১) সকাল সকাল ডিম খাওয়া মাত্র পেট ভরে যায় এবং অনেকক্ষণ পর্যন্ত খিদেই পায় না। ফলে চিপস ভাজাভুজি খেয়ে পেট ভরানোর প্রয়োজন পড়ে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন বাড়ার কোনো আশাঙ্কাই থেকে না। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে,যারা সকাল সকাল শরীরে ক্যালোরির চাহিদা পূরণ করে দেয়,তাদের সারা দিন বেশি বেশি ক্যালোরিসমৃদ্ধ খাওয়ার ইচ্ছা থেকে না। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রনে থেকে।
২) ভিটামিন বি কমপ্লেক্স স্কিন ও চুলের সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি লিভারের কর্ম ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আর এই উপাদানটি প্রচুর মাত্রায় রয়েছে ডিমে। তাই প্রতিদিন একটা করে ডিম খেলে মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত উপকার পাওয়া যায়।
৩) প্রতিদিন ব্রেকফার্স্টএ একটা করে ডিম খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন। আসলে ডিমের আন্দরে থাকা ভিটামিন এ ও ই এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই দুটি উপাদান চুলের গোড়ার পুষ্টির ঘাটতি দূর করে। ফলে চুল পড়ার হার কমতে সময় লাগে না।
৪) ডিমে রয়েছে লুয়েটিন এবং জিয়াক্সিনথিন নামে দুটি এন্টিএক্সিডেন্ট – যা আল্ট্রাভাওলেট রশ্মীর থেকে চোখেকে রক্ষা করে। সেই সঙ্গে রেটিনার কর্মক্ষমতা বাড়ায়। ফলে ছানি সহ একাধিক চোখের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশাঙ্কা হ্রাস পেতে শুরু করে।
৫) ভিটামিন ডি-তে পরিপূর্ণ হওয়ার কারণে নিয়মিত ডিম খেলে হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হয় না। সেই সঙ্গে এই উপাদানটি হজম ক্ষমতা এবং হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। ফলে সার্বিকভাবে শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
৬) ডিমে কোলিন নামে একটি এসেনশিয়াল নিউট্রিয়েন্ট থাকে, যা ব্রেনের পাওয়ার বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার মস্তিস্ক বেশি বেশি করে কাজ করা শুরু করলে একদিকে যেমন স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়, তেমনি মনোযোগ ও বুদ্ধির ধারও বাড়তে শুরু করে।
৭) প্রতিদিন ব্রেকফাস্টে একটা করে ডিম খেলে শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্র বাড়তে থাকে। ফলে কমতে থাকে খারাপ কোলস্টেরলের পরিমানে।