এলিয়ানের দেখা পাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। বলছেন একদল বিজ্ঞানী। অন্য কোনো সৌর জগতে হয়তো আছে ভিনগ্রহী এলিয়ান।
‘এলিয়ান’ শব্দটি নিয়ে এখন প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। সম্প্রতি মেক্সিকো পার্লামেন্ট জানিয়েছে, ওদের কাছে আছে এলিয়ানের ফসিল। সেটা অবশ্য বিশ্ববিজ্ঞান স্বীকার করছে না। তবে বিজ্ঞানীরা আশাবাদী যে, আমাদের জীবদ্দশায়, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই হয়তো দূরের কোনো গ্রহে জীবনের সন্ধান পাওয়া যাবে। বৃহস্পতি গ্রহে মিশন পরিচালনা করছেন এমন একজন বিজ্ঞানী আরও একধাপ এগিয়ে বলছেন, বরফে ঢাকা এই গ্রহে কোনো প্রাণ না থাকলে সেটাও হবে অবাক হওয়ার মতো ব্যাপার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ সম্প্রতি সৌরজগতের বাইরের একটি গ্রহে জীবন থাকা সম্পর্কে ইঙ্গিত শনাক্ত করেছে। এখন সবটাই অবশ্য ভবিষ্যতের বিষয়। তবে আশা আছে পুরো মাত্রায়।
পৃথিবীর বাইরে প্রাণের খোঁজ পাওয়া হবে সর্বকালের সর্ববৃহৎ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার। সেজন্য এরই মধ্যে বেশকিছু মিশন শুরু হয়েছে বা শুরু হতে যাচ্ছে।
স্কটল্যান্ডের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক ক্যাথরিন থেইম্যানস বলেন, “অসীম নক্ষত্র এবং গ্রহের একটি মহাবিশ্বে আমরা বসবাস করি। সেখানে অবশ্যই আমরাই শুধু একমাত্র বুদ্ধিমান প্রাণী হতে পারি না। ” সেই সন্ধানেই নাসার হাই পাওয়ার টেলিস্কোপ কাজ করে চলেছে। বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানে যে টেলিস্কোপগুলো ব্যবহার করা হয়, সেগুলো এখন দূরের নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণকারী গ্রহগুলোর বায়ুমণ্ডল বিশ্লেষণ করতে পারে। তাছাড়া এগুলো পৃথিবীর জীবিত প্রাণীরা উৎপাদন করে এমন রাসায়নিকের সন্ধান করতে পারে।
গত মাসের শুরুর দিকে পৃথিবী থেকে ১২০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত কে২-১৮বি নামের একটি গ্রহের বায়ুমণ্ডলে এমন গ্যাস শনাক্ত করা হয়। এই গ্রহটিকে বিজ্ঞানীরা ডাকেন ‘গোল্ডিলক্স জোন’ নামে। যে নক্ষত্রকে ঘিরে ওই গ্রহ ঘুরছে, তার থেকে এমন দূরত্বে সেটি রয়েছে, যাতে সেটির ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা খুব বেশি গরম বা খুব বেশি ঠাণ্ডা হয় না। সেখানে জল থাকার জন্যও সঠিক তাপমাত্রা রয়েছে, যা জীবনের জন্য অপরিহার্য। বিজ্ঞানীদের একটি বিশেষজ্ঞ দল আশা করছে, আগামী এক বছরের মধ্যেই তারা জানতে পারবেন যে, আগ্রহ উদ্দীপক এসব ইঙ্গিত সেখানে আসলেই জীবন থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করছে কি না। তাই তাঁরা মনে করে ভিনগ্রহী জীব বা এলিয়ানের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।