আপাত দৃষ্টিতে একে সামন্ততন্ত্রের চূড়ান্ত অপসংস্কৃতি বলাই যায়। তবুও স্থানীয় মানুষ ও পুজো কমিটি একে হাজার বছরের ঐতিহ্য বলেই মেনে নিয়েছেন। শারদীয়া নবরাত্রির সময় নালন্দায় অবস্থিত মা আশাপুরী মন্দিরে পুজোর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। নবরাত্রি উপলক্ষে দূর-দূরান্ত থেকে লক্ষাধিক ভক্ত এখানে আসেন দর্শনের জন্য। এটি একটি পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক মন্দির। প্রাচীন জ্ঞানের কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত নালন্দায় রয়েছে এই মন্দির যা তার অনন্য ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত। গিরিয়াক ব্লকের ঘোসরাওয়ানে অবস্থিত মা আশাপুরী মন্দিরে এমন একটি ঐতিহ্য বহু শতাব্দী ধরে চলে আসছে, যা আজকের আধুনিক যুগেও আলোচনার বিষয় হয়ে আছে। এর বিরুদ্ধে সমালোচনা হলেও ধৰ্মীয় বিধি অনুযায়ী মানুষ তা মেনেও নিয়েছেন।
মন্দিরের প্রধান পুরোহিত পুরেন্দ্র উপাধ্যায় জানান, নবরাত্রির নয় দিনে মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এটা নতুন নিয়ম নয়। শত শত বছর ধরে এই প্রথা চলে আসছে। এখানে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে পুজো করা হয়, যার মাধ্যমে এই সময় মন্দিরে অত্যন্ত শক্তিশালী শক্তি সঞ্চারিত হয়। তাই নিয়মের অনাচার করা যাবে না। নিয়ম মেনেই সব করতে হবে। স্থানীয় মানুষ এই বিশ্বাসকে মেনে নিয়েছেন। এমন কি মহিলারাও এর কোনো প্রতিবাদ করেন না। মা আশাপুরী মন্দির শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় স্থান নয়, এটি প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের একটি জীবন্ত উদাহরণ। এখানকার তান্ত্রিক জ্ঞান এবং সাধনা পদ্ধতি একদিকে ভারতীয় আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের বৈচিত্র্যকে প্রতিফলিত করে, অন্যদিকে এই ঐতিহ্যটি প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতির ধারাবাহিকতাকে প্রতিফলিত করে।