ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ পৃথিবীতে নেই। তাই চলুন ঘুরে আসি কোলকাতার সামনেই ফুলের রাজ্য থেকে। কাঁসাই নদীর তীরে অবস্থিত ক্ষীরাই একটি স্বপ্নের গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একটি ছোট্ট স্টেশন। যেখানে একবার গেলে পরের বার আসার ইচ্ছা হবেই। কয়েক বছর ধরেই ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে ক্ষীরাই একটি পরিচিত নাম হয়ে উঠেছে। এতো রকম ফুলের চাষ এবং তার বিচিত্র রূপ, কখন ২-৪ ঘণ্টা পেরিয়ে যাবে বুঝতে পারবেন না। ক্ষীরাই যেন দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততার মাঝে বেঁচে থাকার অক্সিজেন। এমন রঙের বাহার আপনি কোথায় পাবেন না।
রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাবেন,আর
বিঘার পর বিঘা জমিতে ফুটে আছে হরেক রকমের রঙ-বেরঙের ফুল। ট্রেনে যেতে যেতেই যা দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। স্টেশনে নেমে প্ল্যাটফর্মের পিছনের দিকের রাস্তা ধরে সোজা হাঁটতে হবে প্রায় দেড় কিলোমিটার। এখানে কোন পাকা রাস্তা নেই। পাকা রাস্তা তো দুর অস্ত, কোন রাস্তা নেই বললেই ঠিক হবে। রেললাইনের পাশ ধরে লাল কাঁকুড়ে মাটির যে সরু রাস্তা আছে সেই বরাবর সোজা হাঁটা লাগাতে হবে। যতোদুর চোখ যাবে দিগন্ত জুড়ে ফুলেদের রাজত্ব। চারদিকে শুধুই রঙিন ফুলের বাহার। তার মাঝে সরু আল ধরেই হাঁটতে হবে। ফুলেদের পাশাপাশি কিছু সব্জিও আছে। ব্রীজের একপাশের ফুল দেখে ক্ষান্ত না হয়ে হেঁটে রেললাইনের অপর প্রান্তে চলে যান।
যেকোনো সময় যেতে পারেন এখানে। তবে শীতে যেতে পারলেই ভালো হয়। হাওড়া থেকে খড়গপুর বা মেদিনীপুর লোকাল, যে কোন একটাতে উঠতে হবে। দুই ঘন্টার মত সময় লাগে ট্রেনে যেতে। পাসকুরার পরের স্টেশন হলো ক্ষিরাই। স্টেশনে নেমে তিন নম্বর লাইন ধরে বরাবর পাসকুরা দিকে ২.৫ কিলোমিটার হেঁটে যেতে হবে। কিছুদূর যাওয়ার পর পড়বে কংসাবতী বা কসাই নদী। নদীর দুদিকেই ফুলের চাষ হয়।