সকালে খালি পেটে চিয়া ভেজানো জল খান। দুপুরে ফ্রুট স্যালাড বা টক দইয়ের মধ্যে ভেজানো চিয়া মিশিয়ে খেয়ে নেন। কিন্তু প্রতি দিন এত চিয়া খাওয়ার পরেও পেটের গোলমাল সারছে না কেন?
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের সম্ভার হল চিয়া বীজ। যেগুলি সামগ্রিক ভাবে শরীরের জন্য ভাল। কিন্তু মুশকিল হল, বেশির ভাগ মানুষের ধারণা, কোনও জিনিস ভাল মানেই তা বেশি করে খেয়ে নেওয়া যায়। পুষ্টিবিদেরা কিন্তু তেমনটা মনে করেন না। অতিরিক্ত চিয়া খেয়ে ফেললে পেটের গোলমাল হওয়া অবশ্যম্ভাবী। কারণ, এতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। অন্ত্র ভাল রাখতে, কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে এই বীজ যথেষ্ট উপকারী। তবে অতিরিক্ত ফাইবার খেলে পেটফাঁপা, গ্যাস কিংবা আমাশয়ের মতো সমস্যা দেখা দিতেই পারে।
চিয়া বীজের জল ধারণ করার ক্ষমতা বিপুল। কিন্তু বিশেষ এই ক্ষমতাটিই অনেকের ক্ষেত্রে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জলে ভিজলে চিয়া ফুলেফেঁপে ওঠে। ফলে, দীর্ঘ ক্ষণ কিছু না খেলেও খিদের অনুভূতি থাকে না। হজমের গোলমাল, পেটফাঁপার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া শুকনো চিয়া শরীরে গিয়ে ফুলে ক্ষুদ্রান্তের স্বাভাবিক কাজে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
চিয়ায় নানা ধরনের খনিজ, ভিটামিন এবং প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে। পুষ্টিগুণের দিক থেকেও সেগুলি ফেলনা নয়। তবে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখা কিংবা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ওষুধের সঙ্গে চিয়ার মধ্যে থাকা নানা ধরনের খনিজের বিক্রিয়া করতে পারে। তাতে কিন্তু হিতে বিপরীতই হয়।