এমনিতেই দুই বঙ্গের প্রায় সব নদীতেই জল উর্দ্ধ সীমার অনেক উপরে। সেই অবস্থাতেই উত্তরবঙ্গে ঘটলো অঘটন। জলঢাকা নদীতে ভেসে এল হস্তি শাবক। গ্রামবাসী ও বনদফতরের তৎপরতায় উদ্ধার করা হয়েছে। হস্তিশাবকটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় ডুয়ার্সের জলঢাকা নদী থেকে উদ্ধার হয় ওই হস্তিশাবকটি। বনদপ্তরে কর্মীরা বলেন, স্থানীয় মানুষেরা তৎপর না হলে কিছুতেই বাঁচানো যেত না ওই হাতির বাচ্চাকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন,প্রথমে হস্তিশাবকটিকে ভেসে যেতে দেখেন নাগরাকাটা বস্তি এলাকার বাসিন্দারা। এরপর তাঁরা সেখান থেকে হস্তিশাবকটিকে উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নাগরাকাটা থানার পুলিশ। খবর পেয়ে চালসা রেঞ্জের রেঞ্জার প্রকাশ থাপা সহ বনকর্মীরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এরপর তাঁরা হস্তিশাবকটিকে উদ্ধার করে লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রথমে কিন্তু হস্তি শাবকটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেও তীব্র জল স্রোতের জন্য তা তারা কররে পারেন নি। জলঢাকা নদীর জলস্রোতে ভাসতে ভাসতে হস্তি শাবকটি নাগারাকাটা বস্তি এলাকায় চলে আসে। এরপর নাগরাকাটা বস্তি এলাকার বাসিন্দারা হস্তিশাবকটিকে দেখে সেটিকে উদ্ধার করে বনদফতরকে খবর দেয়। যেহেতু হস্তিশাবকটি নদীতে ভেসে এসেছিল যে কারণে হস্তিশাবকটির গায়ে আঘাত লেগেছে বলে জানা গিয়েছে।