বাংলায় বিজেপির মূল শক্তি উত্তরবঙ্গ। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের মুখে মুখে ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচি হয়েছিল। তাতে আড়াল থেকে সমর্থন দিয়েছিল বিজেপি। এবারও তেমনই কথা আছে। তবে এবার উত্তরবঙ্গে শিলিইগুড়িতে। কলকাতার গীতাপাঠ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রথম সারির প্রায় সব নেতা। তবে সেই কর্মসূচিতে সত্যিই এক লাখ মানুষের সমাবেশ হয়েছিল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও সংসদের পক্ষে দাবি করা হয়েছিল, লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ এবং এত জনের একসঙ্গে গীতাপাঠে বিশ্বরেকর্ড তৈরি হয়েছে। দক্ষিণের পরে উত্তর। কলকাতার পরে শিলিগুড়ি। এক বছর আগের মতো করে শিলিগুড়ির বিশ্ববাংলা শিল্পহাটের পাশে কাওয়াখালি ময়দানে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সনাতন সংস্কৃতি সংসদ। অনেকে বলেন, এটাও আসলে বিজেপির একটি ধৰ্মীয় সংগঠন।
শিলিগুড়ির এই গীতাপাঠ অনুষ্ঠানের এ বার পরিষদ প্রধান অতিথি করতে চায় উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে। তাঁর সঙ্গে গীতাপাঠে গলা মেলাতে আসার কথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মারও। তবে এ বারও মোদী ছাড়াও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজক সংসদের প্রধান তথা ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজ (স্বামী প্রদীপ্তানন্দ)। এই কার্তিক মহারাজের সঙ্গেই নির্বাচনের আগে বিতর্ক জড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই সময়ে এমনটাও অনেকে বলেছিলেন যে, যেখানে বিজেপির শক্তি বেশি, সেই উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধিত্ব ব্রিগেডে সে ভাবে না থাকাতেই জমায়েত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বার সেই উত্তরবঙ্গেই বসছে গীতাপাঠের আসর। সেখানে লক্ষ মানুষকে হাজির করার বিষয়ে সংসদের সঙ্গে বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারও সমর্থন দেবে। যদিও গোটা কর্মসূচিই হবে ‘অরাজনৈতিক’ সনাতন সংস্কৃতি সংসদের নামে। তবে এখনও গীতা পাঠের তারিখ ঘোষণা করা হয় নি।