পাহাড়ে আমরা যাই। দার্জিলিং কালিংপংএ হয়তো আমরা অনেকবার গেছি। কিন্তু কালিংপং এই আছে এক অফবিট বেড়ানোর জায়গা আপার গুম্ফাহাটা।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বিদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র এই জায়গা। কারণ এখানে নাকি বুদ্ধদেবের পদচিহ্ন রয়েছে।
এখানে একটি মনেস্ট্রি রয়েছে যেটি একটা সময়ে তৈরি করেছিলেন ভুটানের রাজা। কত বছর আগে এই বৌদ্ধ গুম্ফাটি তৈরি হয়েছিল তার সঠিক তথ্য এখনও কেউ দিতে পারেন না। তবে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয় ১৬ শতকে এই গুম্ফাটি তৈরি হয়েছিল। উঁচু পাহাড়ের উপরে রয়েছে গুম্ফাটি। কিন্তু বর্তমানে গুম্ফাটি অনেকটাই নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। এখানে আছে এক পবিত্র সৌন্দর্য। তাই বৌদ্ধ ধর্মপ্রাণ মানুষেরা শান্তির জন্য এখানে আসেন। এই গুম্ফায় আসতে হলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এখানে কেউ জোরে কোনও কথা বলতে পারবেন না। আস্তে আস্তে কথা বলতে হবে। সেই সঙ্গে যতটা কম কথা বলা যায় ততটাই ভাল। এখানকার পরিবেশ এতোটাই শান্ত যে মন ভাল হয়ে যায়। প্রশান্তি ফিরে আসে মনে।
যাওয়া – শিলিগুড়ি থেকে এর দূরত্ব ৬৬ কিলোমিটার। গাড়িতে সোজা চলে আসা যায়। বাসেও আসা যায়। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে এর দূরত্ব ৭৪ কিলোমিটার। সেখান থেকেও গাড়িতে যাওয়া যায়। তবে আগে থেকে গাড়ি বুক করে রাখা ভাল। এই গুম্ফাটিতে এলে ভুটানি স্থাপত্যের নিদর্শন মেলে। এখানে সন্ন্যাসীরা উপাসনা করেন। সেকারণে এখানে কোনও রকম চিৎকার বা জোরে কথা বলা একেবারেই বারণ।