বাঙালির কাছে ভ্রমণ মানেই পাহাড়।আর পাহাড় মানেই দার্জিলিং,কালিংপং বা কার্শিয়াং। চলুন আজ আপনাদের নিয়ে যাব এমন এক গ্রামে যাকে স্বর্গের উদ্যান বললে বেশি বলা হবে না। চা বাগানের বাঁক ধরে ধরে চলে গিয়েছে রাস্তা। বৃষ্টিেত ভিজে চা বাগান আরও সবুজ আর সতেজ হয়ে ওঠে। বর্ষায় চা পাতা তোলা হয় না। কাজেই তখন আরও সবুজ হয়ে ওঠে চা বাগানগুলি। পাহাড়ের ঢালগুলি তখন দেখলে মনে হয় কেউ যেন সবুজ গালিচা বিছিয়ে দিয়েছে। কার্শিয়াংয়ের কাছে এমনই একটি গ্রামে কাটিয়ে যান কয়েকটা দিন। জায়গাটির নাম বেলতার। অজানা অচেনা নাম। তেমনই অচেনা এখানকার পরিবেশ। আনকোড়া বললে ভুল হবে না। কার্শিয়াংয়ের মার্গারেট হোপ মোড় থেকে যে রাস্তাটি বেঁকে গিয়েছে নীচের দিকে সেই রাস্তাটি ধরে চলে আসতে হয় এই বেলতারে। প্রকৃতি এখানে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে।
কার্শিয়াংয়ের একেবারেই অফবিট জায়গা এটি। চারিদিকে কেবল চা-বাগান। তার মাঝে ছোট্ট একটা পাহাড়ি গ্রাম। গুটি কয়েক লোকের বাস। সেখানে রয়েছে হোমস্টে। তাতে আবার রেস্তরাঁও রয়েছে। মূলত চা বাগানকে কেন্দ্র করেই এই পর্যটন কেন্দ্রটি তৈরি করা হয়েছে। চা বাগানের মাঝে ছোট ছোট কটেজে রয়েছে থাকার জায়গা। সেই কটেজে থাকার অনুভূতিই আলাদা। কিছুতেই আর বাড়ি ফিরতে ইচ্ছা করবে না। বেলতারে যে থাকার জায়গাটি রয়েছে, সেটা ইউনিক। কারণ এই রিসর্টের মাঝে রয়েছে একটা ছোট্ট সুইমিং পুল। যেটিকে দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন একটা হ্রদ। আর তার চারপাশে রয়েছে ছোট ছোট কটেজ। অসম্ভব সুন্দর একানকার প্রাকৃতিক শোভা। পাহাড়ের কোলে একেবারে নিঝুম-নিরিবিলি একটা জায়গা। কাছাকাছি একটা ঝোরাও রয়েছে। বর্ষায় তার জল বেড়ে যায়। সকালে সূর্যোদয় দেখে পায়ে পায়ে ঘুরে নিতে পারেন গোটা গ্রাম। সেই সঙ্গে এখানে বেড়ানো হয়ে গেলে চলে আসুন কার্শিয়াংয়ে। সেখানেও বেশ কয়েকটা দিন কাটিয়ে যান। বেলতারে একটা দিন কাটিয়ে চলে আসুন কার্শিয়াংয়ে।