বাংলার কালীপুজোর তালিকায় একদম প্রথমেই উচ্চারিত হয় তারাপীঠ, কালীঘাট ও দক্ষিণেশ্বরের নাম। সেই দক্ষিণেশ্বরের সঙ্গে যুক্ত আছে সাধক রামকৃষ্ণের নাম। প্রতি বছর কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে ভবতারিণীর পুজো ঘিরে ভক্তদের মধ্যে উৎসাহের ঢল নামে। চলতি বছর দক্ষিণেশ্বরের পুজো ১৭০ বছরে পা রাখল। প্রথমে অবশ্য মা কালীর পুজো নামেই তা পরিচিত ছিল। ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব মা কালীকে ভবতারিণী মনে করেছেন। তারপর থেকে দক্ষিণেশ্বরের কালী মায়ের পুজো মা ভবতারিণী পুজো নামেই স্বীকৃতি পেয়েছে। সারা বছর ধরে দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দিরে পুজো হয়। কিন্তু কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথির পুজো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। শাক্ত, বৈষ্ণব ও শৈব তিন মতেই পুজো হয়। মন্দির কর্তৃপক্ষের মতে, দক্ষিণেশ্বরের মন্দির হল ত্রিবেণী সঙ্গম। তাই, শৈব মতে শিব মন্দিরে পুজো হয়। আবার বৈষ্ণব মতে রাধা কৃষ্ণের পুজো এখানে হয়। শক্ত মতে ভবতারিণীর পুজো তো রয়েছেই। এদিন হিন্দু ধর্মের রীতি অনুযায়ী শৈব, বৈষ্ণব ও শাক্ত এক সঙ্গে পূজিত হন।
আজ কয়েক হাজার মানুষ ভরিয়ে তুলবে দক্ষিণেশ্বরের চাতাল। চোখের জলে ভাসবেন ভক্তপ্রাণ মানুষ। কথিত আছে, ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব চার প্রহরে মহাযোগে মা ভবতারিণীর পুজো শুরু করতেন। সেই রীতি আজও মেনে চলা হয়। আজও চার প্রহরেই মন্দিরের পুজো শুরু হয়। দক্ষিণেশ্বর মন্দির পরিচালন কমিটির সম্পাদক কুশল চৌধুরী বলেন, ‘চলতি বছর রাত সাড়ে ১০টার সময় পুজো শুরু হবে। পুজোর অঞ্জলি শুরু হবে রাত সাড়ে তিনটের কথিত আছে, ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব চার প্রহরে মহাযোগে মা ভবতারিণীর পুজো শুরু করতেন। সেই রীতি আজও মেনে চলা হয়। আজও চার প্রহরেই মন্দিরের পুজো শুরু হয়। দক্ষিণেশ্বর মন্দির পরিচালন কমিটির সম্পাদক কুশল চৌধুরী বলেন, ‘চলতি বছর রাত সাড়ে ১০টার সময় পুজো শুরু হবে। পুজোর অঞ্জলি শুরু হবে রাত সাড়ে তিনটের সময়। তারপরে পর্যায়ক্রমে চলবে মঙ্গল আরতি ও ভোগ নিবেদন। ১৭০ বছরের প্রীতি মেনেই মা ভবতারিণী পুজো পাঠ হবে।’ সময়। তারপরে পর্যায়ক্রমে চলবে মঙ্গল আরতি ও ভোগ নিবেদন। ১৭০ বছরের প্রীতি মেনেই মা ভবতারিণী পুজো পাঠ হবে।’ প্রশাসন সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছে পুজো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য।