মঙ্গলবার সকাল থেকেই চলেছে ভোট গণনা। খুব টানটান উত্তেজনার শেষে ফলাফল একটা পরিণতির দিকে যায়। বিজেপি সরকার গড়ার জায়গায় নেই। কিন্তু আছে একটা খুবই ভালো জায়গায়। যে কথাটা মঙ্গলবার বিকেলেই জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষকে ধন্যবাদ জানানোর সময়েই স্পষ্ট করে দেন মোদী। তিনি বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরে যে নির্বাচন হয়েছে, তা অত্যন্ত স্পেশাল। সংবিধানের ৩৭০ ধারা এবং ৩৫ (এ) ধারা প্রত্যাহারের পরে প্রথমবার এই নির্বাচন (বিধানসভা নির্বাচন) হল। সেটার জন্য আমি জম্মু ও কাশ্মীরের প্রত্যেক মানুষকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’ তিনি খুবই খুশি এই ফলাফলে।
জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনে কিন্তু খুবই আনন্দ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচন ধাক্কা খেলেও সেটাকে ‘জয়’ হিসেবেই দেখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর বক্তব্য, ভারতীয় সংবিধান সম্পূর্ণভাবে কার্যকর হওয়ার পরে জম্মু ও কাশ্মীরে প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচন হল। আর তাতে বিজেপি সরকার গঠনের জায়গায় না থাকলেও প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে জম্মু ও কাশ্মীরে পয়লা স্থানে আছে পদ্মশিবির। বিজেপির থেকে ১৩টি আসন বেশি পেলেও প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে জম্মু ও কাশ্মীরের সর্ববৃহৎ দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের (একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার) থেকেও দু’শতাংশ বেশি ভোট পেয়েছে। তাঁর দাবি, অনেকে বলেছিলেন যে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হলে উপত্যকায় আগুন জ্বলবে। কিন্তু কাশ্মীর জ্বলেনি। কাশ্মীর আরও সুন্দর হয়ে উঠেছে।