এ বছর বাংলাদেশের পুজো নিয়ে তৈরী হয়েছিল বেশ কিছু সমস্যা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য বেশ কিছু পুজো মন্ডপে পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু সর্বত্র এক ছাবি নয়। সেই সময় এই বাংলাদেশ দেখল অন্য নজির। বলা ভাল সম্প্রীতির নজির। বাংলাদেশের পঞ্চগড়ে একই আঙিনায় মসজিদ-মন্দির। পুজোও যেমন হল, নামাজও পাঠও হল তেমনভাবেই। বাংলাদেশ ভারত সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড় সদর। উপজেলা গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নে এই মাঠে রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই মাঠেই মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকজন পড়েন নামাজ। এখানেই পালিত হয় দুর্গাপুজো। বাধাবিপত্তি, বিধিনিষেধ ও ভেদাভেদ ভুলে হিন্দু-মুসলিমরা পালন করেন নিজ নিজ ধর্ম ৷ এমন নজির বাংলাদেশে খুবই কম আছে।
এলাকাবাসী বলছে, নামাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মন্দিরের মাইক, ঢাক ঢোল সহ যাবতীয় শব্দ বন্ধ থাকে। মসজিদে নামাজ শেষ হলে স্বাভাবিক হয় মন্দিরের কার্যক্রম। এখানে কোনও বিশৃঙ্খলা হয় না। একে অপরকে সহযোগিতায় মিলিত হন সব উৎসবে। এখানে কোনও বিভেদ ও ঝামেলা ছাড়াই হিন্দু ও মুসলমানরা যে যার ধর্ম পালন করে আসছেন। দুর্গা পুজোর সময় ও ঢাক ঢোল নিয়ে কোনও সমস্যা হয় না। এবারও এখানে পালিত হয়েছে দুর্গাপুজো। একপাশে মন্দিরে হিন্দু ধর্মালম্বীরা মণ্ডপে দেবী দুর্গার মণ্ডপ তৈরি করে করছেন পুজো-অর্চনা। অন্যদিকে, কিছুটা দূরত্বে মসজিদে মুসলমানরা পড়ছেন নামাজ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এমন নজির সত্যিই বিরল।