরা জানি, ঐশ্বর্য ১৯৯৪ সালে মিস ওয়ার্ল্ডের খেতাব জিতেছিলেন, ১৯৯৭ সালে সিনেমার দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন ২০২৪ এ অক্টোবরের প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৭৭৬ কোটি টাকা। এছাড়াও, অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে যৌথ নামে কেনা সম্পত্তিতেও তাঁর বড় অংশীদারিত্ব রয়েছে। ঐশ্বর্যের অনেক বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে, যেগুলো তাঁর পরিবারের যৌথ মালিকানাধীন। দুবাইতে অভিষেকের বিলাসবহুল সম্পত্তিতে ঐশ্বর্যেরও অংশীদারিত্ব রয়েছে। ঐশ্বর্য রাই প্রতি ফিল্মের জন্য ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা নেন। এছাড়াও, তিনি অনেক ভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড প্রমোট করেন। এর জন্য ঐশ্বর্য প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা পান৷ এছাড়াও আছে তারা বিপুল সম্পত্তি। সব মিলিয়ে বলাই যায় টাকার পাহাড়।