হ্যাঁ, ভাষার আন্তর্জাতিকতা হলো মাতৃভাষার প্রতি অমোঘ টান। এবার দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে তাই দেখা গেলো বেলজিয়ামে। অভিভূত সমস্ত বাঙালি। এবার ব্রাসেলসে পুজোর থিম ছিল – ‘শিশু মনে তিন রায়’। আসল বিষয় হলো, বেলজিয়ামের বাঙালিদের মধ্যে এখনও সম্পূর্ণভাবে বেঁচে আছে বাংলা সংস্কৃতি। সেভাবেই ব্রাসেলসে উদযাপিত হচ্ছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। সেখানে এবছরের পুজোর থিমে রয়েছে ষোলাআনা বাংলার সংস্কৃতির ঐতিহ্য—‘শিশু মনে তিন রায়’।
২০২১ সালে বেলজিয়ামের ব্রাসেলস শহরে গড়ে ওঠে সেদেশের প্রবাসী বাঙালিদের সংগঠন ‘তেরো পার্বণ’। প্রতি বছরই দুর্গাপুজোর আয়োজন করছেন তাঁরা। এবারের থিমের (শিশু মনে তিন রায়) সঙ্গে সম্পর্কিত উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, সুকুমার রায় এবং সত্যজিৎ রায়। কেন এমন থিম? তার উত্তরে ‘তেরো পার্বণ-এর বক্তব্য—“আর যেখানেই যাও না রে ভাই সপ্তসাগর পার… শুধু সপ্তসাগর নয়, (আবোল তাবোল) প্রকাশকালের ১০১ বছর পেরিয়ে আজও প্রাসঙ্গিক আমাদের চিরপরিচিত শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায়। শুধু সুকুমার নন, তাঁর পিতা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী এবং পুত্র বিশ্ববিখ্যাত চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের অনবদ্য সব সৃষ্টিও শিশুমনে জায়গা করে নিয়েছে, হয়ে উঠেছে তাদের বড় হয়ে ওঠার অনন্য সাথী।’ এর পরে সহজেই বোঝা যায় কি আন্তরিক টান বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি। এই বঙ্গে বসে আমরা জানাই তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।