আমাদের কণ্ঠে অবস্থিত প্রজাপতির আকৃতির এই গ্রন্থি আমাদের শরীরের বিপাকীয় ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত।
ভারতের প্রায় ৪০ মিলিয়ন মানুষ থাইরয়েডের সমস্যা ভুগছেন। এই হরমোনজনিত রোগ পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। যতদিন যাচ্ছে থাইরয়েডে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাই প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় থাইরয়েড সচেতনতা মাস।
থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা বিপাক, বৃদ্ধি এবং বিকাশ নিয়ন্ত্রণ করে। এই গ্রন্থি থেকে হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে গেলে বা কমে গেলে হাইপোথাইরয়েডিজম ও হাইপারথাইরয়েডিজমের সমস্যা দেখা দেয়।
এই গ্রন্থির সমস্যা হলে প্রতিদিন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। প্রয়োজনে ওষুধের ডোজ চিকিৎসক কমিয়ে বা বাড়িয়ে দেবেন। থাইরয়েডের চিকিৎসা খাওয়া-দাওয়া নিয়ে খুব একটা কঠোরত থাকে না। তবে, বিশেষ কিছু খাবার রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। যেমন প্রক্রিয়াজাত খাবার না খাওয়াই ভাল। ময়দা, স্টার্চ, মিষ্টি হাইপোথাইরয়েডিজমে ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। হাইপোথাইরয়েডের ক্ষেত্রে সোয়াবিন, পালং শাক, আলু, ব্রকলি, বাঁধাকপি, ফুলকপি এবং চিনাবাদাম, নাশপাতি, পীচ, স্ট্রবেরির মতো ফল ও সবজি এড়িয়ে চলাই ভাল।
কারণ এগুলো আয়োডিন গ্রহণে বাধা তৈরি করে।