চাকরি বলতে আমরা মূলত সরকারি চাকরি নিয়েই আলোচনা করছি। এই মুহূর্তে সরকারি চাকরির চাহিদা তুঙ্গে। তাই বহু ছেলে-মেয়ে বছরের পর বছর ধরে এই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে চলেছে, কিন্তু সেভাবে সাফল্য আসছে না। এই বিষয়েই পরামর্শ দিচ্ছেন কয়েকজন বিশেষজ্ঞ। আজকাল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরকারি চাকরির প্রস্তুতির ক্লাস করানো হয়। কিন্তু সকলের পক্ষে সেইসব ক্লাসে ভর্তি হওয়া সম্ভব হয় না। তাই সেইসকল প্রার্থীরা বাড়িতেই নেন প্রস্তুতি। কিন্তু অনেক সময়ই দীর্ঘ চেষ্টার পরও মেলে না সাফল্য। ফলে নিরাশ হয়ে পড়েন প্রার্থীরা।
- সমস্ত সরকারি চাকরির প্রশ্নপত্র এক রকম হয় না। যেমন ব্যাঙ্কের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পার্থক্য রয়েছে রেলের চাকরির পরীক্ষার। তেমনই কেন্দ্রীয় সরকারি থেকে রাজ্য সরকারি, সমস্ত পরীক্ষার কিছু ধরন রয়েছে। তাই প্রার্থীদের যে কোনও নির্দিষ্ট পরীক্ষা দেওয়ার আগে সেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি।
- চাকরির পরীক্ষায় মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন হলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিপুল সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। ইংরেজি, অঙ্ক, রিজনিং, সাধারণ জ্ঞান সহ থাকে বিভিন্ন বিষয়ের প্রশ্ন। ফলে সময়ের মধ্যে পুরো প্রশ্নের উত্তর দেওয়াই বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়। তাই বাড়িতে পড়াশোনা করার সময়েই ঘড়ি ধরে প্রস্তুতি নিতে হবে।
- যেহেতু চাকরির পরীক্ষায় সিলেবাস অনেক বেশি থাকে। তাই নিয়মিত নোট নিয়ে লিখে রাখার অভ্যাস করলে সুবিধা হবে। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার আগে কোনও একটি চ্যাপ্টার পুরোটা না পড়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলি চোখ বুলিয়ে নিলেই লাভ হবে।
- যে কোনও সরকারি চাকরির পরীক্ষাতেই সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন থাকে। সেক্ষেত্রে নিয়মিত সংবাদপত্র পড়ার অভ্যাস থাকতে হবে। এছাড়াও সাম্প্রতিক জাতীয়, আন্তর্জাতিক খবর, সরকারি নীতি এবং সামাজিক আর্থিক উন্নয়নের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের বিষয়ে খোঁজখবর রাখতে হবে।
- ক্লাস করার সুযোগ না থাকলেও নিয়মিত মক টেস্ট দিতে পারেন। এতে নিজের প্রস্তুতি কতটা হয়েছে সেবিষয়ে বুঝতে সুবিধা হবে। এভাবেই এগিয়ে চলুন, সাফল্য আসবেই।