Travonews.in

ভ্রমণ-কোলকাতার অদূরেই ‘মাছরাঙা’ দ্বীপ – নামের মতোই রোমান্টিক জায়গা এই দ্বীপ

দিন দুই ছুটি আছে,আর হাতে আছে সামান্য কিছু টাকা। পরিবারের লোকেরা একটু কোথাও ঘুরতে চাইছে। তাহলে চলুন ইছামতির বুকে গড়ে ওঠা মাছরাঙা দ্বীপ। মাছরাঙা দ্বীপ! নানটা কেমন যেন একটি অদ্ভুত তাই না। মাছরাঙা পাখির নাম সকলেরই জানা কিন্তু মাছরাঙা নামে এ রাজ্যে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে একটি দ্বীপ আছে! হয়তোবা অনেকেরই অজানা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পর্যটনকেন্দ্র টাকির কাছে ইছামতি নদী ও ভাসা নদীর ঠিক মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত এই মাছরাঙা দ্বীপ। যদি একান্তে কিছুদিন কাটাতে চান তাহলে যেতেই পারেন এই মাছরাঙা দ্বীপে। কলকাতা থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই দ্বীপ অন্যান্য সব দ্বীপের থেকে অনেকটাই আলাদা। ইছামতির মাঝখানে অবস্থিত এই দ্বীপের কাছেই বাংলাদেশ। এখান থেকে আপনি দেখতে পারবেন বাংলাদেশি জেলেদের মাছ ধরতেও। অপূর্ব সেই দৃশ্য। মনে হবে আপনার পূর্বপুরুষদের সেই দেশ – বাংলাদেশ।

  আপনি কি একটু এডভেঞ্চার রসিক? যদি অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন তবে ওখানে পেয়ে যাবেন ম্যানগ্রোভের ঘন জঙ্গল সঙ্গে পাবেন একরাশ মাছ মাছরাঙার দর্শণও। সম্পূর্ণ দ্বীপটির উপর তাদের স্নেহের পরশ ঢেলে দিয়েছে সারি বাঁধা বৃক্ষরাশি। তবে টাকির এই মাছরাঙা দ্বীপে আপনি যাবেন কিভাবে! মহানগর কোলকাতা থেকে ট্রেনে শিয়ালদাহ স্টেশন থেকে হাসনাবাদ লোকাল ধরে প্রায় দু’ঘন্টার সময়ের ব্যবধানে পৌঁছে যাবেন টাকি স্টেশন। সেখান থেকে অটো কিংবা টোটোতে ১০ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে যাবেন ইচ্ছামতি নদীর তীরে। টাকি ইছামতি নদীর থেকে নৌকা অথবা লঞ্চে পৌঁছে যাবেন এই মাছরাঙা দ্বীপে।

প্রাচীন সীমান্ত শহর টাকির পর্যটন কেন্দ্র গুলির ঘোরার পাশাপাশি মাছরাঙা দ্বীপ ঘুরতে ভুল করবেন না। এই জায়গাটি প্রকৃতিপ্রেমী ও পাখিপ্রেমীদের জন্য একটি আদর্শ জায়গা। প্রতিদিন সূর্যাস্তের সময়ে ইছামতি নদীর কোলে ধীরে-ধীরে ঢলে পড়া সূর্যের শেষ আলো এক মায়াবী সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে থাকে। এই দ্বীপটির নাম মাছরাঙা হলেও এই দ্বীপটিতে এলে আপনাকে শুধুই মাছরাঙা দেখেই ফিরে যেতে হবে না। এর সঙ্গে দেখা মিলবে আরও নানা প্রজাতির পাখি। দুদিনের জন্য অপূর্ব নৈসর্গিক পরিবেশে ঘুরে আসুন এই দ্বীপ থেকে।

Picture of ট্রাভো নিউজ
ট্রাভো নিউজ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *