বাঙালির কাছে সমুদ্র সৈকত মানেই দিঘা বা পুরী। পুরীর সৈকত অসাধারণ – এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু যথেষ্ট ভিড়। যারা সমুদ্র সৈকতকে উপভোগ করতে চান অথচ একটু নির্জনতাও চান তাঁদের জন্য আমাদের আজকের ‘ভ্রমণসঙ্গী’র নিবেদন উড়িষ্যার তিনটি প্রায় অফবিট ও ভার্জিন বিচ।
১) আর্যবল্লি – আর্যবল্লি হলো ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় অবস্থিত এক নির্জন এবং সুন্দর সমুদ্রতট। শুধু বালি আর জল নয় তার সাথে রয়েছে সবুজ বনানী। একাকী পরিবারের সাথে কিংবা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে সময় কাটাতে হলে আর্যবল্লি সমুদ্রতট আপনার পক্ষে আদর্শ। কিভাবে পৌছাবেন এই অফবিট জায়গাটিতে!
বেরহামপুর থেকে ৩০ কিলোমিটার আর ভুবনেশ্বর থেকে ১৪৮ কিলোমিটারের পথ হলো আর্যবল্লি।
২) চাঁদিপুর – চাঁদিপুর। ওড়িশার অন্যতম বিখ্যাত সমুদ্র সৈকত হল চাঁদিপুর। বছরের বেশিরভাগ সময় পর্যটকরা এখানে ভিড় জমান সমুদ্রের লুকোচুরি খেলা দেখার জন্য। এখানকার সমুদ্র সৈকতকে ভ্যানিশ বিচ হিসাবেও অনেকে চেনেন। চাঁদিপুর সমুদ্র সৈকতে বসে সূর্যাস্তের মজা নেওয়া কিংবা সিফুড খাওয়ার অভিজ্ঞতা এক্কেবারে আলাদা।
৩) ঋষিকুল্যা – আগে খুব একটা জনপ্রিয় না হলেও ২০২০ সালে লকডাউনের সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে এসেছিল ঋষিকুল্যার নাম। কারণ এখানেই দেখা গিয়েছিল লক্ষাধিক অলিভ রিডলে কচ্ছপের ছানা। অফবিট সমুদ্রতট হিসেবে জায়গাটি কিন্তু একেবারে মন্দ নয়। গঞ্জাম জেলার চিলিকায় অবস্থিত ঋষিকুল্যা। সাধারণত পর্যটকরা এখানে তেমন একটা আসেন না। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে বিচার করলে এই স্থানটির কোন তুলনাই হবে না। এখানে সোনালি বালুচর আর নীল জল একসাথে মিলে জায়গাটির সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ভুবনেশ্বর থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটারের রাস্তা ঋষিকুল্যা।