১) পড়াশুনার সময় ঘুম আসার প্রধান কারণ রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া। সুস্বাস্থ্যর জন্য প্রতি রাতে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো বাধ্যতামূলক। অতিরিক্ত ঘুমাবেন না বা কমও ঘুমাবেন না এবং একটি নির্দিষ্ট সময় ঘুমানোর অভ্যাস করুন।
২) পাড়তে পাড়তে যখনই আপনার খুব ঘুম লাগবে তখনই বিরতি দিন ও ২০ থেকে ৩০ মিনিটের একটি পাওয়ার ন্যাপ নিয়ে নিন। পরীক্ষার সময় রাতে যদি প্রয়োজনীয় সময় ঘুম না হয় তবে আপনাকে দিনের মাঝমাঝি সময় একটু ঘুমিয়ে নিতে হবে। ওই ঘুম আপনাকে জেগে ওঠার পরে পড়ায় মনোযোগ দিতে সহায়তা করবে।
৩) পড়াশুনার সময় আপনি ঘুমিয়ে পরার আরেকটি কারণ হলো আপনি পর্যাপ্ত জল পান করেছেন না। ডিহাইড্রেশন আক্ষরিকভাবে আপনার মস্তিস্ককে সংকুচিত করতে পারে। পড়ার সময় পর্যাপ্ত জল পান না করলে আপনি মনোযোগ হারাতে পারেন।
৪) টেবিল থেকে উঠুন ও কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করুন। পাওয়ার ন্যাপ নেওয়া ছাড়াও পড়াশুনার সময় আপনি যদি ঘুম অনুভব করেন তবে কিছুক্ষনের জন্য হাটাহাটি করতে পারেন।
৫) একটানা সর্বোচ্চ ২ ঘন্টার বেশি পড়া উচিত না। প্রতি ২ঘন্টা পরপর বা ২৫ মিনিট পড়ার পরে ৫ মিনিট বিরতি নিন। এই ৫ মিনিটে আপনি শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। অথবা প্রতি ২ ঘন্টা পরে আপনি প্রায় ২০ মিনিটের দীর্ঘ বিরতিও নিতে পারেন।
৬) জোরে জোরে পড়ুন ও বেশি বেশি লিখুন। জোরে জোরে পড়া আপনাকে মনে মনে পড়ার চেয়ে আরও বেশি ব্যস্ত রাখবে যা তন্দ্রাভাব কাটাতে সাহায্য করবে।
৭) গ্রুপ স্টাডি আপনাকে তন্দ্রাভাব কাটাতে সাহায্য করতে পারে। আপনার বন্ধুরা আপনাকে প্রস্তুতি নিয়ে কুইজ করতে পারে বা আপনাকে কোনো পড়া বুঝতো সাহায়তা করতে পারে।
৮) এখন পড়ার ক্ষেত্রে আমরা কম্পিউটার স্ক্রিনে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটাই। বিশেষজ্ঞারা প্রতি ২০ মিনিটে কম্পিউটারের পর্দা থেকে দূরে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কম্পিউটার স্ক্রিনে অতিরিক্ত সময় কাটালে চোখ ক্লান্ত হয়ে ঘুম আসরে পারে।
৯) জেগে থাকার সর্বধিক ব্যবহারিক একটি উপায় হলো, যখনি ঘুম পাচ্ছে তখনি মুখ ধুয়ে নেওয়া। এটি অন্যতম পরীক্ষিত পদ্ধতি এবং এটি সম্ভবত অভিভাবকেরা সবচেয়ে বেশি পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
১০) পড়াশুনা করতে গিয়ে কখনোই আপনার বিছানায় পড়াশুনা করা উচিত না। তাতে আপনি আরাম অনুভব করবেন ও আপনার ঘুম পেয়ে যাবে। তাই আপনার পড়ার জায়গা এবং ঘুমানোর জায়গা আলাদা রাখুন।